শাহরিয়ার সাকিব।
অনেককে বলতে শুনি হাতির পায়ের নিচে যখন পিঁপড়ে ধরা পড়ে তখন হাতি নিজেও জানেনা তার পায়ের নিচে একটা জ্যান্ত পিপরা পিষে গেছে। তেমন নাকি অনেক গরীব মানুষ হঠাৎ করে বড়লোক হয়ে গেলে সে আসমানে জমিনে বুঝতে পারেনা। গরীব যখন হঠাৎ করে বড়লোক হয়ে যায় তখন হয়তো তার অতীত গুলো তার থেকে হারিয়ে যায়। অথবা তার সেই কষ্টের অতীত ভুলে যেতে চায়। কলকাতার রানাঘাট স্টেশনে দিন কাটনো রানু মণ্ডলের অবস্থা তেমনি। নেটদুনিয়ায় গান ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠে তিনি। বড় পর্দাতে তাকে গান করার সুযোগ করে দেন সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়া। সেই গানের মাধ্যমে দারুণ পরিচিতি পান রানু। সম্প্রতি ভক্তদের সঙ্গে রানুর ব্যবহারে হতবাক অনেকেই। রানুর এমন ব্যবহারের কথাও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নানা রকম মানুষ নানা রকম মন্তব্য করেছেন রানু মন্ডলকে নিয়ে। রানু মন্ডল এর এমন অনৈতিক ব্যবহার নিয়ে় হিমেশকে প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে, অভিনেতা গায়ক তথা সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া ভক্তদের সঙ্গে রানুর এমন খারাপ ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর রানু দিদি দিতে পারবে। ঠিক কী ঘটেছিল, যার জন্য তিনি এমনটি করেছেন তা আমি জানি না। তাই এ ঘটনা
রানু দিদি ভালো বলতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আমি এভাবে কারও ব্যবহার নিয়ে কথা বলতে পারি না, এটি একেবারেই ঠিক নয়। আমি এমন অনেককেই গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। তাদের জীবনে যদি কিছু ঘটে থাকে, সেটি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কিছুদিন আগে একটাা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওভারনাইট সেলিব্রেটি রানু মন্ডল। তাকে ঘিরে ছবি তোলা ভিডিও করাও নিয়ে ব্যস্ত সবাই। রানু মন্ডলকে দেখবে বলে তার সাথে সেলফি তুলবে বলে এসেছে অনেকে। সেই সময়েই পেছন থেকে এসে তার হাতে আলতো করে টোকা দিয়ে ডাকেন এক নারী। হাতে স্মার্টফোন। খুব সম্ভবত রানুর সঙ্গে সেলফি তুলবেন বলে এসেছিলেন ওই উৎসাহী নারী। তবে ওই নারীকে পাত্তা দেননি রানু। এই বিষয়় নিয়েই ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়। সবাই এমনটাই ধারণা করছেন রানু মন্ডল এখন রানাঘাটের রানু নেই। রানু মন্ডল এখন তারকা রানু মন্ডল হয়েছেন। তাই তার মধ্যে অহংকার বোধ জন্ম নিয়েছে। তবে আসল ঘটনা কি? কেন তিনি এমন ব্যবহার করেছেন তা তিনিই ভালো জানেন। হয়তো এর পিছনে কোনো কারণ থাকতে পারে। আবার হয়়তো এটা তার অহংকার হতে পারে। তবে যাই হোক ভক্তদের জন্যই শিল্পীরা শিল্পী। ভক্তদের বাদ দিয়ে শিল্পীদের অস্তিত্ব বর্তমান বিশ্বে কল্পনা করা যায় না। তাই শিল্পীদেরকে অবশ্যই সম্মানজনক ব্যবহার দিয়ে ভক্তদেরকে খুশি রাখতে হবে।