asd

গানের পিছনের গল্প – “দ্বিধা”… (বাহির বলে দুরে থাকুক, ভিতর বলে আসুক না)…

প্রিয় পাঠক,
অভিনন্দন এবং ভালোবাসা নিবেদন করছি আপনাদের প্রতি। সঙ্গীতাঙ্গন এর উদ্দেশ্য সবসময়ই দেশের সকল সুরকার, গীতিকার, শিল্পী এবং সব ধরনের মিউজিসিয়ানদের পাশে থেকে আমাদের দেশীয় সঙ্গীতকে অনেক দুর এগিয়ে দুর নিয়ে যেতে। আমরা চাই সঙ্গীতাঙ্গন এর মাধ্যমে যেকোনো গানের আসল স্রষ্টা সম্পর্কে জানুক। এ জন্য আমরা সব সময় আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি।
কারণ দেশের একাধিক চ্যানেলে এ প্রজন্মের শিল্পীরা গানটির স্রষ্টাদের নাম না বলতে পেরে সংগ্রহ বলে থাকেন। এতে গানের মূল স্রষ্টা ব্যথিত হোন, এমন অনেক অভিযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই একটি গানের মূল স্রষ্টাকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে আমরা বহুদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছি, শুধুমাত্র সঙ্গীতকে ভালোবেসে। এবারের বিষয় ‘একটি গানের পিছনের গল্প’ আমাদের অনেক প্রিয় একজন সঙ্গীতপ্রেমী ভাই জনাব মীর শাহ্‌নেওয়াজ সঙ্গীতাঙ্গন এর মাধ্যমে জানাবেন আমাদের প্রিয় গানের পিছনের গল্প। এবং দেশের বরেণ্য সকল শ্রদ্ধাভাজন শিল্পীগন আপনারাও নিজ দায়িত্বে সঙ্গীতাঙ্গনের মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনার নিজ সৃষ্টি অথবা আপনার প্রিয় গানের গল্প। এতে আর এ প্রজন্মের শিল্পীরা ভুল করবেন না গানের স্রষ্টাকে চিনতে।
আসুন সবাই গানের সঠিক ইতিহাস জানতে একতা গড়ি। – সম্পাদক

– তথ্য সংগ্রহীত লেখক – মীর শাহ্‌নেওয়াজ…

শিল্পীঃ হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যান্সি
সুরকারঃ হাবিব ওয়াহিদ
গীতিকারঃ মারজুক রাসেল
ছবিঃ থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার

হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যান্সি — একসঙ্গে হলেই জন্ম নেয় জনপ্রিয় সব গান। ‘দ্বিধা’ গানটির জন্য তাঁরা দুজনই পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০০৯-এর সেরা কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার। হাবিব ওয়াহিদ, ন্যান্সি ও মারজুক রাসেল কথা বলছেন গানের পেছনের গল্প নিয়ে।

হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যান্সি’র কথা-
‘আমার জীবনের সবচেয়ে কম সময়ে তৈরি করা গান “দ্বিধা”।’ বলছিলেন হাবিব। সেটা কী রকম? ‘মারজুক রাসেলের লেখাটা আমাকে দিয়ে ফারুকী ভাই সিকোয়েন্সটা বুঝিয়ে দিলেন। কথাগুলো পড়েই আমার ভেতরের অনুভূতিটা নড়ে উঠল। দু-তিন ঘণ্টা পর আবিষ্কার করলাম ডামি ভয়েসসহ পুরো গান তৈরি। এত কম সময়ে এর আগে কোনো গান আমি তৈরি করতে পারিনি।’ যেখানে কখনো কখনো একটা গান তৈরি করতে হাবিবের দু’তিন দিন সময়ও লেগে যায়, সেখানে এ ঘটনা বেশ ব্যতিক্রম। মাইলফলকগুলো বুঝি এভাবেই হয়!

হাবিব ওয়াহিদ বললেন, ‘এ রকম গান সব সময় হয় না। সৃষ্টিকর্তার ইশারা লাগে। আমি, মনে হয়, গানটি তৈরি করার সময় তা পেয়েছিলাম।’

ন্যান্সি বললেন, ‘দ্বিধা গানটার ভেতরে অন্য রকম একটা ব্যাপার আছে। যেমন গভীর কথা, তেমনি তার সুর। একদম ভেতরটা ছুঁয়ে যাওয়া একটা গান। গাইতে গাইতে আমি তো কেঁদেই দিয়েছিলাম। মন খারাপ হলেই গানটা শুনি। কিছু কিছু গান আছে, কখনোই পুরোনো হয় না। এটা তেমনই একটা গান।’

গীতিকার মারজুক রাসেল-এর কথা—
মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর মুক্তি প্রত্যাশিত চলচ্চিত্র ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ এর সাথে আমি প্রথম থেকেই সম্পৃক্ত। বলা যায়, এই চলচ্চিত্রের গল্পটার সাথেই আমি কিছুদিন বেড়ে উঠেছি। ফলে চলচ্চিত্রের গল্প এবং এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আমার মাথায় আগে থেকেই ছিল। সে অনুযায়ীই আমি ‘দ্বিধা’ গানটি লিখতে বসি। গানটি আমি শেষ করেছিলাম একদিন ভোরে। তবে এর পেছনে যে চিন্তার জায়গাটা সেটা বহুদিন থেকেই আমার মাথায় ছিল। রাস্তায় চলতে চলতে আবার কখনো বা বাসায় বসেই হয়তো গানের একেকটা লাইন আমার মাথায় এসেছে। তারপর বহুবার কাটাকাটি এবং পরিমার্জন, সংশোধনের মধ্য দিয়েই আমি লিরিক্সটা ফাইনাল করি। মানুষের মনে যে দোদুল্যমনতা, তার মধ্যে যে দোটানা, তিনটানা, চারটানা সেই বিষয়টাকে উপজীব্য করেই এ গানটা এগিয়েছে।

অলংকরন – গোলাম সাকলাইন…

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles