কন্ঠসঙ্গীতে যেভাবে আগ্রহ নিয়ে আসছেন অনেকেই সেভাবে বাদ্যসঙ্গীতে আগ্রহ খুব একটা দেখা যায় না – বেহালাবাদক শিউলি ভট্টাচার্যী…

– কবি ও সাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।

পৃথিবীতে জন্মলগ্ন থেকেই একটি মেয়েকে নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সব ক্ষেত্রেই নানারকম বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তারপর একটি মেয়ে তাঁর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছে। যে সকল নারী তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেছেন তাঁরা কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তেমনই একজন বেহালাবাদক শিউলি ভট্টাচার্যী। তিনি যে সময়ে বেহালা হাতে নিয়েছেন সেই সময়ে বেহালাবাদক হিসেবে তেমন কোনো শিক্ষানবীশ মেয়ে ছিল না। তাহলে তিনি কেমন করে মেয়ে হয়ে প্রথম শ্রেণীর একজন বেহালাবাদক হলেন এবং এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কি কি ঘটনা ঘটেছিল, এই সব কিছু তাঁর কাছ থেকে যা জেনেছি তা নিয়ে আলোকপাত করা হল।

বেহালা সাধনা শুরু এবং কার অনুপ্রেরণায় তাঁর এই পেশায় আসা বলতে গিয়ে তিনি বলেন –
আমি আমার শুরু থেকে যদি বলি তাহলে আমার ছোট বেলা থেকে বলতে হবে। আমি যখন ছোট তখন থেকেই দেখতাম আমাদের বাড়ীতে সঙ্গীতের পরিবেশ ছিল এবং সে পরিবেশটি ছিল আমার বাবার কারণে। তিনি একজন শাস্ত্রীয় বাঁশী বাদক ছিলেন। বাবার কাছে রোজ সন্ধ্যায় বাঁশি শুনতাম। তাছাড়া বাবা বড় বোনকে গান শেখাতেন। বাবা নিজেও গান করতেন।
যখন ক্লাস সিক্স /সেভেনে পড়ি তখন একদিন বাবা জিজ্ঞেস করলেন, সবাইতো গান করে, তোমাকে অন্য কিছু শেখানোর ইচ্ছে আছে আমার, তোমার কি মত ?
ছোট বেলায় বাবা আর বোনের সাথে সরগম প্র্যাকটিস করতাম, ভালো লাগত কিন্তু আলাদা করে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা বুঝতাম না। বাবা আরও বললেন, গান বা নাচ তো ঘরে ঘরে সবাই শিখে, তুমি না হয় অন্য কিছু কর। তখন তো বুঝিনি কি করব ? কারণ মাত্র ক্লাস সিক্স /সেভেনে পড়ি। বাবা বললেন, তবলা শেখ। আমাদের বাড়িতে হারমোনিয়াম, তবলা, গীটার ও বাঁশি ছিল। বাবা তখন বললেন তুমি বাদ্যযন্ত্র শেখো। তখন চিন্তা করলাম তবলা শিখি। তবলা যখন শিখতে গেলাম দেখলাম তবলা বেশ ভারি। হাতেও ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে। এই বাদ্যযন্ত্র নিয়ে টিচারের কাছে শিখতে যাওয়াও খুব কষ্টকর। তারপরেও দু’বছর শিখলাম। একদিন বাবাকে বললাম, বাবা তবলা খুব ভারি। টিচারের কাছে নিয়ে যেতে আসতে খুব কষ্ট হয় আর হাতেও ফোস্কা পড়ে গেছে। তখন বাবা সেতার দেখিয়ে বললেন, এটা কেমন লাগে ? সেতার দেখে আমার কাছে অনেক বড় মনে হল এবং ভাবলাম এটা বহন করা কষ্টসাধ্য হবে। তখন উনি দেখালেন বেহালা। বাবা বললেন, এটা শিখবে ? এই বাদ্যযন্ত্রটা চেষ্টা করে দেখতে পার। বেহালাটা দেখে আমার খুব পছন্দ হয়েছিল কারণ ছোট্ট একটা যন্ত্র। বললাম, এটা নিয়ে এসো চেস্টা করে দেখি। আমি তখনো বেহালা কিনি নি। একদিন বাবার সাথে বাবার এক পরিচিত জনের বাড়ি গেলাম। তাঁর বাসায় একটা বেহালা ছিল। আমি বেহালা কিনবো শুনে উনি আমাকে বেহালাটা দিয়ে বললেন, আমার বাসায় কেউ বাজায় না। এটা পড়ে আছে। তুমি এটা নিয়ে গিয়ে শেখো। সেই থেকে শুরু হল বেহালা শেখা।
বেহালাটি আমার খুব পছন্দ হল। ছোটখাটো হওয়ার কারণে এই বাদ্যটি নিয়ে চলাফেরা করতে পারছি। যখন বাজানো শেখা শুরু করলাম তখন দেখলাম এটা বাজানো সহজ না, খুব কঠিন। আমার কাছে যতটা সহজ মনে হয়েছিল ততটা সহজ না। তারপরেও আর ছাড়তে পারলাম না। যতই প্র্যাকটিস করছি এবং সামনের দিকে যাচ্ছি বেহালা নিয়ে ততই ইন্টারেস্ট পাচ্ছি। স্কুল কলেজে অনেক বাজিয়েছি। বাবা বললেন, যেহেতু ইন্টারেস্ট পাচ্ছো এই বাদ্যটিই শেখো। বাবা রোজ প্র্যাকটিস করাতেন। আমাদের বাড়ীতে তখন ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না। আমরা যদিও সিলেট শহরেই থাকতাম। আমার বেহালা শেখা শুরু করার চার বছর পর ইলেক্ট্রিসিটি এসেছে আমাদের বাড়ীতে। বাবা বারান্দায় শীতলপাটি বিছিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করতেন আর প্র্যাকটিস করাতেন। আমি তখন বেহালাতে সুরে বেসুরে সা রে গা মা বাজাতাম। আমার বাবার খুব ইচ্ছে ছিল আমাকে যে কোনো একটি বাদ্যযন্ত্র শেখাবেন। বাংলাদেশ থেকে বাদ্যযন্ত্রের সাধনা হারিয়ে যাচ্ছে তাই তিনি চিন্তা করলেন তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে একজনকে বাদ্যসঙ্গীতে তালিম দিবেন, এরকম একটা তাগিদ তিনি অনুভব করেছিলেন। বলতে পারেন, আমার বাবার কারণেই আমার এই বেহালাকে বরণ করে নেয়া। অবশ্য বাবার ইচ্ছাটাকে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য আমার ইচ্ছাটিও তাঁর ইচ্ছার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়েছে। তাই বলা যায় আমার বাবার অনুপ্রেরণাতেই আমার সঙ্গীত জগতে বেহালাবাদক হয়ে আসা।

