asd

আলাউদ্দিন আলী’র জনপ্রিয় গানগুলো তাঁর এক একটি বিশেষ অবদান – সুরের যাদুকর শেখ সাদী খান…

– কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।

মানুষ চলে যায় রেখে যায় স্মৃতি
দিন গেলে স্মৃতিগুলোর হয়ে যায় ইতি…

আসলে কি তাই ? নাহ, আসলে তাই নয়! কেননা অনেক মানুষ তাঁর নিজস্ব কর্ম দ্বারা আজীবন মানুষের মাঝে স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকে। তেমনই একজন মানুষ ছিলেন গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী। যিনি পাঁচবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে পুরস্কারগুলো যে সকল চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন তা হলো- গোলাপি এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯), কসাই (১৯৮০), যোগাযোগ (১৯৮৮) এবং লাখে একটা (১৯৯০)। তাছাড়াও তিনি শ্রেষ্ঠ মিউজিক কম্পোজার হিসেবে চলচ্চিত্র লাল দরিয়া (২০০২), শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে চলচ্চিত্র প্রেমিক (১৯৮৫) -এ চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ইফাদ ফিল্ম ক্লাব অ্যাওয়ার্ড এবং বাচসাস অ্যাওয়ার্ডে ভুষিত হন। সে তিন’শত চলচ্চিত্রের গানে সুর করেছেন। এই জনপ্রিয় সুরকার,গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী গত ৯ আগস্ট, ২০২০-এ সঙ্গীতাঙ্গনকে অনেকটা শূন্যতায় ভাসিয়ে দিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।

এই জনপ্রিয় সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালকের কথা জানার জন্য শরণাপন্ন হয়েছিলাম আরেকজন অসাধারণ সুরের যাদুকর, স্বনামধন্য জনপ্রিয় সুরকার শ্রদ্ধেয় শেখ সাদী খানের কাছে। যার ব্যক্তিগত ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য জাতীয় পুরস্কার এবং একুশে পদক। তাছাড়া আরও বিভিন্ন পুরস্কারতো আছেই! শ্রদ্ধেয় শেখ সাদী খানের সাথে আলাপচারিতায় শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলীর সম্পর্কে অনেক কিছু যেমন জেনেছি তেমনি জেনেছি তাঁর কাছ থেকে সঙ্গীতাঙ্গনের নানান অনিয়মের কথা। শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুরের যাদুকর শ্রদ্ধেয় শেখ সাদী খান বলেন- মানুষ আজকে মরলে কালকে দু’দিন! এটা চিরন্তন সত্য, মানুষ পৃথিবীতে আসবে আবার চলেও যাবে। কিন্তু মানুষ এই পৃথিবীতে এসে তাঁর সৃষ্টিশীল কর্ম রেখে যাবে। সেই সুকর্মের ফলে মানুষ তাঁকে ভালোবাসবে, মনে রাখবে এবং সম্মান দিবে। আর কোনো মানুষ যদি কুকর্ম করে তাঁকে অন্যান্য মানুষ বকাবকি করবে, ঘৃনা করবে তাই না ? যাই হোক, আলাউদ্দিন আলী আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনে তাঁর অনেক সৃষ্টিশীল কাজ রেখে গেছেন, যে কাজগুলো তাঁকে মানুষের ভালোবাসা দিবে এবং শ্রদ্ধা দিবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময় যে কয়েকজন প্রতিভাবান সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক আধুনিক সঙ্গীতে একটি নতুন ধারা প্রবর্তন করেন এবং আধুনিক সঙ্গীতকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রতিষ্ঠিত করেন তাঁদের মধ্যে আমি শেখ সাদী খান, আলাউদ্দিন আলী, লাকী আখন্দ, আলম খান যদিও আমাদের চেয়ে বয়সে একটু সিনিয়র ছিল তবুও সে ছিল আমাদের বন্ধু মানুষ এবং আমাদের ব্যাচেরই একজন। তখন আনোয়ার পারভেজসহ অনেকেই ছিল তবে তাঁরা আমাদের অনেক সিনিয়র ছিল। যাই হোক, স্বাধীনতার পরে আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে আমরা স্বাধীনভাবে গড়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের মত করে আমরা গান করেছি, আমাদের মত করে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে গান আকারে প্রকাশ করেছি। সেখানে আলাউদ্দিন আলীও তাঁর চিন্তাভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সে প্রচুর কাজ করেছেন। এমনকি তাঁর অনেক গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই গানগুলো তাঁর এক একটি বিশেষ অবদান। এই ধরণের কাজ করতে ৩০/৪০ বছরেও আসেনি কেউ! এখানে বলতে হয়, লাকী আখন্দের মতও কেউ আসেনি, আলাউদ্দিন আলীর মতও কেউ আসেনি এমনকি শেখ সাদীর মতও কেউ আসবে না।

– আসলে যারা চলে যায় তাদের মত কেউ আর আসেও না এবং তাঁদের মত কেউ হতেও পারেনা। এটা একদম যার যার নিজস্ব প্রতিভা।

– ঠিক বলেছো! আরেকটা বিষয় আমাদেরকে যারা ফলো করছে বা অনুসরণ করছে, তারা হয়তো বাংলা গানকে ঠিক রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু যারা আমাদেরকে ফলো করেনি, আমাদেরকে অনুসরণ করেনি এবং সারা পৃথিবীর গান মিলিয়ে ঝিলিয়ে জগাখিচুড়ী করছে! তারা আমাদের বাংলা গানের অস্তিত্ব কিভাবে টিকিয়ে রাখবে ? শুধু বাংলা গানের কথা বলছিনা! আমাদের বাংলা গানের সাথে সমাজ, বাংলা সংস্কৃতি জড়িত। যেহেতু বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে সমাজ জড়িত, সেখানে আমাদের সমাজ কোন্ পথে আছে ? এগুলো অনেক গভীর আলোচনা। যাইহোক, এত গভীর আলোচনায় এখন যেতে পারবো না তবে তারা আমাদের সংস্কৃতি যদি ঠিক রাখতে পারে তবে বাঙ্গালিত্ত্ব থাকবে। আর যদি আমাদের সংস্কৃতি ঠিক না রাখতে পারে তাহলে আমরা পরিচয়হীন হব। প্রত্যেক জাতির একটি পরিচয় আছে। তাই বাংলা সঙ্গীতের যে নির্দিষ্ট ব্যাপার আছে, বাংলা সঙ্গীতের যে একটি মুল ধারা আছে, সেটাকে আমরা যত্নশীল করে বৈজ্ঞানিকভাবে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি ? আমরা কি আমাদের বাঙ্গালিত্ত্বকে ঠিক রাখতে পারছি, না পারছি না ? এই প্রশ্নের কিছুই এসে যায় না কারো কাছে। আমি শুধু বলব, এটার দায়দায়িত্ব শুধু আমার একার না! এটার দায়দায়িত্ব সমগ্র শিল্পী সমাজের, সমগ্র সংস্কৃতি সেবকদের। এটা কারো ব্যাক্তিগত ব্যাপার না।

– এখন আবার আলাউদ্দিন আলীর প্রসঙ্গে আসি, হি ওয়াজে গুড ক্রিয়েটর। তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবে এবং তাঁর সুন্দর কর্মগুলোর জন্য অবশ্যই মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে সম্মান দিবে। একজন ভালো চিন্তাধারার মানুষ ছিল সে। তাঁর চিন্তাধারাটি এমন ছিল যেন সঙ্গীতকে আমরা সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তারপরেও কিছু কিছু কমার্শিয়াল কাজ থাকে তা করতেই হয়।
এই সঙ্গীতজগতে আরেকটি বিষয় আছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা আজ না বললেই নয়! আলাউদ্দিন আলীকে অনেকেই সুর সম্রাট হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, এসব কথা না বলাই ভালো কারণ সুর সম্রাট অন্য জিনিস! আমাকে যদি কেউ সুর সম্রাট বলে ফেলে তাতে আমি ভীষণভাবে লজ্জিত হই। কারণ আমি সুর সম্রাট না, আলাউদ্দিন আলী সুর সম্রাট না, সত্যসাহাও সুর সম্রাট না। সুর সম্রাটের সম্মাননা রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া হয়! বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে একজনকেই সুর সম্রাটের সম্মাননা দেয়া হয়েছিল। আর সেই সুর সম্রাটের উপাধি লাভ করেছিলেন শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ। বাংলাদেশে সুর সম্রাট এই একজনই ছিলেন। অথচ আমরা এতই আবেগপ্রবণ যে, আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা মানুষের যে নিজস্ব সম্মান আছে সেই সম্মানহানী করার জন্য অনেক কিছু বলে ফেলি যেমন- সুর সম্রাট, সুর সাগর ইত্যাদি। তবে আমরা আলাউদ্দিন আলীকে সুরের যাদুকর বলতে পারি। যে কোনো গান সবার অনেক ভালো লেগে যেতে পারে। তাই আমি বলি মিউজিক ইজ ম্যাজিক।

