– রহমান ফাহমিদা, সহকারী-সম্পাদক।
‘গণসংগীত’ অসহায় শ্রমজীবি মানুষের গান আমরা তা জানি। হ্যান্স আয়েস্মার, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, হিরেন মুখোপাধ্যায়’রা গণসংগীতের সংজ্ঞা নিয়ে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা করেছেন। যেখানে সামন্ততান্ত্রিক শোষণ বর্তমানে রয়েছে সেখানে শ্রমজীবি মানুষের গান ছিল ও আছে। এই গানে আছে তাঁদের ভালোবাসা, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, ক্ষোভ-বিক্ষোভের প্রকাশের সাংগীতিক রূপ। এটাইতো ‘গণসংগীত’। অনেক সময় দেখা যায় গণসংগীত যাদের জন্য গাওয়া হয় তাঁদের কাছে সেভাবে পৌঁছায় না। আবার যদিও পৌঁছায় হয়তো তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে আত্মস্থ করেন না, তার কারণ আছে! দেখা যায় যে, অনেক গান আছে তা তাঁদের মনপ্রাণ ছুঁয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। সেটা হতে পারে গানের কথায় দুর্বলতা অথবা সুর ও বাণীর দুর্বলতা। এছাড়া কোথায় পরিবেশন হচ্ছে গানটি বা গানগুলো, সেখানকার দুর্বলতাও হতে পারে। গণসংগীত সৃষ্টি করতে একদিকে যেমন শ্রমজীবি মানুষের সংগ্রাম, অনুধাবনের হদিশ জানতে হবে এবং অপরদিকে সৃষ্টিতেও উৎকর্ষতা বজায় রাখতে হবে। এই গণসংগীত বিনোদনের জন্য শুধুমাত্র গাওয়া না। অসহায় মানুষের দুঃখকষ্ট, বঞ্চনা, সমাজ ব্যবস্থার অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই গণসংগীত অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে অপরিহার্য ভুমিকা পালন করে। আবহকাল থেকেই গানের ভেতর দিয়ে প্রাণের প্রকাশ ঘটিয়েছে বাংলার মানুষ। তবে বাংলা গান প্রকৃতি অর্থে সমৃদ্ধ হয়েছে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুল প্রসাদ, রজনিকান্তের যুগ থেকে। এদের গানে এসেছে প্রাণ প্রাচুর্য, নানা বৈচিত্র্য যেন এক নতুন জাগরণ। এদের রচিত গানে শুধু ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির প্রকাশই বড় হয়ে উঠেনি, পাশাপাশি তাঁরা মানুষের ক্ষোভ, প্রতিবাদকেও মূর্ত করে তুলেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। ইংরেজ অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশের বৃহত্তর স্বাধীনতা সংগ্রাম এদের কণ্ঠে নির্যাতিত, নিপীড়ন মানুষকে যুগিয়েছে সংগ্রামের প্রেরণা ও সাহস।
দেশে দেশে যুগে যুগে দেখা গেছে গান ও সুরের শক্তি নেহায়েত কম নয়। বঞ্চিত, শোষিত, নিপীড়িত মানুষ তাঁর প্রতিবাদের ভাষা পেয়েছে গানে ও সুরে। কখনো কখনো এমনও দেখা গেছে অন্যায়, অবিচার, অসত্যের বিরুদ্ধে গণমানুষের সংগ্রামের অস্ত্র হয়ে উঠেছে গান। চল্লিশের দশকে বাংলার বুকেও ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে গণসংগীতের ঢল জেগেছিল। এই সব গান ছিল গোটা জাতিকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকর প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার জোয়ারে সংগ্রামী মানুষের অন্তরে সাহস জোগানো।
সঙ্গীতাঙ্গন -এর বিশেষ আয়োজনে আজকের পর্বে আছেন সঙ্গীত জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং গণসংগীতের জনপ্রিয় শিল্পী ফকির আলমগীর। ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে বাংলা গান করছেন। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় দিনটিতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মরহুম মৌঃ হাচেন উদ্দিন ফকির, মা-বেগম হাবিবুন্নেসা। ফকির আলমগীর কালামৃধা গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে ১৯৬৬ সনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের ঐতিহয্যবাহী জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এম.এ পাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ‘৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ‘৯০এর সামরিক শাসন বিরোধী গণ আন্দোলনে তিনি সামিল হয়েছিলেন তাঁর গান দিয়ে। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন শব্দ সৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বেতার ও টেলিভিশনে নিয়মিত সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি প্রচলিত ও প্রথাসিদ্ধ গানের বন্ধ্যা ভূমিতে দেশজ ও পাশ্চাত্য সংগীতের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা গানে নতুন মাত্রা সংযোজন করেন। সংগীত ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সান্নিধ্য তাঁকে করে তোলে আরো প্রতিশ্রুতিশীল, গণমুখী ও জনপ্রিয়। ১৯৭৬ সনে গঠন করেন ‘ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী’। এই গোষ্ঠীর মাধ্যমে গণ সঙ্গীতকে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অন্যদিকে একজন সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সফলতার সঙ্গে তুলে ধরেন।
সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর একজন সফল কলামিস্ট ও লেখক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থঃ-চেনাচীন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান, গণ সঙ্গীতের অতীত ও বর্তমান, গণ সঙ্গীত ও মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুরা, ও আমার কথা -সুধীমহলে সমাদৃত হয়েছে। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশনায় তিনি এখনও সক্রিয়। চির সবুজ এই কণ্ঠ শিল্পী সঙ্গীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য- একুশে পদক, শেরে বাংলা পদক, ভাসানী পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অর্নার, তর্কবাগীশ স্বর্ণ পদক, জসীম উদ্দিন স্বর্ণ পদক, গণনাট্য পুরস্কার, ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি পুরস্কার, ক্রান্তি পদক, বাংলা একাডেমির সম্মানজনক ফেলোসিফ, সম্প্রতি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা এবং দেশের বাইরে অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সরকার তাঁকে সঙ্গীতে মহাসম্মানে ভূষিত করেছেন। ফকির আলমগীর ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি। এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি, জনসংযোগ সমিতির সদস্য, বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা, আধুনিক সদস্য, খিলগাঁও সামাজিক সংস্থার উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সঙ্গীত পরিষদের উপদেষ্টা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সদস্য এবং অফিসার্স ক্লাবের সদস্য।
ফকির আলমগীর পেশায় বিসিয়াইসির জনসংযোগ বিভাগের একজন সাবেক মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর, তিন পুত্র সন্তান-রানা, রাজীব ও রাহুল এবং বর্তমানে তাঁর তিন পৌত্র-ফারদিন, ফারহান, উজান ও ফারিন, উজমা, নামে দুই পৌত্রী রয়েছে। তাঁদের নিয়েই তাঁর সুখের সংসার। ফকির আলমগীর ২০১৯ সালে পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেন। তাঁর সাথে কথা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সঙ্গীত জগতের এই ৫০বছর পূর্তিতে সঙ্গীত জগতের পরিবর্তন নিয়ে এবং সঙ্গীত জগতে পদার্পণ করার পর থেকে তাঁদের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি কি ছিল তা নিয়ে। জেনে নেই এই সম্পর্কে তিনি কি বলেন-
গণ সংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর বলেন- সঙ্গীত মানুষকে নিয়ে যেতে পারে তাঁর আত্মার কাছে। সঙ্গীত শুদ্ধ করে তুলতে পারে একজন অপবিত্র মানুষকে। সঙ্গীত তুলে ধরতে পারে একটি জনপদের আবেগ আকাঙ্ক্ষা আর বিজয়কে। সেই কত কাল থেকেইতো সঙ্গীত আমাদের প্রতি বিশ্বস্ত সহচর। আমাদের প্রাণান্তকর শ্রম এ পরম দরদে মুছে দিয়েছে কপালের ঘাম। শ্রমকে করেছে ছন্দময়। গভীর দুঃখে মুছে দিয়েছে চোখের জল। চেতনাকে করেছে উদ্বুদ্ধ। তাইতো সঙ্গীত কোন কোন বদ্ধ জলাশয় নয়! সঙ্গীত এক বহতা নদী। কেবল ৫০ বছর নয়, তারও আগে থেকেই সঙ্গীত আমাদের দুর্যোগ-দুর্বিপাকে, সংকটে, সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছে। সেই কবেকার ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত দলিল বুকে নিয়ে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধে সঙ্গীত এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এছাড়া বন্যা, মহামারী, দুর্যোগ-দুর্বিপাক, আন্দোলন-সংগ্রামে সঙ্গীত বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমাদের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তীও পালিত হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সঙ্গীতের ৫০ বছরের ইতিহাস এক সংগ্রামের ইতিহাস।
