অন্তত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, করোনা মহামারীর প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য গত বছরের মতো এবারও ছায়ানট ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতিতে সকলের স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা বটমূলের ঐতিহ্যগত আয়োজন থেকে আমাদের নিরস্ত করেছে। অথচ, প্রাথমিকভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল দর্শকশূন্য অবস্থায় অথবা পরিস্থিতি আরো বেশি প্রতিকূল হলে পহেলা বৈশাখ ভোরের অনুষ্ঠান আগেই রেকর্ড করে নেওয়া। সে লক্ষ্যে সম্মেলক দলের নিয়মিত মহড়াও চলছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির ক্রমান্বয় অবনতি এবং সরকারের সতর্কতামূলক বাস্তবিক সিদ্ধান্তসমূহ আমাদের মনে শিল্পীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা গভীরতর করে তোলে। আমাদের বেশ কজন শিল্পী ও কর্মীও করোনা-আক্রান্ত। ফলে সকলের নিরাপত্তা বিবেচনায় অনন্যোপায় হয়ে, আমরা ডিজিটালি এবং পুরোনো ও নতুন পরিবেশনের মিশ্রণে অনুষ্ঠান ঢেলে সাজাচ্ছি।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে (১লা বৈশাখ ১৪২৮, ১৪ই এপ্রিল ২০২১) সকাল ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ওই ঘণ্টাখানেকের সংকলন সম্প্রচার করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। একইসাথে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও (www.youtube.com/ChhayanautDigitalPlatform) অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।
আমাদের বাংলা বর্ষবরণের প্রতীকী, সংক্ষেপ ও ডিজিটাল আয়োজনটি সাজানো হয়েছে মানুষের মঙ্গল কামনা এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উজ্জীবনী গান, বাণী ও কথন দিয়ে।
সংকট-প্রভাবিত রূঢ় বাস্তবতার নিরিখে, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আপামর বাঙালির প্রাণের এই ঐতিহ্যর মহোৎসবের পূর্ণাঙ্গ আয়োজন করতে না পেরে আমরা মর্মাহত এবং জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমাদের বদ্ধমূল বিশ্বাস সুদিন ফিরবেই।
সকলের মঙ্গল হোক।
বিনীত–
লাইসা আহমদ লিসা
সাধারণ সম্পাদক