তাঁর সময়ে মেয়েরা সিলেট শহরে বেহালা শিক্ষা নিতেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন –
আমার সময় সিলেট শহরে কোনো মেয়েকে বেহালা শিখতে দেখিনি।

আপনার বাবার নাম কি এবং আপনার বোন কি এখনো গান করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন –
আমার বাবার নাম বাবুল ভট্টাচার্যী। আমার বোন এখন গান করেন না। আমার বোন আগে গান করতেন পরে তিনি পড়াশুনা শেষ করে ব্যাংকে কর্মরত আছেন এবং সাধারণভাবেই জীবনযাপন করছেন।

আপনি যখন বেহালা শিখতে গেলেন তখনতো মেয়েরা খুব একটা শিখতো না তারপরেও আপনি একজন মেয়ে হয়ে এই বাদ্য নিয়ে এগিয়ে এলেন। এটা কিভাবে সম্ভব হল! সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন –
আমার বাবার কাছে ছেলে বা মেয়ে এরকম কোন ভেদাভেদ ছিল না। আমি যখন তবলা শিখতে গেলাম তখন কেবলই ছেলেরাই তবলা শিখত এবং বাজাত। তারপরেও আমি দু’বছর তবলা শিখেছি।
এতে আমার বাবার কোনো বারণ ছিল না ।