তবে বর্তমানের সঙ্গীত, সেই অতীতের মতো সেই সংগ্রামী ভূমিকা পালন করতে পারছে না। যতটা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, অস্থিরতা সৃষ্টি করছে ততখানি অন্তর্বেদনা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বর্তমান সঙ্গীত জগত শাসন করছে কালচার ইন্ডাস্ট্রি এবং মিডিয়া। কিন্ত সঙ্গীত কি কেবল মুনাফার পণ্য! সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রির হাতে তার সমস্ত কলা মর্যাদা হারিয়ে পুঁজির দাসত্বে পরিণত হয়েছে। যতটা প্রচার প্রসারে মগ্ন ততটা সৃষ্টিশীল চিরায়িত ধারা বা কালজয়ী সঙ্গীত সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করছে না। গানের আকাশবিহারী ব্যঞ্জনাকে সে বেঁধে ফেলেছে বিজ্ঞাপনের শৃংখলে। পুঁজি সঙ্গীতের প্রাণ নিংড়ে নিঃশেষ করছে চিরায়িত গানের ধারা, বর্তমানের সঙ্গীতে প্রচার, প্রসার ও পরিবর্তন এসেছে যেমন- সঙ্গীত উৎপাদন কর, ব্যাবহার কর, শোনো ভুলে যাও আর ফেলে দাও। সেই জন্যেই কালজয়ী গান সৃষ্টি হচ্ছে না। প্রচুর গান তৈরি হচ্ছে আবার দ্রুত ভুলে যাচ্ছে সবাই অথচ আমাদের এই প্রাচীন দেশে বিশাল এবং মহান সংগীত ঐতিহ্য আজ ওদের হাতে আক্রান্ত। তাই আমাদের সাংগীতিক বোধ এবং রুচিকে ফিরিয়ে আনতে যেতে হবে সোনালী অতীতের কাছে। ৫০বছর আগে আমাদের সঙ্গীতের সোনালী অতীতকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাকে অনেকে বলে থাকেন, সঙ্গীতের অনেক শাখা থাকতে আপনি গণসঙ্গীতকে বেছে নিলেন কেন ? আমি মনে করি সঙ্গীত কেবল মুনাফার পণ্য নয়, কেবল বিনোদন নয়! সঙ্গীত সমাজ বদলের হাতিয়ার। সঙ্গীত হতে হবে পবিত্র, স্নিগ্ধ, রুচিশিল এবং অন্যদিকে সংগ্রামী। আমি আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই গণসংগীতকে বেছে নিয়েছি। সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। মানব কল্যাণে জনকল্যাণে অংশ নেয়া যায়।
প্রাপ্তির আর অপ্রাপ্তির কথা বলছো ? কি পেলাম আর না পেলাম সেটা বড় কথা নয়! এই সংগীত আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। পেয়েছি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সম্মানিত ফেলোশিপ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক সঙ্গীতে মহাসম্মান সহ দেশ ও বিদেশী অনেক পুরস্কার। আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার মানুষের ভালোবাসা। শিল্পীর কি আছে আর ভালোবাসা ছাড়া! সবকিছু উজার করে হাতে তুলে নেয় একতারা। লালন, হাসন, আব্বাসউদ্দিন, আব্দুল আলীম, শাহ আব্দুল করিম, হেমাঙ্গ ও সলিলের দেশে এর চেয়ে আর বড় পুরস্কার কি হতে পারে, মানুষের ভালোবাসা ছাড়া।
আমরা এমন একটা সংকটকালে কথা বলছি যখন সারা পৃথিবী অসুস্থ, বিপর্যস্ত, বিষণ্ণ এবং বিবর্ণ। মহামারী পূর্বেও হয়েছে কিন্ত মানুষ কখনো হারেনি। সকল দুর্দশা দুঃখকে হটিয়ে মানুষ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, চলছে মানুষের সরণিতে। এবারও মানুষ ক্রান্তিকাল শেষে আবার উঠে দাঁড়াবে গাইবে মানব মুক্তির গান, মানুষের গান কারণ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরকে আমরা দেখেছি তাঁর গান নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তেমন দেখেছি, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, যেমন-নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে, জন হেনরি এবং সম্প্রতি জর্জ ফ্লোয়েডকে নিয়ে তাঁর গান। তারপর দেখেছি তাঁকে তার জনপ্রিয় গান ‘ও সখিনা’ গানে কৃষকদের পক্ষে মহাজনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। সঙ্গীতাঙ্গন -এর পক্ষ থেকে অসহায় ও নিরীহ মানুষের বন্ধু গণসঙ্গীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র জনপ্রিয় শিল্পী ফকির আলমগীর এর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও অসীম শ্রদ্ধা।