– সালমা আক্তার।
নিবু নিবু আশার প্রদীপ সূর্য রাগে রঞ্জিত ভোরের প্রত্যাশায় জ্বলছে এখনো, প্রতিক্ষিত স্বজন কান পেতে আছে ওই বুঝি দক্ষিণা হাওয়ায় আওয়াজ ভেসে উঠছে, ফিরে এসেছে জাদুকরী তারকা কন্ঠ সুবীর নন্দীর। টানা ১৮ দিন পর হাসপাতালের বিছানায় চোখ-বুঁজে সারাহীন পড়ে ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত বরেণ্য কন্ঠ শিল্পী সুবীর নন্দী, অনেক প্রতিক্ষার পর আশার আলো জ্বেলে জীবনের কথা বললো নিথর দেহ প্রাণ, ৩মে চোখ খুলল সুবীর নন্দী, পরম প্রিয় মুখ সুবীর নন্দী চোখ মেলে মেয়ে ফাল্গুনীকে দেখে অজান্তে চোখের ভেতর ভেসে উঠল নিশ্বাস ভারী করা মেঘমালার কণাগুলো, উছলে পড়া জলের ধারা, এ জল কিসের কথা কয় ? একি আনন্দ অশ্রু নাকি আগামী কোন ঝড়ের আভাস, না আগামীর ঝড়কে চিরতরে অদেখা করে ফিরে আসুক সুবীর নন্দী, আলোকিত জীবনের জয়গান নিয়ে, হেরে যাক ভালোবাসার কাছে, প্রার্থনার কাছে, প্রচেষ্টার কাছে, মহা অন্ধকারের ভয়াল কালরাতের ছোবল, হেরে যাক, অমানিশা, ফিরে যাক নিথর নিরবতা।
সুবীর নন্দীর চোখ মেলা, চোখের কোনে জলের খেলা আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বজনদের মনে, শেখ হাসিনা বার্ন আ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এসআইসিইউতে চিকিৎসাধীন সুবীর নন্দী চোখ মেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩০ এপ্রিল ঢাকার সি এম এইচ থেকে এয়ার আ্যম্বুলেন্সে বরেণ্য কন্ঠ শিল্পী সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও লাখো ভক্ত প্রাণ আশাবাদী ফিরে আসুক চঞ্চলা প্রাণে সুবীর নন্দী।
ঢাকা থেকে থেকেই সুবীর নন্দীর নিয়মিত খোঁজ রাখছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। সর্বশেষ আপডেট প্রসঙ্গে তিনি জানান সুবীর নন্দীর চোখ মেলা, মেয়েকে চেনা ও কান্না সবই বড় স্বস্তির খবর মস্তিষ্কের কাজ করা আশাবাদ নিয়ে। ১৬ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি, অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩০ এপ্রিল তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সঙ্গীতাঙ্গন পরিবারের সকল সদস্যরা তারকা কথনের শ্রেষ্ঠ শিল্পী সুবীর নন্দীর জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থী, ফিরে আসুক সবার মাঝে চঞ্চলা প্রাণে সুবীর নন্দী।