– রহমান ফাহমিদা, সহকারী-সম্পাদক।
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, যিনি একধারে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় গীতিকবি। গীতিকবি সংঘ,বাংলাদেশ- সংগঠনটির সমন্বয় কমিটির প্রধান এবং সংগীত ঐক্য,বাংলাদেশ- এর মহাসচিবদের তিনজনের একজন তিনি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড- সোলস, এলআরবি, রেনেসাঁ ব্যান্ডের অনেক জনপ্রিয় গান তাঁর লেখা। যে গানগুলি নতুন প্রজন্মের মনে আজও দোলা দেয়। তিনি আজ ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর মস্তিষ্কে ছোট একটি সার্জারি হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সফল হয়েছে। তিনি এখন আইসিউতে আছেন। সবাই প্রার্থনা করবেন। মহান আল্লাহ পাক যেন তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে দেন! আমীন।
জনপ্রিয় গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ভাইয়ের জনপ্রিয় গানগুলি হল – হারানো বিকেলের গল্প বলি-(সোলস), একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে-(এলআরবি), কী জানি কী একদিন ছিল-(এলআরবি), তৃতীয় বিশ্ব এমনই বিস্ময়-(রেনেসাঁ), আজ যে শিশু(রেনেসাঁ), হৃদয় কাঁদা মাটির কোনো মূর্তি নয়-(রেনেসাঁ), হে বাংলাদেশ তোমার বয়স-(রেনেসাঁ), ভালোবাসি ওই সবুজের মেলা-(সোলস), এক চোখে শুধু স্বপ্ন-(সোলস), চায়ের কাপে পরিচয়-(সোলস), যতিন স্যারের ক্লাশে-(নাসিম আলী খান), কোলাহল থেমে গেলো-(নাসিম আলী খান), তুমি তো বলেছিলে ঝিরিঝিরি বাতাসে-(পিলু খান), সময় যেন কাটে না-(সামিনা চৌধুরী), দক্ষিণা হাওয়া তোমার ওই চুলে-(পার্থ বড়ুয়া) ইত্যাদি।
জনপ্রিয় গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ভাইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলাম- বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সঙ্গীত জগতের এই ৫০বছর পূর্তিতে সঙ্গীত জগতের পরিবর্তন নিয়ে তিনি কি ভাবছেন এবং সঙ্গীত জগতে পদার্পণ করার পর থেকে তাঁর প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি কি ছিল-
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী ৫০বছরে সঙ্গীত জগতের পরিবর্তন! এত বড় একটা বিষয়, অল্প পরিসরে উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। তবে সংগীতের তো একটা বড় বিবর্তন এই সময়ে আমরা দেখতে পেয়েছি। অনেক ভালো গান যেমন হয়েছে তেমন অনেক মন্দ গানও শোনার দুর্ভাগ্য আমাদের হয়েছে। তবে নিঃসন্দেহে ভালো গানের সংখ্যা অনেক বেশি।
৭০, ৮০ ও ৯০দশকে আমরা অসাধারণ কালজয়ী অনেক গান পেয়েছি এবং ৮০ ও ৯০ দশকে বাংলা গান বিশ্বময় একটা ভালো অবস্থানও তৈরি করে নিতে পেরেছে। আমি আশা করি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলা গানের অবস্থান দিন দিন আরও সমৃদ্ধ ও সংহত হবে।
আর দ্বিতীয়তঃ ১৯৭৮ সাল থেকে গানের সাথে আছি, প্রাপ্তি অনেক। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি শ্রোতার ভালোবাসা। অপ্রাপ্তি নিয়ে বলতে চাই না। আমি সবসময় ইতিবাচক থাকতে চাই। অনেক ধন্যবাদ।
সঙ্গীতাঙ্গন-এর পক্ষ থেকে আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভকামনা। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এবং সাবধানে থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।