– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
পৃথিবী জুড়ে চলছে এখন বিপন্ন সময় ! এরই মাঝে আবার ঘটে যাচ্ছে কত কিছু। হচ্ছে কত প্রণয়! আজ আপনাদের শোনাবো এই সময়ের ভিন্ন স্বাদের কিছু কথা। শোনাবো বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী অবিনাশ বাউল এবং সেতারবাদক জ্যোতি ব্যানার্জির প্রণয় জীবনের কথা। এমন সময়ই কেন এমন ঘটনা ঘটাতে হলো ? কেমন যাচ্ছে তাদের দিনকাল ? এসব নিয়ে এই আয়োজন।
অবিনাশ বাউল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,-
কনের নাম নুপুর মন্ডল, আমার ও আমার স্ত্রীর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলাতেই। আমাদের বিয়েটা হয় গত ২৫শে জুন।
লকডাউনে বিয়ে করলাম, কারণ পাত্রী এবং বিবাহের দিন তারিখ আগেই ঠিক করা ছিল, কিন্তু হঠাৎ করোনাকাল চলে আসাতে এর মধ্যেই সীমিত পরিসরে বিবাহ কার্য সম্পন্ন করতে হলো। করোনাকাল কবে শেষ হবে বলাতো যায়না তাই এমন সিন্ধান্ত।
এটাও এক নতুন পাওয়া নতুন অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তিনি।
![](https://shangeetangon.org/wp-content/uploads/2020/10/55-187x300.jpg)
তিনি আরো জানান,
অনেক ইচ্ছে ছিলো, বড় আয়োজন করে বিয়ে করার, বড় কনসার্ট হবে বন্ধু-বান্ধব আসবে আনন্দ করবে। নিজের বিয়েতে নিজেই গান গাইবো কত স্বপ্ন। ভাগ্যে হয়তো এমনটাই ছিলো। তবে আমি অসুখী নই, এমন দুঃসময়ে পাশে একজন সঙ্গী পেয়ে সত্যি আনন্দিত আমি। তবে আনন্দের পর্ব এখনো শেষ হয়ে যায়নি, সামনে ইচ্ছে আছে দিনকাল ভাল হলে বৌভাতের অনুষ্ঠান ও সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করার।
অবশেষে তিনি বলেন,
আমি কত বিয়ের অনুষ্ঠানে গান করে সকলের আনন্দের উৎস হই আর আমার বিয়েতে কোন আনন্দ হলো না! এটা ভেবে একটু দুঃখ হয়। তবে পরবর্তী সময়ে আনন্দটা পুষিয়ে নেবার ইচ্ছে আছে। এবং সকলে আর্শীবাদ করবেন, আমার নতুন জীবন যেন সুখী ও সুন্দর হয়। করোনার এই দুঃসময় পার করে সুদিন আসবে, সেই সোনালী দিনের প্রতীক্ষায়।
![](https://shangeetangon.org/wp-content/uploads/2020/10/56-230x300.jpg)
এবার দেখা যাক সেতার বাদক জ্যোতি ব্যানার্জীর কী ‘প্রাপ্তি’!-
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অন্তর্ভুক্ত সেতার বাদক জ্যোতি ব্যানার্জি । তিনি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার মাইজমাড়া গ্রামের সন্তান। একই দিনে তিনিও প্রাপ্তি নামের নিজ জেলার এক কন্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
এখন কথা হল, কেন তিনি এই করোনাকালীন সময়ে এমন শুভ কর্মে লিপ্ত হলেন ? কেমন কাটালেন তাদের বিবাহকালীন সময় এবং কেমন যাচ্ছে বর্তমানের দিনগুলো ?
আরো বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্যোতি ব্যানার্জি বলেন, আমাদের বিবাহটা আসলে ঠিক হয়েছিল করোনার লকডাউন শুরু হওয়ার পূর্বেই। তো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যে তিথি অনুযায়ী বিবাহের সময় নির্ধারণ করা হয় সে সময়েই সম্পন্ন করার প্রচলন আছে। তাই যেহেতু সময় পূর্ব নির্ধারিত ছিল সেই সূত্র ধরেই বিবাহের কার্য সম্পন্ন করা। তবে অনেক আশা ছিল অনুষ্ঠান আনন্দের সাথে দিনগুলো কাটবে। কিন্তু এই মহামারী করোনা এসে তা আর সম্ভব হলো না।
কেমন কাটছে দিনগুলো ?
জ্যোতি ব্যানার্জি বলেন, এইতো ভালোই কাটছে তবে লকডাউন এর ভিতরে আটকে আছি। সবকিছুই যেন থমকে আছে! আবার এরই মাঝে এক দুঃখের সংবাদ, আমাদের একজন আত্মীয় মৃত্যুবরণ করেছেন (তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি) একাধারে তিনি মামা এবং মামা শ্বশুর। যে কারণে আরো কোথাও বের হতে পারছি না।
কে এই প্রাপ্তি ? পূর্বের কোন সম্পর্ক ছিল কি ?
– আসলে বিবাহটা পারিবারিক ও সামাজিক ভাবেই হয়েছে, আর এই প্রাপ্তি’ হল আমার বড় জেঠিমার বোনের মেয়ে। সেই সূত্রে আমাদের পূর্বের চেনাজানা ছিল।
সব মিলিয়ে ভালোই কাটছে দিনগুলি এবং তিনিও সবার কাছে আশীর্বাদ/দোয়া প্রার্থনা করেন।
শুভ হোক আপনাদের আগামী দিনগুলি এই কামনায় ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পরিবার।
শুভকামনা ও ভালবাসা সবসময়