– মোশারফ হোসেন মুন্না।
গান ছাড়া পৃথিবীটা কেমন হতো ? হয়তো হতো কোন এক রকম। তবে কেমন হতো সেটা একটু আন্দাজ করে বলি ? না থাক আমি আন্দাজ করতে গেলে আপনারা ভাববেন কোথায় থেকে গান বিশেষজ্ঞ দার্শনিক এসে গেলো, ( হাহা হাহা হাহা হাহা) আসলে গান ছাড়া পৃথিবীটা হতো খেলোয়ার ছাড়া মাঠ যেমন, গান ছাড়া পৃথিবী তেমন। নির্জন নিরিবিলি শান্ত জনমানব মনে হতো। একাকিত্ব মনে হতো সময় নিজেকে। আমরা যখন একাকি থাকি তখন গানকে আমাদের সঙ্গী করি। হোক সেটা গায়কির মুখে শুনে, না হোক নিজে গেয়ে। কিন্তু এই গান গেয়ে যারা আমাদের মনে বিনোদনের ঝড় তোলে। এই গান দিয়ে যারা আমাদের গোমরা মুখে হাসি ফোঁটায়। যাদের গান শুনে ব্যাথিত মনকে আনন্দিত করতে পারি। যাদের গানের সুর আমাদের স্বপ্নকে নিয়ে যায় দুর বহুদুর। তারা কারা ? এবং এদের গানের কন্ঠে কি এমন যাদু আছে ? এতো দাম কেন তাদের কন্ঠের। হ্যা আসুন জেনে নেই আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের সেই যাদুকরি কন্ঠের শিল্পীদের কন্ঠের কত দাম ? একটি গানের জন্য তাদের পারিশ্রমিক কত ?
তাদের একেকজনের পারিশ্রমিক আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে। একটি গানের আয় দিয়ে তারা চাইলে সারা বছর শুয়ে-বসে আরাম করে কাটিয়ে দিতে পারেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না ? তবে চলুন জেনে নেই – প্রথমে জেনে নেই ভারতীয় শিল্পী মোহিত চৌহানের কথা।
‘ডুবা ডুবা’ গানের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত মোহিত চৌহান বলিউডের অনেক সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন। এই শিল্পী একটি গানের জন্য নেন সাত লাখ রুপি। এখন চিন্তা করেন সাত লাখ রুপিতে তার কতদিন চলবে।
কন্ঠের দাম এতো কেন ? কন্ঠে যখন তার গান ওঠে তখন বিমুগন্ধ চেতনায় হারিয়ে যায় মন। এবার আসুন ২৯ বছর বয়সী গায়িকা নেহা কাক্করের কথায়। বলিউডে এখন অনেক ডিমান্ড। ‘চিজ বাড়ি হ্যায় মাস্ত’ গানের এই গায়িকা এখন প্রতি গানের জন্য আট লাখ রুপি নেন। যে শুনেছে তার গানের কন্ঠ সে বোঝে সে কি গায়। তারপর বলি, আতিফ আসলামের কথা। আতিফ আসলাম যদিও ভারতের শিল্পী নন, কিন্তু বলিউডে এই গায়কের রয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় গান। আতিফের একটি গানের দাম নয় লাখ রুপি। মানে তিনি একটি গানের জন্য পারিশ্রমিক নেন নয় লাখ রুপি।
সুখবিন্দর সিংয়ের কণ্ঠের জাদুতে পাগল হননি, এমন মানুষ কম আছেন। এই ‘ছাইয়া ছাইয়া’ তারকা একটি গানের জন্য গুনে গুনে ১০ লাখ রুপি নেন। গানের সুরে পাগল হয়ে যায় মন। তারপর আসুন ভালোবাসার মানুষ গান পাগল মানুষ আমাদের সবার প্রিয় সনু নিগমের কথায়।
