– মোশারফ হোসেন মুন্না।
বাংলাদেশ একটি কৌতূহলী দেশ। এখানে বানরের খেলা দেখতেও টিকিট কেটে ভিড় জমান পাবলিক। তাদের ভিতরে সচেতনার ঘাটতি অনেক। এর আগে এমন একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন শিল্পী আসিফ আকবর। এবার জেনে শুনে নিচ্ছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সেচ্চাসেবক হবার দায়িত্ব। এক সময় গানের বাজারে চলছিল মন্দা সময়। তখন ওপ্রিয়া তুমি কোথায় গানের মাধ্যমে গানের বাজারের চাকা ঘুড়িয়ে দেন যুবরাজ আসিফ আকবর।
এবার বিশ্ব মহামারী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা করার দায়িত্ব নিতে চান আসিফ। তিনি একজন যোগ্য সচেতন মানুষ। তিনি জানেন ইতিমধ্যে অনেক দেশের করোনা ভাইরাস চিকিৎসক মারা গেছেন করোনার আক্রমনে। তা জেনেও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছেন। নিজ খরচেই তিনি কাজটি করবেন বলে জানিয়েছেন। বিনোদন মিডিয়ার তারকাদের মধ্যে তিনিই প্রথম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার ঘোষণা দিলেন। বিষয়টি নিয়ে এ গায়ক ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি সুস্থ মস্তিষ্কে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।
প্রয়োজনীয় ট্রেনিং নিতেও ইচ্ছুক সর্বান্তকরণে। সরকারি কিংবা বেসরকারি চিকিৎসার যে কোনো পর্যায়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের জন্য কাজ করতে চাই। স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণের যাবতীয় খরচ আমি নিজেই বহন করব।
আমি সজ্ঞানে শপথ করছি সিদ্ধান্তে অটল থাকব।
করোনায় এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তার মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিই বেশি। বয়সের এ জটিলতায় নিজেকে এ মুহূর্তে এ ধরনের বিপদের সঙ্গে জড়াবেন কি না সেটিও আসিফ পরিষ্কার করেছেন নিজের পোস্টে। তিনি লিখেছেন, আমি আসিফ আকবর।
বাংলাদেশে আমার পরিচিতি একজন গায়ক হিসেবে। আমার জন্ম সনদ থেকে শুরু করে সব ধরনের দলিল দস্তাবেজ প্রমাণ করবে আমি বাংলাদেশি। পাসপোর্ট আর ভোটার আইডিতে আমার জন্মতারিখ ২৫ মার্চ ১৯৭৪। কিন্তু আমার বেসিক জন্মতারিখ ২৫ মার্চ ১৯৭২। আমি জানি বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম জন্মতারিখ নিয়ে বসবাস করা একমাত্র নাগরিক আমি নই। আমার এখানে কোনো দোষ নেই। তখন আমি ছোট ছিলাম। দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব নিয়ে আমাকে মাল্টিপল জন্মতারিখ এবং জন্ম সন দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ আরোপিত একটি সিদ্ধান্ত। আমি মেনে বড় হয়েছি কিংবা মানতে বাধ্য হয়েছি পরিবার এবং স্কুলের অভিভাবকদের স্ট্র্যাটেজির কারণে। আমি জানি এ ভুল শুধরাতে গেলে জাতির গেজেট নিয়ে টান পড়বে। করোনায় বয়স সংক্রান্ত সম্পূর্ণ দায় নিয়েই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পরিবারের কোনো আপত্তি থাকলে সেটার ব্যাপারে পরিষ্কার করেছেন। তিনি লিখেছেন, যে কোনো অবস্থায় আমার পরিবারের যে কোনো অভিযোগ অগ্রাহ্য করার এখতিয়ার মেনে নিলাম। আমি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শরিক হওয়ার সুযোগ চাই। তার এমন মহানুভব মনোভাবকে সম্মান জানাই। ছুটির এই সময়টাতে সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকুন। সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকা পড়ুন।