– গানের সুর, সম্মোহনী করে এমন যাদু বলতে পারি আমরা, তাই না!

– রাইট! যদি একটি গানের কথা, সুর, গায়কি সুন্দর হয় তখন এই তিনটির সমন্বয়ে এটি ইন্দ্রজাল তৈরি করে ফেলে এবং তখন একজন ক্রিয়েটরের সাফল্য সেখানেই। তাই তাকে সুরের যাদুকর বলা যায় তবে সুর সম্রাট বলা ঠিক না। এভাবে বললে আমাদের সম্মানের চেয়ে অসম্মানই করা হয়। হি ওয়াজ এ গুড ক্রিয়েটর। এটা অবশ্যই বলতে পারি, আলাউদ্দিন আলীর সুন্দর কর্মই তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। এরকম অনেক ক্রিয়েটর আছে যেমন সত্য সাহা, নুরুল আলম যারা নিজেদের কাজের জন্য একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন এবং সাফল্য লাভ করেছেন। তাই বলে তো তাঁদেরকে আমরা গানের পিতা বলতে পারি না! এন্ড্রু কিশোরকে প্লেব্যাক সম্রাট বলা হয়েছে, এগুলো ঠিক না। এন্ড্রু কিশোর ঐ সময় থেকে যে পর্যন্ত গান গেয়েছে, সে মানুষের মন জয় করতে পেরেছে। সে মানুষের রুচিবোধ বুঝতে পেরেছে, তাই ঐ সময় সে দাপটে গান গেয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে আব্দুল হাদী কি তাঁর সময়ে প্লেব্যাক সম্রাট হতে পারতেন না! আমি বা আমরা তাঁদের উপাধি দেয়ার কে ?

– আসলে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, যার যা সম্মান তাঁকে তা দিতে আমরা কুন্ঠিত হবো না এবং এমন কিছু লিখব না বা বলবো না! যার কারণে তাঁদের সম্মানহানি হয়।

– ঠিক তাই! সবার এদিকে সচেতন হতে হবে।

– শ্রদ্ধেয় আল্লাউদ্দিন আলীর গানগুলো সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে আপনার মতামত যদি জানাতেন!

– আমাদেরতো গান সংরক্ষিত করে রাখার মত লাইব্রেরী নেই! তবে তাঁর গানগুলো আছে এবং থাকবে, হারাবে না। এমনকি কারো গানই আর হারাবে না। এখন তো প্রযুক্তির যুগ। তাই গুগুলে থাকলেই থেকে যাবে। তাছাড়া আলাউদ্দিন আলীর নিজস্ব চ্যানেল আছে। সেই চ্যানেলেই তাঁর গানগুলো সংরক্ষিত থাকবে।

– সম্প্রতি আপনাকে সামনে রেখে সকল সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক একটি সংগঠন গঠন করেছেন। এই সংগঠনের মুল ব্যাপার কি, একটু বলবেন কি!

– হ্যাঁ, আমরা সকলের স্বার্থে একটি সংগঠন গঠন করেছি। আমাদের সংগঠনের মুল ব্যাপার হল, একটি গানের রয়েলিটি কেউ পাচ্ছেনা! সুরকার, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক এমনকি গায়ক গায়িকাও রয়েলিটি পাচ্ছে না। চুরি করে আমাদের গান বাজাচ্ছে আর বাজাচ্ছে! আমরা তো আমাদের টাকা বা রয়েলিটি পাচ্ছি না! যেখানে কপিরাইট আইন আছে। আমার কথা হল কপিরাইট আইন আছে, সেটা কার্যকর হচ্ছে না কেন ? যারা এই কপিরাইট সংস্থার সাথে জড়িত, সেখানে অনেক চোর বাটপার আছে। এই সকল চোর বাটপারদের ধরে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে। দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিলেই একটি সিস্টেমে চলে আসবে। একজন শিল্পী সারাজীবন তাঁর কাজ করে জীবদ্দশায় তাঁর প্রাপ্য সম্মানী বা রয়েলিটি পেল না এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করবে, এটা ঠিক না। যদি শিল্পীরা ঠিকমত রয়েলিটি পেত তাহলে তাঁদের অসুস্থতার সময় সরকারের কাছে হাত পাততে হতো না। বরং রয়েলিটি পেলে সে পৃথিবী থেকে চলে গেলেও তাঁর পরিবার বা বংশপরাম্পরায় কাজে আসতো। অথচ আমাদের দেশে কপিরাইট আইন থাকতেও বিভিন্ন শিল্পীরা তাদের যোগ্য সম্মানীটুকু বা রয়েলিটি পাচ্ছে না। তাই আমাদের সংগঠন শিল্পীদের এই যোগ্য সম্মানীটুকু ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই কাজ করবে।

– শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলীর সাথে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-

– আলাউদ্দিন আলীর সাথে আমার দূরত্ব ছিল কারণ সে বয়সে আমার চেয়ে ছোট ছিল। যদিও কাজ করতাম দু’জনেই সঙ্গীতের ওপর কিন্তু দু’জনে দুই গ্রুপে কাজ করতাম তো! তাই কখনো কখনো দেখা হত, সব সময় না।
যেমন সংগঠন করতে গিয়ে দেখা হয়েছে, কথাবার্তা হয়েছে। ওর সার্কেলটা আর আমার সার্কেলটা ভিন্ন ছিল। এক একজনের চয়েসতো এক একরকম থাকে! যারা ওর চয়েসের ছিল তাঁরা ওর সাথে কাজ করেছে আর আমার চয়েসের যারা ছিল তাঁরা আমার সাথে কাজ করেছে। তবে অনেক সময় আমাদের উভয়ের সাথেও কাজ করেছে অনেকে। তাঁর সাথে যেহেতু দূরত্ব ছিল বয়সের দিক থেকে, সেই কারণে সে আমাকে ভাই ডাকতো। তাছাড়া আমি আমার স্কুল জীবনে মতিঝিল কলোনিতে ছিলাম, ভাইয়ের বাসায়। আলাউদ্দিন আলীর বাবাও রেডিওতে চাকুরী করত তখন ওরাও মতিঝিল কলোনিতে থাকতো। তখন প্রায়ই দেখা-সাক্ষাত হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন সঙ্গীতে কাজ করতে আসলাম তখন আমি আর সে দু’জনেই মিউজিক কম্পোজার তাই আমাদের একসাথে বসে কোনো কাজ করা হয় নি। আমরা আলাদা আলাদাভাবেই কাজ করতাম। যার কারণে বয়স হোক আর কাজের ক্ষেত্রে হোক দু’জনের দূরত্ব ছিল খুব বেশী। তবে দু’জনেই দু’জনের কাজ পছন্দ করতাম এবং ভালো কাজের প্রশংসা করতাম। দেখা-সাক্ষাত তেমন না হলেও আমাদের সুন্দর সম্পর্ক ছিল। যেহেতু সে আমার ছোট তাই আমার স্নেহভাজন ছিল। তবে সে আমার চেয়ে অনেক বেশী কাজ করেছে। তাই বলতে চাই সে তাঁর কাজের মাধ্যমে সফলতা নিয়েই গেছে এবং তাঁর সৃজনশীল কাজগুলো রেখে গেছে মানুষের শোনার জন্য। তাই মানুষ সেগুলো শুনবে এবং নতুন নতুন শিল্পীরা তাঁর কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হবে। দোয়া করি সে যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।

সঙ্গীতাঙ্গন এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাদের দু’জনের জন্য রইলো, অসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

Related Articles

1 Comment

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles