asd
Friday, November 22, 2024

করোনায় সতর্ক তাহসান…

– মোশারফ হোসেন মুন্না।

বিশ্ব মহামারী ভাইরাস করোনা। কম বেশি আতঙ্কিত সব দেশ। নিরাপত্তা জোরদার করে চলছে তা থেকে পরিত্রানের উপায়। কোন কোন দেশে কার্ফিউ জারী করা হয়েছে। অনেকে বাংলাদেশের উদাসিনী ভাব দেখে বলছেন বাংলাদেশেও কার্ফিউ জারী হোক। এই বিষয়ে সবার সাথে তাল মিলিয়ে তারকারাও উপদেশ পরামর্শ দিয়ে চলছেন দেশবাসীকে। নিজেরাও পালন করছেন নিজেদের দ্বায়বদ্ধতা থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে সতর্কবার্তার কথা বলছেন অনেকে। তাদের মধ্যে একজন হলেন গায়ক ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। এ মাসের প্রথম দিক থেকেই করোনা নিয়ে সতর্ক আছেন এই অভিনেতা ও গায়ক। ঘরে বসেই মুঠোফোনে পেয়েছেন সরকারি বার্তা। সেটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন তিনি। কোনোভাবেই সরকারি এই সতর্কবার্তাকে এড়িয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন সবাইকে। তিনি বলেন সরকারী এই বার্তা সবার কাছেই যাচ্ছে। কিন্তু সবাই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, প্রথম দিক থেকেই সরকারি মেসেজ আমার মুঠোফোনে পাচ্ছি। বেশির ভাগ যেটা হয়, সবাই এই মেসেজ ইগনোর করি। এটাকে কেউ এড়িয়ে না যাবার জন্য উল্লেখ করে বলেন এই মেসেজগুলো আমাদের সচেতন করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ফোনে যখন আসে তখন আমরা যেন পড়ে মেনে চলি। তাহলে যতটা দুশ্চিন্তা করা উচিত, ততটা হবে না। এটা সরকার সবাইকে সচেতন করার জন্য দিচ্ছে। নিজেও পড়ুন, পারলে অন্যকে পড়তে বলুন। বেশি আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই সময়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলো টিস্যু পেপারের জন্য মারামারি করেছে। কিন্তু এভাবে একটা পরিস্থিতি তৈরি করে লাভ নেই। এখানে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এমন দুর্যোগ এর আগেও এসেছে। এটা কিছুদিন থাকবে, আবার চলে যাবে। ততদিন সবাইকে বলব, একটু ধৈর্য নিয়ে ঘরে বসে থাকবেন। এই মুহূর্তে যাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন, তাঁরাই শুধু হাসপাতালে যাবেন। অল্প জ্বর-কাশি নিয়ে যদি সবাই হাসপাতালে যাওয়া শুরু করেন, তাহলে পরিস্থিতি উল্টো হবে। চিকিৎসক ও রোগী সবার জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই কঠিন হবে। তাছাড়া আমরা যদি প্রয়োজনীয় সব বেশি বেশি কিনে বাসায় ভর্তি করে রাখি, তাহলে যাঁদের সময়মতো প্রয়োজন, তাঁরাও দরকারি সময়ে সেই জিনিসটা পাবেন না। সবার মধ্যে অতিরিক্ত নয়, পরিমিতি বোধটা যেন থাকে। যেটুকু দরকার, সেটুকু কিনুন। সবার মধ্যে সহানুভূতি, সহমর্মিতা বোধটা জরুরি। আমরা যেন চিন্তা করি, এ সমস্যায় সবাইকে মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। সে জন্য এ সময়টা আমাদের একসঙ্গে সহযোগী মনোভাব নিয়ে পার করতে হবে।
করোনা একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার। আমরা যদি শক্ত থাকি ও সাবধানতা অবলম্বন করি, তাহলে এটা মোকাবিলা করতে পারব। তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের গাইড লাইন অনুসরণ করছি। মুখে হাত দিচ্ছি না। সাবান দিয়ে হাত ধুচ্ছি। মাস্ক পরছি, যেন মুখে হাত না যায়। বাইরে খুব বেশি বের হচ্ছি না। গ্লাভস পরার চেষ্টা করছি। তাহসানের এই সতর্কতা নিয়ে সবাই ভাবছে হয়তো তিনি একটু বেশি সতর্ক। এই প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, হয়তো সবাই আমার সতর্কতা নিয়ে ভাবছেন, একটু বেশি বেশি করছি। কিন্তু আমি চেয়েছি আমাকে দেখে যেন মানুষ সতর্ক হয়। ইতিমধ্যে সে সব গানে কনসার্ট ও নাটকের শুটিং বাদ দিয়েছেন। জানা যায় এই জন্য অনেক কথাও শুনতে হয়েছে। তাহসান আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কনসার্ট বাতিল হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন থাকতে হবে। তারপর থেকে তিনি বেশির ভাগ বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী কাজের। সবাই সতর্ক হই। স্বাস্থবিধি মেনে চলি। ভালো থাকুন নিজে এবং অপরকে ভালো রাখুন।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles