asd

বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রাণের খেলা সংগীত-সন্ধ্যা…

গত মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর হয়ে গেল ছায়ানট মিলনায়তনে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের নিয়মিত গানের আসর ‘প্রাণের খেলা’ অনুষ্ঠানের সংগীত-সন্ধ্যা। সুরবৈচিত্র্য ও কাব্যমাধুর্যে বাংলা গান বিশিষ্টতা লাভ করেছে রবীন্দ্রনাথের
গানে। তাঁর গানের বিশেষ প্রকাশভঙ্গি ও শান্তরসের আবেদন আমাদের মনকে স্পর্শ করে। এ-অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে শোনালেন অদিতি মহসিন এবং অভীক দেব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত বাংলা ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তী শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রোতা-দর্শক দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। প্রয়াত এ শিল্পীর বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা, তাঁর শোকসন্তপ্ত
পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং তাঁর সংগীতজীবন ও কর্মের নানাদিক নিয়ে আলোকপাত করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে পরিবেশিত গানের তালিকা ছিল:
অভীক দেব – ১. মুখখানি কর মলিন বিধুর, ২. কাঁদালে তুমি মোরে, ৩. আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা, ৪. গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা, ৫. আমি রূপে তোমায় ভোলাব না।
অদিতি মহসিন – ১. আজি বিজন ঘরে, ২. সুখহীন নিশিদিন পরাধীন, ৩. যে রাতে মোর দুয়ারগুলি , ৪. যখন এসেছিলে অন্ধকারে, ৫. হৃদয়ের একুল, ওকুল, ৬. চোখের জলের লাগলো জোয়ার, ৭. আমার সকল দুখের প্রদীপ
সহ বেশকিছু গান পরিবেশন করেন।

যন্ত্রানুষঙ্গ সহযোগে ছিলেন – তবলায় এনামুল হক ওমর, এসরাজে অসিত বিশ্বাস, মন্দিরায় প্রদীপ রায় এবং কী-বোর্ডে বিনোদ রায়। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।

অদিতি মহসিন: অদিতি মহসিনের জন্ম ঢাকায়। ছোটবেলা থেকেই গান-বাজনায় আগ্রহ। সংগীতে যাত্রা শুরু বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে। ১৯৯২ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সংগীত বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। সেই সময়ে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, গোরা সর্বাধিকারী ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর গান শেখার সুযোগ হয়।
শাস্ত্রীয় সংগীতে মোহন সিং ও অরূপরতন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তালিম নেন। ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনে শিক্ষকতা করেছেন। একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও গান পরিবেশন করে থাকেন।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যানারে তাঁর ছয়টি এ্যালবামসহ রবীন্দ্রসংগীতের ১০টি একক ও একাধিক দলীয় এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৪ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার পান। সেরা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে ২০০৬ সালে সিটিসেল- চ্যানেল আই পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সংগীত পরিবেশন করেন।

অভীক দেব: ১৯৮৬ সালে সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে জন্ম। মায়ের কাছে গানের চর্চা শুরু ছেলেবেলায়। রবীন্দ্রসংগীতের প্রথম গুরু রাশবিহারী চক্রবর্তী। ২০০৫ সাল থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ‘সুরের ধারা’ সংগীত বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। ২০০৯ সালে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় প্রথম মান অর্জন করেন। ২০১১-তে চ্যানেল আই ও ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত ‘নব গানে নব প্রাণে’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন। ‘সামনে মিলন স্বর্গ’ এবং ‘এ বাণী প্রেয়সী’ শিরোনামে রবীন্দ্রসংগীতের দুটি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ‘সুরের ধারা’য় সংগীত শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। পেশাগতভাবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles