– মরিয়ম ইয়াসমিন মৌমিতা।
গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে পোশাক প্রস্তুত কারী প্রতিষ্ঠান ‘আড়ং’ এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পোশাকের মধ্যে এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আর আবহমান বাংলাকে তুলে ধরার নিরন্তর
চেষ্টা করে আসছে বৈচিত্রময় ডিজাইনের মানসম্পন্ন পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘আড়ং’। প্রতিষ্ঠানটির ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের তিনদিনের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে দর্শক শ্রোতাদের গান গেয়ে শুনান উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে রুনা লায়রা প্রথমে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে গান গাওয়ার জন্য রুনা লায়লা যখন মঞ্চে উঠেন তখন আর্মি স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকের মধ্যে এক অন্যরকম উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। মঞ্চে উঠেই শুরুতে রুনা লায়লা গেয়ে উঠেন – প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে, প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে, ও আমার দেশ, ও আমার বাংলাদেশ গানটি।
রুনা লায়লার সঙ্গে দর্শকও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে গানটি গাইতে থাকেন। এরপর রুনা একে একে পরিবেশন করেন – অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে, দাইয়ারে দাইয়্যা, দিলধারকে গানগুলো। কিন্তু এসব গানের পর
যখন তিনি ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’ গানটি গেয়ে উঠেন তখন রুনা লায়লার পাশে এসে অনেক দর্শক তার সঙ্গে নাচতে শুরু করেন গানে গানে। রুনা লায়লাও দর্শকের সেই নাচ উপভোগ করার পাশাপাশি গাইতে থাকেন।
এরপর রুনা লায়লা গেয়ে উঠেন – আয়রে মেঘ আয়রে, দে দে পেয়ার দে পেয়ার দে, সাধের লাউ বানাইলো মোরে, বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম, এই বৃষ্টি ভেঝা রাতে চলে যেও না, বাড়ির মানুষ কই আমায়, ও মেরা বাবু,
দামাদাম মাস কালান্দার। রুনা লায়লার একের পর এক সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপনী টানা হয়। রুনা লায়লা বলেন, আড়ংয়ের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে থাকতে পেরে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে।
আরো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার প্রতিটি গানে দর্শকের নানানভাবে অংশগ্রহণ। দর্শক আগ্রহ নিয়ে গান শুনেছেন, গান শেষে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। এটা একজন শিল্পী হিসেবে আমি ভীষণ উপভোগ করেছি। বিশেষত
ধন্যবাদ দিতে চাই যন্ত্রশিল্পী পার্থ প্রতীম বাপ্পীকে, যার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সাথে আমার সম্পৃক্ততা। অবশ্যই আড়ংয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। এভাবেই শেষ হয় আড়ং এর সমাপনী শো।