মোশারফ হোসেন মুন্না।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বাজানো শুরু। ১৯৯১ সালের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজের শুরুটা করে বুজিয়েছেন আমরা এগিয়ে যাবো, এগিয়ে যেতে চাই আমরা এগুবই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ্যালবামের মধ্যে দিয়ে। যদিও প্রাথমিক শুরুটা ছিল দুটি ইংরেজি গানের মাধ্যেমে। চাঁদ তারা সূর্য, প্রথম প্রেমের মতো, গুঞ্জন শুনি, সে কোন দরদিয়া, ফিরিয়ে দাও, ধ্বিকি ধ্বিকি, পাহাড়ি মেয়ে, নীলা, কী জাদু, কতকাল খুঁজবো তোমায়, হৃদয়হীনা, স্বপ্নভঙ্গ, জ্বালা জ্বালা, শেষ ঠিকানা, পিয়াসি মন, বলবো না তোমাকে, জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন, প্রিয়তমা মেঘ ইত্যাদি গানের মধ্যে দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। হয়তো ভাবছেন কি বলছি, কিসের কথা বলছি শিল্পী না ব্যান্ড।
জ্বি হ্যা আমরা বলছি বিখ্যাত ব্যান্ড মাইলসের কথা। মাইলস এবং এ স্টেপ ফাদার নামে দুটি ইংলিশ এ্যালবাম তাদের সূচনা। তারপর থেকে বাংলায় প্রতিশ্রুতি এ্যালবাম হবার পর তাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হইনি। এ পর্যন্ত ১১টি এ্যালবাম এবং ৪টি বেস্ট এ্যালবাম করেছেন মাইলস। চারটি বেস্ট এ্যালবামের দুটি ভারত থেকে বাকি দুটি যুক্তরাষ্ট থেকে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথম বারের মত যুক্তরাষ্ট্রে শো করে মাইলস। এর আগে কখনো কোন ব্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রে শো করার জন্য যাইনি। ১৯৭৯ সালে তাদের যাত্রা শুরু হলেও তাদের তেমন কোন পরিচিতি ছিলো না। চিনতো না সবাই৷ পরিবেশটাও তাদের তেমন ছিলোনা। কিন্তু তারা তবুও ব্যান্ডটিকে আকড়ে ছিলো। আর আকড়ে ধরার পর সামনে তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৮২ সালটি ছিলো তাদের জন্য আনন্দের বার্তা। কারণ তখন থেকেই জনসম্মুখে হাজির হন মাইলস। দীর্ঘ ৪০ বছর তাদের গানের সাথে পথ চলা। যদিও কিছুদিন পরপর তাদের মধ্যে একটা ভাঙ্গা গড়া খেলার কাঁনাঘোষা চলে। কিন্তু গানের কাজ থেমে নেই। চলতি বছরের জুনে তাদের মধ্যে থেকে ঘোষণা আসে দেশের বাইরে দীর্ঘ কনসার্টের। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যেমে তাদের কনসার্ট শুরু হয় কানাডার পরে অস্ট্রেলিয়া দিয়ে শেষ করেন। মাইলেসর ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই আয়োজন সাজিয়েছিলেন ২৮টি কনসার্টের মাধ্যমে। তার মধ্যে ১৮টি যুক্তরাষ্ট্রে, ৭টি কানাডায় এবং ৩টি অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়াতে। একটানা এতো বড় বিদেশ সফর বাংলাদেশের কোন ব্যান্ডের জন্য এটাই প্রথম। অস্ট্রেলিয়ায় তিন কনসার্টের মাধ্যমে শেষ হয় তাদের এই সফর। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম কনসার্ট ছিল ১৯ অক্টোবর সিডনিতে, এরপর ২৬শে অক্টোবর ব্রীসবেনে এবং ২ নভেম্বর মেলবোর্নে। তারপর ফিরে আসা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে মাইলস এখন বাংলাদেশে। তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আগামীর পথ চলা হোক আরো সুন্দর ও প্রানবন্ত সেই শুভ কামনায় সঙ্গীতাঙ্গন।
![](https://shangeetangon.org/wp-content/uploads/2020/11/046-684x1024.jpg)
![](https://shangeetangon.org/wp-content/uploads/2020/11/045-684x1024.jpg)
![](https://shangeetangon.org/wp-content/uploads/2020/11/048-684x1024.jpg)
![](https://shangeetangon.org/wp-content/uploads/2020/11/047-1-684x1024.jpg)