সুবর্ণ জয়ন্তীতে সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন…

– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।

তার বয়স যখন এগারো তখন থেকেই গানের সঙ্গে সখ্যতা। পরবর্তীতে সঙ্গীতই হয়ে ওঠে তার জীবনের সাধনা। আর সেই সাধনার অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেন ফকির লালন সাঁইকে। তারই আধ্যাত্মবাদী বাণীমাখা সুরের সমর্পিত এক কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন।

গেলো ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ জন্মদিনের সাথে পালন করা হয় তার সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর। গান ও আলোচনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হলো শিল্পীর সঙ্গীত জীবনের এই সাফল্যময়তা। এ উপলক্ষে সোমবার তাকে প্রদান করা হলো সংবর্ধনা। সঙ্গে ছিল তার পরিবেশিত সঙ্গীতানুষ্ঠান। পৌষের বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লালন রিসার্চ এ্যান্ড কালচার ফাউন্ডেশন। সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে শিল্পীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।

ফরিদা পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জীবনে হয়তো আরো অনেক দিন পাবো, কিন্তু এই যে দিন সে দিনের সত্যিই কোন তুলনা হয় না, দেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সেইসাথে আমার সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ! সত্যিই এ এক অন্যরকম অনুভূতি! যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, এ রকম একটি আয়োজনের মাধ্যমে আমাকে সম্মান জানানোর জন্য আমি অভিভূত এবং কৃতজ্ঞ। ভেতরে ভেতরে একটু আবেগাপ্লুত। সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ হয়ে গেল। নিজে সঙ্গীত জীবনের প্রথম দিককার কথা তুলে ধরে শিল্পী বলেন, ‘সত্য বল সুপথে চল’ লালনের এই মহৎ বাণী ও পথ দিয়েই লালনের সঙ্গীত ভুবনে আমার প্রবেশ। সেই বাণী ও পথকে বিশ্বাস করি এবং সেই পথ ধরেই আমি এই পর্যন্ত এসেছি…

এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে, তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকা দির নাম, নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিলো গায়ে, পারে লয়ে যাও আমায়, পাড়ে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, যেখানে সাঁইয়ের বারামখানা, বাড়ির পাশে আরশিনগর’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পীর জন্মদিনসহ সঙ্গীতের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ হতে এই সাধক শিল্পীর প্রতি জানাই অসীম শ্রদ্ধার্ঘ্য ও ভালোবাসা।
বেঁচে থাকুক শিল্পী, বেঁচে থাকুক বাংলা সঙ্গীত।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles