– রহমান ফাহমিদা, সহকারী-সম্পাদক।
মন শুধু মন ছুঁয়েছে
ও সেতো মুখ খুলেনি
সুর শুধু সুর তুলেছে
ভাষা তো দেয় নি।…
এই গানটি গেয়ে ৮০’র দশকের শ্রোতাদের বিশেষ করে টিনএজ শ্রোতাদের যে মন ছুঁয়েছিল তার রেশ আজো বয়ে যাচ্ছে সুদৃঢ়ভাবে। এই গানটি যার কন্ঠের আবেগে সে সময় সংঙ্গীত জগতে শীর্ষতম স্হান দখল করেছিল সে হচ্ছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী। এই শিল্পী ৭ জানুয়ারি, চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গতকালকে ৭ জানুয়ারী ছিল তাঁর জন্মদিন। তাই জন্মদিনের রেশ যেন হয় না শেষ! সেই কারণে বর্তমান প্রজন্মের প্রতি তাঁর জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরার এই প্রয়াস।
জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী তপন চৌধুরী একাধারে একজন গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীতপরিচালক। তিনি ব্যান্ড ‘সোলস’-এর একজন সাবেক সদস্য। সত্তর দশকের শেষের দিকে তিনি সংগীতের সাথে সম্পৃক্ত হন। তারপর ১৯৭৯ সালে তিনি জনপ্রিয় ‘সোলস’ ব্যান্ডের সাথে যুক্ত হন। সোলস ব্যান্ডে তাঁর গাওয়া গানগুলির মধ্যে ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে ‘ গানটি সেই সময় তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে, যার রেশ আজো বহন করে চলেছে সংঙ্গীত জগতে।
‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ গানটি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিবেশন করার পর সেটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তিতে ১৯৮১ সালে ‘সোলস’ তাদের প্রথম অ্যালবামেও গানটি প্রকাশ করে। সোলস-এর সাথে কয়েক বছর কাজ করার পর জনপ্রিয় এই শিল্পী তপন চৌধুরী একক সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সম্ভবত: ১৯৮৪ অথবা ১৯৮৫ সালে তাঁর নিজ নামে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘তপন চৌধুরী’ প্রকাশিত হয়।
তাছাড়া তিনি প্রায় ৩০০টি চলচ্চিত্রের গানে কন্ঠ দিয়েছেন। ১৯৯০ দশকের পর তিনি বেশ কয়েক বছর সঙ্গীত জগত থেকে দূরে সরে যান। তবে ২০১৭ সালে পুনরায় ‘ফিরে এলাম’ একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
তপন চৌধুরীর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু গান হল- মন শুধু মন ছু্য়েছে, আমি সব কিছু ছাড়তে পারি, তুমি আমার প্রথম সকাল, আকাশের সব তারা ঝরে যাবে, আজ তুমি দূর বহু দূর, কী কারণে কান্দরে মন, মাটির ইঞ্জিন এই দেহটা পুইড়া হইল কালা, ফরেস্ট হিলে এক দুপুরে, কলেজের করিডোরে দেখেছি, আমি দেবদাস হতে পারবো না ইত্যাদি।
গতকালকে (৭ জানুয়ারি) ছিল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তপন চৌধুরীর জন্মদিন। তাই সঙ্গীতাঙ্গন-এর পক্ষ থেকে তাঁর এই জন্মদিনে রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।