মোশারফ হোসেন মুন্না।
শিশু বয়স থেকেই গানের পাগল তিনি। স্কুলে পড়াশোনা করতে গিয়ে ছোট কালেই সহপাঠীদের গান শিখাতেন। তাতে শিক্ষকগন রাগ করতেন বলে স্কুল ছেড়ে চলে আসেন। কে জানতো তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার ঘরে আসবে এই জনপ্রিয় গানের পাখি। এমনও ঘটনা আছে তার জীবনে যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। তার বাবা একদিন কোন বিশেষ কাজে বাহিরে গেলে কোন একজন ছাত্রকে বলে যান গানের চর্চা করতে ফিরে এসে দেখেন তার ছোট মেয়েটি ছাত্রদের গান শিখাচ্ছে। এতেই বাবার মনে মেয়েকে গান শিখানোর চিন্তা মাথায় আসে আর বড় হয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বখ্যাত গায়িকা। কেউ কেউ ভাবছেন কার কথা বলছি। কে সে ? আবার কেউ কেউ বুঝেও গেছেন। সে হলো এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত গায়িকা লতা মঙ্গেশকর যাকে সবাই শ্রদ্ধার সাথে লতাজি বলে ডাকেন। সেই ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে দ্বীননাথ মঙ্গেশকর আর সেবন্তী মঙ্গেশকরের ঘরে জন্ম নেয়া ছোট শিশুটি আজকের লতা। আদর করে যার নাম রাখা হয়েছিলে হেমা। বাবা ছিলেন পন্ডিত দ্বীননাথ। যিনি সঙ্গীত আচার্য ছিলেন। পুরো পরিবারই বলতে গেলে সঙ্গীতের রথী মহারথী ছিলেন। লতার পর একে একে দ্বীননাথের ঘরে আসেন আশা ভোঁসলে, উষা মঙ্গেশকর, মীনা মঙ্গেশকর ও সর্বকনিষ্ঠ হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর। বাবা মা তার আগমনে খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু আজ বাবা মা বেঁচে নেই। তারও সেই আগের বাল্যকাল নেই। আজ তিনি ৯০ বছরের বৃদ্ধা মহিলা। তার ওপর গুরুতর ভাবে অসুস্থ। শ্বাষ কষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিলে রবিবার মাঝরাতে তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বর্তমান অবস্থা খুবই সংকট জনক বলে জানা যায়। তাই তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি লতা মঙ্গেশকরের নিউমোনিয়া এবং হৃদযন্ত্রের গোলমাল ধরা পড়েছে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।গত ২০ সেপ্টেম্বরই ৯০ বছর পূর্ণ করেন লতা মঙ্গেশকর। ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, ঋষি কাপূর সহ মাধুরী দীক্ষিত, এ আর রহমান, শ্রেয়া ঘোষাল-সহ অনেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। তারপর রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মীয় তথা অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরিকে ‘পানিপথ’ ছবির জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন লতা। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি।