Saturday, April 20, 2024

‘সঙ্গীতাঙ্গন’ একক সঙ্গীত সন্ধ্যায় কণ্ঠশিল্পী তপতী রায়…

– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।

রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী তপতী রায়। যিনি খুব ছোটবেলা থেকেই মায়ের অনুপ্রেরণায় গানের জগতে প্রবেশ করেন। যার জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায়। মায়ের অনুপ্রেরণায় তপতী রায় আজ
বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। আজ কথা বলব শিল্পী তপতী রায়ের সাথে এবং আপনারাও জানতে পারবেন এই শিল্পীর জীবনের শিল্পী হয়ে ওঠার কথা।

মা একটু একটু গান জানতেন কিন্তু গানের জগতে পুরোপুরি বিস্তার লাভ করতে পারেননি, তাই তাঁর ইচ্ছা আমাকে গান শেখাবেন। সেই থেকেই মায়ের হাতেই আমার সারগাম শুরু। চলতে থাকে ধীরে ধীরে সঙ্গীত সাধনা।
‘নওগাঁ সরকারি গার্লস স্কুল’ থেকে পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠাও নওগাঁতেই। তারপর, সেখানেই মৃত্যুঞ্জয় মজুমদারের কাছে গান শিখি, যাকে আমি দাদা বলে ডাকি। নওগাঁ শিল্পকলা থেকে সংগীতের উপরে শিক্ষা লাভ করি। তারপর ‘চারণ শিল্পী গোষ্ঠী’তে যোগদান। সঙ্গীত জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে কথাগুলো বলেন শিল্পী তপতী রায়।

তিনি আরো বলেন, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী থাকা অবস্থায় ‘বাংলাদেশ বেতার, রাজশাহীতে গান করতাম। তারপর এসএসসি পাস করি ‘নওগাঁ সরকারি স্কুল’ থেকে এবং ‘নওগাঁ ডিগ্রী কলেজ’ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর আমার
বিয়ে হয় ময়মনসিংহে। বিয়ের পরে থেকে বাংলাদেশ বেতারে আমার অবস্থান রাজশাহী থেকে ঢাকা সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয় ২০০৫ সালে।

এরপর ২০০৭ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন শিল্পী তপতী রায়। তারপর সংগীতের উপর ডিপ্লোমা করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পরিচালিত ‘বাংলাদেশ সুরের ধারা মিউজিক কলেজ’
থেকে।

আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন ধরনের গান করতেন। যদিও এখনও বিভিন্ন ধরনের গান করেন কিন্তু বাংলাদেশ বেতারে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে যেহেতু রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত এবং সেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীতই করা হয় তাই তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবেই বেশি পরিচিত।

তিনি আরো জানান, ডিপ্লোমা করার পর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর দুই বছরের এম এ কোর্স সম্পন্ন করি। এবং এটাকে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
‘বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদ’ পরিচালিত ময়মনসিংহ শাখার স্কুল ‘শিশুতীর্থ আনন্দধ্বনি’র শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছি। পাশাপাশি, আমাদের বাড়িতে (ময়মনসিংহ) শাশুড়ি-শ্বশুরের অনুপ্রেরণায় এবং স্বামীর
সহযোগিতায় আমার প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটা সঙ্গীত স্কুল রয়েছে যার নাম ‘বকুলানন্দ ধারা’। যা আমার শাশুড়ির নামেই নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৭ সালে মাত্র দুইজন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই স্কুলের। বর্তমানে প্রায়
৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী সঙ্গীত বিষয়ে অধ্যয়ন করছে।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশনে যেমন-চ্যানেল আই, এস এ টিভি প্রভৃতি চ্যানেলে গান করে থাকেন।

শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আসলে একজন শিল্পীর জন্য শ্রোতাই তার প্রেরণার মূল উৎস। শ্রোতারা যদি প্রেরণা না দেয় তাহলে শিল্পী কখনো গান করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। সবাই
ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো। তাই স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা, সবাই যেন ভালো থাকে সবাইকে তিনি যেন ভালো রাখেন। সঙ্গীতাঙ্গন এর জন্য রইলো শুভকামনা।

সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শিল্পী তপতী রায় সহ সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতী রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ই নভেম্বর, ২০২০) রাত ৯টায় এই কন্ঠশিল্পী ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পত্রিকার ফেইসবুক পেইজে ‘একক সঙ্গীত সন্ধ্যা’য় লাইভে আসছেন সঙ্গীত প্রিয়দের গান শোনাতে ও আড্ডা দিতে। কণ্ঠশিল্পী তপতী রায়’র সাথে লাইভে যুক্ত হতে চোখ রাখুন সঙ্গীতাঙ্গনের ফেইসবুক পেইজে।
www.facebook.com/shangeetangon অথবা এই পেইজের সাথে যুক্ত থাকুন।

https://www.facebook.com/shangeetangon/videos/392307208807807/
https://www.facebook.com/shangeetangon/videos/3469155133202660/

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles