Sunday, April 21, 2024

কিংবদন্তী গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মহাপ্রয়াণে স্মরণসভা…

– রবিউল আউয়াল।

কিংবদন্তী গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মহাপ্রয়াণে গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১২ই সেপ্টম্বর ২০২২, সোমবার বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত স্মরণসভায় উপস্থিত থাকবেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এবং আনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত থাকবেন গীতিকবি সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিটন অধিকারী রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল সহ সংঘের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগন। এছাড়া আরো উপস্থিত থাকবেন সদ্যপ্রয়াত গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবারের সদস্য ও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ।

গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট এর দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গন হারালো সঙ্গীতের কিংবদন্তী ও অগণিত কালজয়ী গানের গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে। হঠাৎ করে যেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের কালো ছাঁয়া। এই অঙ্গনে রয়েছে তাকে নিয়ে হাজারো স্মৃতি।

অগনিত গানের কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। যার অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় এবং বাংলার সব শ্রেণীর মানুষের মুখে মুখে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- জয় বাংলা বাংলার জয়, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হলো, গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছাঁয়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, ও পাখি তোর যন্ত্রণা, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম -এর মতো কালজয়ী সব গান।

বিবিসি বাংলা তৈরিকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে এই কিংবদন্তী গীতিকবির লেখা-ই তিনটি গান।

তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে আয়না ও অবশিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা নজির দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১টি।

১৯৪৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লিখে ৫০ টাকা আয়ের মাধ্যমে তার পেশাদার গীতিকার জীবন শুরু। তিনি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ৫(পাঁচ) বার গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২০০২ সালে একুশে পদক, ২০২১ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদক সহ প্রায় ১১০টি পুরস্কার।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles