– প্রেস রিলিজ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভায় বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘শতবর্ষে বিদ্রোহী’ শীর্ষক একটি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছায়ানট, কলকাতা। ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিকের পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব, প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং বিশ্ব কবি মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি পুলক কান্তি ধর। অনুষ্ঠানটিতে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের হাতে বিশেষ সন্মাননা স্মারক তুলে দেন আসামের নজরুল গবেষক ড. রেজাউল করিম ও পশ্চিমবঙ্গের নজরুল গবেষক জনাব শেখ মকবুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যাপক স্বপ্নীল বলেন, জীবদ্দশায় শেষ তিন দশকেরও বেশি সময় দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটালেও বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষে এসে বিদ্রোহী কবি এখন ভালোই আছেন। তার বাঙ্গালীর রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে। তিনি এখন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁকে নিয়ে গবেষনা করার জন্য বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এবং ত্রিশালে তার নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তারপরও বাস্তবতা এই যে, সবার জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক, সাম্যের বাতায়ন তৈরি করার ক্ষেত্রে এখনও অনেকখানি কাজ করা বাকি। নজরুলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমরা যদি বাঙালীয়ানার চর্চা করতে পারি আর ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে অখন্ড বাঙ্গালী জাতি সত্তার চেতনাকে লালন করতে পারি শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষে এসে আমাদের আজকের যতটুকু অপূর্ণতা তা দূর করে আমরা বাঙ্গালীর জন্য নজরুলের স্বপ্নের বাসভূমি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। অনুষ্ঠানে শেখ মকবুল ইসলামের লেখা ‘বিদ্রোহী কবিতা: শতবর্ষ’ বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয়। কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা পরিবেশন করেন ছায়ানট (কলকাতা) – এর শিল্পীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় রিসার্চ পাবলিকেশন, হাওড়া। বিদ্রোহী কবিতা সম্পর্কে আসামের নজরুল গবেষক ড. রেজাউল করিমের সুচিন্তিত বক্তব্য অনুষ্ঠানটিকে সমৃদ্ধ করে।