– তথ্য সংগ্রহে মীর শাহ্নেওয়াজ।
“ইতনা না মুঝে তু পেয়ার বড়হা”
শিল্পীঃ লতা মুঙ্গেশকর ও তালাত মেহমুদ
সুরায়োজনঃ সলিল চৌধুরী
গীতিকারঃ রাজিন্দর কৃষাণ
ছবিঃ ছায়া (১৯৬১)
ভদ্রলোক পেশায় ডাক্তার, আবাসস্থল আসাম। বাঙালি হলেও পশ্চিমা সংগীতে বেজায় আগ্রহ তাঁর। মানুষজনের অসুখ-বিসুখ নিয়ে কারবারের মাঝেও পশ্চিমা ধ্রুপদী সংগীত তাঁর সংগ্রহ করা চাই-ই চাই। ভদ্রলোকের নাম জ্ঞানেন্দ্রময় চৌধুরী। তাঁর ছেলে সলিলও এই রেকর্ডগুলো নিয়মিত শোনে। এগুলোর সঙ্গেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠবে সে। আরো পরে, পুরো ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এক নামেই চিনবে তাঁকে – সলিলদা। এমনটাই লেখা ছিল ভবিতব্যে।
সলিল চৌধুরী একাধারে একজন সুরকার, কবি ও সাহিত্যিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। ছোটবেলা থেকে গান শোনার কারণেই, তাঁর সুরসৃষ্টিতে পশ্চিমা প্রভাব লক্ষণীয়। একে অনেকেই ‘নকল’ বলে বিস্তর বাহাস করেছেন। তবে সলিল ভক্তরা মনে করেন এসব পশ্চিমা প্রভাবিত সুর সৃষ্টি হয়েছে অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসা থেকে। সলিলের সুরায়োজনে নির্মিত এমনই একটি গান, ‘ইতনা না মুঝে তু পেয়ার বড়হা’।
সময়কাল ১৯৬১। হৃষিকেশ মুখার্জির ‘ছায়া’ নামের একটি চলচ্চিত্রে সুনীল দত্ত আর আশা পারেখের ঠোঁটে গানটি শুনেছিলেন ও দেখেছিলেন দর্শক। গানটি গেয়েছিলেন লতা মুঙ্গেশকর ও তালাত মেহমুদ। পুরো গানের সুরই সলিল আগাগোড়া আয়োজন করেছিলেন মোৎজার্টের ৪০ নম্বর সিম্ফোনির ওপর ভর করে।
প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা যায়, উলফগ্যাং আমেদিউস মোৎজার্ট ‘সিম্ফোনি নং ৪০ ইন জি মাইনর’ – এর নোটের কাজ পূর্ণ করেন ১৭৮৮ সালের ২৫শে জুলাই। সে হিসেবে বলা যায়, প্রায় পৌনে ২০০ বছর পর গানটিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনেকটা বলিউডি ফ্লেভারের ছাঁচে ফেলেছিলেন সলিল। হিন্দি ছবির দর্শকমাত্রই জানেন, গানটি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল।
মূল সুর –
১) সিম্ফোনি নং ৪০ ইন জি মাইনর, মল্টও আলেগ্র (প্রথম মুভমেন্ট)-মোৎজার্ট
https://www.youtube.com/watch?v=pIsMmuf9Q3Y
২) সিম্ফোনি নং ৪০ ইন জি মাইনর, মল্টও আলেগ্র (প্রথম মুভমেন্ট)-পল Mauriat ও তাঁর অর্কেস্ট্রা
https://www.youtube.com/watch?v=e_wnbg2xjvU
৩) চিম্বালম-এ (যার এশিয়া উপমহাদেশের সংস্করণ হচ্ছে সন্তুর) Güell পার্ক, বার্সেলোনায় বসে এক যন্ত্রশিল্পী
https://www.youtube.com/watch?v=HwBOVGx27PA
অনুপ্রাণিত সুর –
১) ইতনা না মুঝে তু পেয়ার বড়হা-ছবিঃ ছায়া
https://www.youtube.com/watch?v=ClAXd0itpsA