– সালমা আক্তার।
হৃদয় ছোঁয়া মুহূর্তকে চিত্র কল্পে ধারণ করতে গতকাল নৃত্যানুরাগীরা পালন করেন আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। ব্যালে নৃত্যের স্রষ্টা জ্যঁ নুভেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৮২ সালে তাঁর জন্মদিনে ইউনেস্কো ২৯ এপ্রিলকে আর্ন্তজাতিক নৃত্য দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে। ১৯৮২ সাল থেকে আইটিআই ও ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কমিটি নৃত্য দিবসটি পালন শুরু করে। নৃত্যানুরাগীদের প্রাণে দোলা দিতে ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। নৃত্য এমনি ভাবে শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি কথা বলে রাগে অনুরাগে, ছন্দে আনন্দে।
২৩ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা প্লাজায় সপ্তাহব্যাপি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থা, প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল ‘আমার নুপূরের ধ্বনি ছড়াক মানবতার বাণী’। এই আয়োজনে সোমবার শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মঙ্গল নৃত্য’ নামে নৃত্যশিল্পীরা ছন্দমাধূর্যের ঢেউ তুলে, সকাল হতে রাত অবধি চলে নুপূরের ছন্দ। দেশ বরেণ্য নৃত্য শিল্পীদের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু মিলে এক কাতারে, ছন্দ লহরির তালে তালে, মহানন্দের বর্ণালী দোলায়।
অনুষ্ঠানটি একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে ‘তুমি মঙ্গল করো হে’ মঙ্গল নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয়। একের পর এক নৃত্য পরিবেশিত হয় ‘আনন্দলোকে মঙ্গললোকে’, ‘ও আমার দেশের মাটি ‘, ‘বাহাল করিয়া’, ‘বকুল ফুল’ নানান গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশিত হয়, আলোক উজ্জ্বল সভায়। দর্শক মাতানো নৃত্যানুষ্ঠানের শেষে থাকে আনন্দ শোভাযাত্রা। স্মরণীয় এই দিনকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘চর্যাপদে নৃত্যের ছন্দ’। নৃত্য কথা বলে অনুভূতির, নৃত্য ছন্দ তোলে বিস্ময়ের, নৃত্য কথা বলে নৃত্যানুরাগীদের প্রাণের আকুতির।