ভারত ও উপমহাদেশের জনপ্রিয় গায়ক সনু নিগমও প্রতি গানের জন্য ১০ লাখ রুপি চার্জ করেন। এই শিল্পীর জনপ্রিয় গানের তালিকা বলে শেষ করা যাবে না। যা গেয়েছেন সব ভালো লাগার মত গানই। আরেক জন বিশাল দাদলানি।
বিশাল দাদলানি গায়কের থেকে সঙ্গীত পরিচালক ও গীতিকার হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে গানও এই শিল্পী কম ভালো গান না। টাইগার জিন্দা হ্যায় ছবির নতুন গান ‘সোয়াগ’ শুনলেই তা বোঝা যায়। আজ পর্যন্ত ৩০০ গানের সুর করেছেন বিশাল। আর তিনি নিজে কোনো গানে কণ্ঠ দিলে নেন ১০ লাখ রুপি।
সুনিধি চৌহান ধুমধাড়াক্কা গান যেমন ভালো গাইতে পারেন, তেমনি ধীর লয়ের গানেও রয়েছে তাঁর চাহিদা। বলিউডের এই ‘মেলোডি কুইন’ শীর্ষ আয়কারী শিল্পীদের মধ্যে আছেন চার নম্বরে। তাঁর প্রতি গানের পারিশ্রমিক ১১ লাখ রুপি। যুবক সম্প্রদায় তাঁর গানে ভালো লাগা খুঁজে পায়। তিনি গানের তালে ঝড় তুলে দেন সবার হৃদয়ে। তারপর আরেক নাম করা জনপ্রিয় শিল্পী অরিজিৎ সিং।
বলিউডের বর্তমান মিউজিক্যাল সেনসেশন অরিজিৎ সিং। রিয়্যালিটি শো ফেম গুরুকুল -এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন এই শিল্পী। ছবিতে এখন অরিজিতের গাওয়া একটি গান না থাকলে যেন চলেই না। সময়টা এখন তাঁর। অরিজিতের প্রতিটি গানের পারিশ্রমিক আকাশচুম্বী। শুনবেন কত? ১৩ লাখ রুপি। কন্ঠের কি যাদু বললে বিশ্বাস করবেন না। তাই শুনে দেখুন। তারপর চলুন জেনে নেই মিকা সিং এর কথা। আচরণের কারণে মিকা সিংকে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, এটা সত্যি। তবে তাঁর গান শুনলে নিজের অজান্তেই যে শরীর নেচে ওঠে, কেউ সে কথা অস্বীকার করতে পারবেন না। মিকা সিং এখন বলিউডে অনেক ধরনের গান গাইছেন আর একেকটি গানের জন্য নিচ্ছেন ১৩ লাখ রুপি। তারপর হানি সিং। আসল নাম হিরদেশ সিং, কিন্তু এই গায়ক নিজের নাম রেখেছেন ‘ইয়ো ইয়ো হানি সিং’। ভারতের এই সঙ্গীতশিল্পী ও র্যাপারের একটি গান গাওয়ার পারিশ্রমিক শুনলে চোখ কপালে উঠবে। হানি সিং প্রতিটি গানে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য পকেটে ভরেন ১৫ লাখ রুপি। কম কথা না। একটা গানের জন্য ১৫ লাখ। কেমন কন্ঠ হলে এক গানের দাম এতো টাকা হয়।
তারপর আসি ভারতের একজন নাম করা শিল্পী। যার কন্ঠের যাদুতে পাগল করেছে গোটা বিশ্বকে। কি কন্ঠ তার! শ্রেয়া ঘোষাল যেমন দেখতে মিষ্টি, তেমনি মধুর তাঁর কণ্ঠ। আর তাঁর গায়কির যে শক্তি, তা তো শ্রোতাদের ভালোই জানা।
তিনি এখন বলিউডের শীর্ষ আয় করা সঙ্গীতশিল্পী। একটি গানে শ্রেয়া ঘোষাল আয় করেন ১৮ থেকে ২০ লাখ রুপি। এবার বলেন একগানে কি সারা বছর চলার মতো না ? অব্যশই একটা গানের পারিশ্রমিক দিয়ে একবছর বসে বসে খেতে পারে।
শ্রদ্ধা প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই এই যাদু কন্ঠের শিল্পীদের। আমাদের আরো ভালো ভালো গান শুনাবেন এই আশায় সঙ্গীতাঙ্গন।