– রোদলা জয়ী।
সঙ্গীত বাঙালির ব্যক্তিমানুস ও সমাজ মানুসের একটি সহজ প্রতীক। মানুষের প্রতিনিয়ত জীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না এ সবকিছুর পাশাপাশি সঙ্গীত অনাবিল আনন্দ এবং শান্তির পরশ বয়ে আনে।
সঙ্গীতাঙ্গন দেশের প্রথম সংগীত বিষয়ক পত্রিকা, এর প্রকাশকাল ১৯৯২ হন। গত আট বছর ধরে অনলাইন পত্রিকা হিসাবে সঙ্গীত পিপাসুদের বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কাজ করে আসছে।
সঙ্গীতাঙ্গন এর ফেসবুক পেইজের লাইভে আজ গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং মঞ্চের শিল্পী নজিবুল হক নজিব। শিল্পীর জন্ম ২৭ মার্চ ঢাকা নারিন্দা শাহ সাহেবের বাড়িতে। তিনি রায়ের বাজার হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থণীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অপরিসীম আকর্ষণ। দুরন্ত শৈশব ও কৈশোরে টেবিল চাপড়ে গান গাওয়া শুরু, পরবর্তীতে ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন থেকে সংগীতের উপর ছয় বছরের প্রাতিষ্ঠানিক সমাপনী কোর্স কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। পরিবারের মধ্যে ও সঙ্গীতের একটি আবহ সব সময়ই বর্তমান ছিল। বড় ভাই রিয়াজুল হক ফরহাদ এর কাছে প্রাথমিক হাতে খড়ি।
ছায়ানটে গান শেখার সুবাদে ড. সনজিদা খাতুন, ওয়াহিদুল হক, জাহিদুর রহিম, আব্দুল আহাদ, তাহমিনা রাব্বানী (শাম্মী), সেলিনা মালেক এবং উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে ওস্তাদ নারায়ণ চন্দ্র বসাক, ওস্তাদ মিথুন দে, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ প্রমুখের কাছে তালিম নেওয়া ছাড়াও প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস, গোলাম হোসেন (লাবু) এবং সেলিম আশরাফ সহ প্রমুখ গুণী ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে থেকে শিল্পী নজিবুল হক নজিব গায়কী এবং কারুকার্য তাদের কাছ থেকে নেবার প্রয়াস পান।
সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ ড. নুরুল আনোয়ার, বেতারের সাবেক পরিচালক জনাব হাসান জামিল এবং সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান প্রমুখ সঙ্গীতের এইসব দিকপালদের শীর্ষ হিসেবে ঘনিষ্ঠ সাহচার্য্যেও আসেন তিনি। এদের শিষ্যত্বের মাধ্যমে নজিবুল হক এর সংগীত প্রতিভার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়।
ছায়ানটে ১৯৭৬ সনে ভর্তির পর থেকে ১৯৮২ সন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পর রেডিও এবং টেলিভিশনে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে জেলা ভিত্তিক ও দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুনাম এবং কৃতিত্বের সাথে সনদ অর্জন করেন। সঙ্গীত জীবনে অনেক বিদেশী সংগীত গুরু যেমন: গোলাম আলী পঙ্কজ উদাস সংগীতপরিচালক নাদিম শ্রাবন এবং আরো অনেকের সংস্পর্শে আসেন।
তিনি দুই কন্যার জনক। এই বিবাহোত্তর জীবনে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম কালে সংগীতচর্চায় কিছুটা ছেদ ঘটলেও সঙ্গীত চর্চা থেকে তিনি কখনোই দূরে অবস্থান করেননি, সাধনায় মগ্ন থেকে তাকে অব্যাহত রাখতে তিনি নীরত সচেষ্ট ছিলেন।
পঞ্চকবির গানের পাশাপাশি এপার এবং ওপার বাংলার বেশকিছু আধুনিক গান দিয়ে সাজানো হয়েছে সঙ্গীতাঙ্গন ফেইসবুক পেইজের লাইভে আজকের এই বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ গুণী শিল্পীর গানের সম্ভার। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। লাইভ অনুষ্ঠানটি দেখতে এই পত্রিকার পেজের সাথেই থাকুন। এখানে ফেসবুক লাইভটি সম্পৃক্ত করা হবে।
ছবি – ইরফান খান।