– মোশারফ হোসেন মুন্না।
উপমহাদেশের এক কিংবদন্তি গিটার বাদক এবি। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে যেমনি পড়েছে শোকের ছাঁয়া, তেমনি ওঠেছে কিছু নতুন গল্পের গুঞ্জন। নানা কথার নানা কাহিনী আসলে কতটা সত্যি তা প্রমানিত না হলে বুঝা যায়না। একদিন যখন পৃথিবীর বুকে এসেই পড়েছি তখন ধরেই নিয়েছি মৃত্যু আসবেই। সেই মৃত্যু এসেছে এবির জীবনে। রুপালী গিটারের জাদুকর কী আগেই টের পেয়েছিলেন তার চলে যাওয়ার সময় এসেছে? আইয়ুব বাচ্চু মৃত্যুর মাত্র ছয়দিন আগে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন মায়ের কবর জিয়ারত করতে। নিজের কবর এখানেই হবে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক জাফরকে।
চট্টগ্রামে ছয়দিন আগে একটি প্রোগ্রাম করেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু রূপালি গিটারের এ নায়ক। সেসময় মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে তার ইচ্ছার কথা জানান। আইয়ুব বাচ্চুর মামা আব্দুল আলীম লোহানী বলেন, মৃত্যুর
খবরটি হয়ত তার জানা হয়ে গিয়েছিল। গত ১২ অক্টোবর শেষ বারের মতো প্রোগ্রাম করতে চট্টগ্রামে আসে আইয়ুব বাচ্চু। তখন চৈতন্য গলির মায়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক জাফরকে বলেছিল,
জাফর আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমার মায়ের পাশে আমাকে কবর দিবা। চৈতন্য গলি কবরস্থানের মতোয়ালী হাফেজ গোলাম রহমান বলেন, আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামে এলে মায়ের কবর জিয়ারত করতে আসতেন।
তার ইচ্ছায় আজ এখানে কবর তৈরি করা হয়েছে। এবং তার কথা মত সেখানেই তাকে সমাহিত করা হলো। জীবনে বিচরণ করেছেন পৃথিবীর অনেক জায়গা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলে এলেন নিজের জন্মস্থানে। সারা জীবনের জন্য
থেকে যাবেন এথানে মায়ের সাথে। ভালো থাক গিটার বাদক এবি, তুমি ভালো থাক।