– মোঃ মোশারফ হোসেন মুন্না।
কাওয়ালি গ্রাম বাংলার একটি মুখরোচক শব্দ। তারা এই শব্দটাকে অতিরিক্ত কথার পেচালে ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে হয়তো এই শব্দের সঠিক অর্থ বুঝেনা। আবার কেউ কেউ এর সাথে খুবই পরিচিত। কাওয়ালি এক প্রকার আধ্যাত্মিক প্রেমবিষয়ক ভক্তিমূলক গান। ‘কওল’ থেকে কাওয়ালি শব্দটির উৎপত্তি। আমীর খসরু এই ধারা সঙ্গীতের প্রবর্তক। এ গান মূলত সুফি সাধকরা গেয়ে থাকেন। ফারসি ও উর্দু ভাষায় রচিত কাওয়ালি গান মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত। এ গানের স্থায়ী ও অন্তরার মধ্যে তাল বন্ধ রেখে প্রতিবার বিভিন্ন প্রকার স্বরবিন্যাস বা রাগের সমাবেশ করা হয়। সাধারণত দলগতভাবে এ গান গাওয়া হয়। এতে একজন মূল গায়ক থাকেন, অন্যরা ধুয়া ধরে। তালযন্ত্র হিসেবে এতে ঢোলক ব্যবহূত হয় এবং সমবেতভাবে হাততালি দিয়ে তাল রক্ষা করা হয়। এটি কাওয়ালি গানের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। যে সকল রাগ আধ্যাত্মিক প্রেমপ্রকাশক সে সকল রাগে কাওয়ালি গান গাওয়া হয়। এতে দাদরা, ধূমালি, রূপক, পশ্তু ইত্যাদি তাল ব্যবহূত হয়। কাওয়ালি গানের শিল্পীরা ‘কাওয়াল’ নামে পরিচিত। পুরান ঢাকার আদিবাসীদের মধ্যে এ গানের প্রচলন আছে। তারা বিভিন্ন জলসা, বিবাহ ইত্যাদি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ গানের আয়োজন করে থাকে।