সুদূর সিলেট থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গুজরাট ও কলকাতা হয়ে ঢাকায় আসা এবং ছায়ানটে যোগ দেয়ার গল্পটা তিনি বললেন এভাবে –
আমি সিলেটের হাতিম আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। বাবা বললেন, আমি যতটুকু পেরেছি তোমাকে শিখিয়েছি কিন্তু এই গ্রামে থেকে আর ভালো করে শেখার সুযোগ নেই। স্কলারশিপ পেলে ভারতে চলে যাও। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখনই বাবা ভারতে এ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। ওখান থেকে জানিয়েছিল টুয়েলভ পাস করার পর যেতে হবে।
পরবর্তীতে বাবার তদারকিতেই ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে চলে গেলাম ভারতে সেখানকার এম.এস.ইউনিভার্সিটি অব বরোদায়। ভর্তি হলাম বাদ্যসঙ্গীতে। সেখানে অধ্যাপক ভি সি রানাড়ে স্যারের কাছে ব্যাক্তিগতভাবেও শেখা শুরু করলাম। অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করলাম কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতায় পদ্মশ্রী পন্ডিত ভি জি যোগ সাহেবের সান্নিধ্যে শেখা শুরু করলাম। পরবর্তীতে আবার ফিরলাম গুজরাটের এম.এস.ইউনিভার্সিটি অব বরোদায়। সেখানে বেহালার ওপর পিএইচডি করলাম। সেখানে শিক্ষাকালীন সময়ে ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেহালা বাজাতাম। ১৯৯৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিল আমার ভারতের সঙ্গীত শিক্ষাজীবন।

তারপর ২০০৮ সালে বাংলাদেশে আসার পর বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে নিজেকে যুক্ত করার জন্য একটু যুদ্ধতো করতে হয়েছেই। নতুন এসেছি এই অঙ্গনে। কেউ আমাকে চেনেন না। তাই সব জায়গাতেই নিজেকে পরিচিত করাতে হয়েছে। কথা বলতে হয়েছে বিভিন্ন জনের সাথে, ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণও করতে হয়েছে। তখন ছায়ানটের দুটো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তারপর ২০১১ সালে ছায়ানটের শুদ্ধসঙ্গীত বিভাগে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রন জানান হয়। তাঁরা আমাকে এই বিভাগের জন্য স্মরণ করেছেন এবং যোগ দিতে বলেছেন সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এ কারনে আমি অধ্যাপক সানজিদা খাতুন আপা’র প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেবার’ই প্রথম বৈশাখী অনুষ্ঠানে বাজানোর সুযোগ পেলাম। ২০১১ সাল থেকে আমি ছায়ানটে সপ্তাহে একদিন ক্লাশ নেয়া শুরু করি।

ঢাকার সঙ্গীত কলেজে নিযুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন –
২০১৩ সালে আমি অধ্যাপক ডক্টর কামাল নাসের চৌধুরী স্যারের সহযোগীতায় সরকারি সঙ্গীত কলেজে যোগদান করি। ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থতার কারণে পড়ানো চালিয়ে যেতে পারিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে অধ্যাপক কৃষ্টি হেফাজ আপা’র সহযোগীতায় আবার যোগদান করি। এখানে দু’টো লাইন না বললেই নয় যে, গীত, বাদ্য, নৃত্য এই তিন বিষয় মিলেই সঙ্গীত। আমাদের দেশে বিভিন্ন সঙ্গীত বিভাগ গুলোতে এই তিনের সমাহার দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু সঙ্গীত কলেজে কন্ঠ এবং তবলার পাশাপাশি বেহালাকেও চতুর্থ বিষয় রুপে যুক্ত করা হয়েছে শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ মহোদয়ের সুচিন্তা থেকে যার জন্য আমি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আপনার কি কখনই ইচ্ছে হয় নি, আপনি গান করবেন অথবা ছোটো বেলায় অনেকেইতো অনেক কিছু হতে চায়! আপনার মনে কি তেমন কোনো স্বপ্ন ছিল না ? জানতে চাইলে তিনি বলেন –
তেমন মনে হয়নি কারণ যখন থেকে বেহালা হাতে নিয়েছি তখন থেকেই ভেবেছি, সবাই তো গান করে! আমি না হয় অন্য কিছু করব। আর ছোট বেলায় সবসময়েই মনে হতো সঙ্গীত ছাড়া অন্য বিষয়ে যাব না।

আপনার কি কোনো পরিকল্পনা আছে বেহালা নিয়ে ? তা জানতে চাইলে তিনি বলেন –
শুধু বেহালা নয়, বাদ্যযন্ত্রের সাথে কন্ঠের সংমিশ্রণে একটি সঙ্গীত দল গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই চিন্তা থেকে সর্বজয়া নামে একটি সঙ্গীত দল পরিচালনা করছি এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বেহালার বর্তমান পরিস্থিতি কি রকম জানতে চাইলে তিনি বলেন –
অনেকেই শিখতে চায় এবং শেখার জন্য আসেও অনেকে। তবে ধৈর্য্য রেখে শেখার তাগিদটা কম। ছায়ানট এবং মিউজিক কলেজেও আসে অনেকে। কেউ প্রফেশনের জন্য আসে আবার কেউ শখে শিখতে আসে। তবে প্রফেশনের জন্য যারা আসে তারা কিছুদিন শিখেই জীবিকার সন্ধান করতে থাকেন। আমি ছোট থেকে শিখছিতো, দেখছি যে বেহালায় কি পরিমান সময় ব্যয় করতে হয়। এই দীর্ঘ সময় কেউ দিতে চায় না বা অনেকেই পারে না। এখানে ইচ্ছাশক্তিটাই মূল বিষয়। এখন যেমন বাচ্চারা বিভিন্ন একাডেমিতে সুযোগ পাচ্ছে, আমার ছোটবেলায় তাও ছিল না।

এখন যেভাবে শিল্পী হচ্ছে সবাই, এই বিষয়ে আপনি কি মনে করেন ? তিনি বলেন –
শিল্পী হওয়া সহজ কোন বিষয় নয়। তা যন্ত্রশিল্পী, কন্ঠশিল্পী বাঁ নৃত্যশিল্পী যাই হোক না কেন তার জন্য কোয়ালিটি, ধৈর্য্য ও সাধনা’র বিশেষ প্রয়োজন। নিজেকে শিল্পী বলে দাবি করার জন্য শিল্পের যে উচ্চতর স্তরে বা মননে পৌঁছানো দরকার ও চর্চার প্রয়োজন তা না থাকলে শিল্পী হওয়া যায় না। যখন আপনি আপনার মনকে শিল্পের দিকে প্রসারিত রাখবেন তখন আপনি নিজেকে শিল্পী বলতে পারেন।

বর্তমানে কি করছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন –
আমি সরকারি সঙ্গীত কলেজে বাদ্যসঙ্গীত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছি এবং ছায়ানটে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নিচ্ছি। তাছাড়া ব্যাক্তিগতভাবেও অনেকেই আমার কাছে বেহালা শিখছেন। পাশাপাশি সর্বজয়া নামক সঙ্গীত দলের পরিচালনার কাজে নিযুক্ত আছি।

আপনি আপনার বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন যেমন করে, আশা করবো আগামীতেও আপনার যে পরিকল্পনা রয়েছে তেমন করেই বাস্তবায়িত করবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে।

ঈদ আনন্দ মেলায় সঙ্গীতাঙ্গন এর বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান…

ঈদ আনন্দ মেলায় সঙ্গীতাঙ্গন এর বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান…সঙ্গীত পরিবেশনা করছেন-শিউলি ভট্টাচার্যীক্লাসিক্যাল বেহালাবাদক

Posted by Shangeetangon on Friday, May 21, 2021
সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকা আয়োজিত একক সঙ্গীত সন্ধ্যা… ১৫তম পর্ব।

ঈদ মোবারক…সঙ্গীতাঙ্গন এর ঈদ আয়োজনে ফেসবুক লাইভে শুরু হচ্ছে সঙ্গীতানুষ্ঠান…এখন লাইভে পরিবেশন করবেন…ক্লাসিক্যাল বেহালাবাদকজননন্দিত শিউলি ভট্টাচার্যী…উপভোগ করুন এবং কমেন্টস করুন…সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকা আয়োজিত একক সঙ্গীত সন্ধ্যা… ১৫তম পর্ব।

Posted by Shangeetangon on Sunday, August 2, 2020

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles