Friday, March 29, 2024

মাকে ছাড়া জন্মদিনে বিশ্বজিৎ…

– শাহরিয়ার খান সাকিব।

জন্মিলে মরিতে হবে,
এইতো বিধির খেলা,
তবু মানুষ দুনিয়াকে
সাজায় রঙ্গ মেলা।
আজ আছি তো কাল রবোনা
চলে যেতে হবে,
আমার নামের চিঠি নিয়ে
আজরাইল আসিবে।

রং তামাশার এই দুনিয়ায় মানুষ জন্ম নিবে আর জন্ম নিলে মৃত্যুবরণ করতে হবে এটাই চিরচারিত নিয়ম। হয়তো আজ বেঁচে আছি কাল থাকবো না। বিধাতার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাবো পরপারে। আদি থেকে অনন্ত কাল পর্যন্ত বিধির এই বিধান চলতে থাকবে এর উপরে কারো হাত নেই। তবুও আপনজন যখন মমতার বাঁধন ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে, তখন শত চেষ্টায়ও মনটাকে আর বেঁধে রাখা যায় না। দুঃখ নিয়ে মনটা মাঝে মধ্যে হু হু করে কেঁদে ওঠে। আর যদি হয় সেটা মায়ের চলে যাওয়া তাহলেতো আর সহ্য করা যায় না। মেনে নেয়া যায় না চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু। তারপরেও মেনে নিতে হয় মেনে নিতে হবে। মা চলে যাবার পর তার অভাবটা সন্তানের চোখের সামনে সাদৃশ্য হয়। তখন বুঝা যায় মা যে কতটা জায়গা ধরে স্থান করে নিয়েছিল। সে মাকে গত ডিসেম্বরের ১২ তারিখে হারিয়েছেন চিরসবুজ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। যে মায়ের অনুপ্রেরণায় এবং সহযোগিতায় আজকে কুমার বিশ্বজিৎ এর এই অবস্থান। সেই মাকে ছাড়া আজ তার জীবনের প্রথম জন্মদিন। তিনি বলেন, কি বলবো গতবছর এই দিনে মায়ের সাথে কাটিয়েছি। আজ মা নেই। মনটা খুবই ভারাক্রান্ত। খুব মিস করছি মাকে।

করোনার এই ক্রান্তিকালে নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছাস নেই, আনন্দ নেই। অবশ্য কখনোই জন্মদিন নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন হতো না। তবুও জন্মদিন কীভাবে উদযাপন করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে জীবন জীবিকার এতো বেশি দুঃশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা-সেখানে আমার জন্মদিনটি আসলে বড় বেশিই গৌণ হয়ে যায়। সারা বিশ্বের মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও দুর্বিষহ সময় পার করছেন। আনন্দ উদযাপনের বিষয় এড়িয়ে মানুষ এখন জীবন-জীবিকা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। করোনার সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে অসামাজিক হয়ে যাওয়া। অথচ জন্মদিন একটি সামাজিক বিষয়। সেই সামাজিকতার ন্যূনতমটুকুও করা যাবে না। তাই দিনটি নিয়ে ভীষণভাবে ভাবারও অবকাশ নেই।
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, মাকে ছাড়া আমার জীবনের প্রথম জন্মদিন। এমনিতেও ভালো কাটতো না এবং সবমিলিয়ে ভালো কাটবেও না।
এদিকে লকডাউনের এই দিনগুলোতেও কুমার বিশ্বজিতের সার্বিক পরিকল্পনায় ও সুরে দুটি গান প্রকাশ হয়েছে। দুটি গানই লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন কিশোর। গান দু’টির একটি হচ্ছে ‘লকডাউন’ এবং অন্যটি হচ্ছে ‘ঈদ আনন্দ’। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশীতা, ইমরান, লিজা ও কিশোর।
সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। এবং তার মায়ের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ভালো থাকুক ওই পারে।
সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকুন সঙ্গীতকে ভালবাসুন বাংলা সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকা পড়ুন।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles