– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
পঁচিশে বৈশাখ তারিখটা স্মরণে আসলেই মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর কথা যা বাঙালি জাতির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ২৫ তারিখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়।
বাঙলির মানসপটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সদা বিরাজমান। তিনি আমাদের অহংকার। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য এবং বাংলাদেশে ও বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে এই উৎসব পালন করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালন করা হবে এই উৎসব, তবে অন্যান্য বছরের মত করে নয়। এ বছর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে সব কিছুই যেন থমকে গেছে। তবুও আমাদের সকল কাজের মতোই জীবনসংগ্রামেও রবীন্দ্রনাথ বাঙালির চিরকালের সঙ্গী। মহামারীর এই দুর্দিনে তাঁকে সহযাত্রী করে ‘ছায়ানট’ অগ্রসর হচ্ছে নবীন মানব অভ্যুদয়ের শুভক্ষণের অভিমুখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ। মাতা সারদাসুন্দরী দেবী এবং পিতা বিখ্যাত জমিদার ও ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২৫ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (৮ মে ২০২০ খ্রিস্টাব্দ) শুক্রবার রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ছায়ানটের নিবেদন ‘ওই মহামানব আসে’। বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলে (ছায়ানট ডিজিটাল প্লাটফর্ম) সকাল সাড়ে ন’টায় প্রকাশ করা হবে সন্জীদা খাতুন গ্রন্থিত সংক্ষিপ্ত আয়োজনটি। অনুষ্ঠান দেখা যাবে bit.ly/chhayanaut এই ঠিকানায়।
অবশেষে কবির ভাষায় বলতে হয়,
“মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই!”
তাই বলি,
তুমি যে স্থান করে নিয়েছো, সমগ্র ভুবনে
সবকিছু ভুল গেলেও তোমায় ভুলি কেমনে ?
তুমি যে নিয়েছো হৃদয়েতে ঠাঁই
হৃদয়পট থেকে তোমায় শ্রদ্ধা জানাই।