ভাবিনি এই দুঃখজনক ঘটনার সঙ্গে আমার গান জুড়ে যাবে…

– বাধঁন।

আমাদের গল্পগুলো
অল্প সময় ঘর পাতাল
তার পর পথ হারাল
তোমায়-আমায় নিয়ে

লগ্নজিতা চক্রবর্তীর ‘বেহায়া’ এই গান ছিল তাঁদের জীবনের গান। সম্প্রতি আরজি কর-কাণ্ডে মৃত চিকিৎসক পড়ুয়ার প্রেমিক জানিয়েছেন এই কথা। প্রেমিকার পছন্দ অনুযায়ী তাঁর ফোনের কলার টিউনে এই গানই রয়েছে। কী অদ্ভুত সমাপতন! তাঁর প্রিয় এই ‘বেহায়া’ গানের কথার সঙ্গে যেন মিলে গেল তাঁদের প্রেমের জীবন। সামনে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল, তাঁর আগেই গল্প অসম্পূর্ণ রেখে তাঁকে চলে যেতে হল। ঘটনা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীর ? তিনি বলেন!

সকালে ঘুম ভেঙে হোয়াট্‌সঅ্যাপে বাবার মেসেজ দেখতে পান শিল্পী, মা, তোমার গান ওঁরা শুনতেন। তোমার পথে নামা উচিত।
লগ্নজিতা গান গাওয়াকে সর্বতোভাবে পেশা হিসাবেই দেখে এসেছেন। কেউ যখন বলেছেন, আপনার গান মানুষের জীবন ছুঁয়ে যায়, তিনি সমর্থন করেননি কখনও। তবে এই ঘটনা তাঁকে ভীষণ ভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমার গান যে কারও জীবন ছুঁয়ে গিয়েছে ভাবতে পারি না আমি। সেই মানুষটির যা পরিণতি সেই নিয়ে আর নতুন করে কী বলব! আমার কাছে খুব মর্মান্তিক এটা, আফসোস লগ্নজিতার।

গানের কথার সঙ্গে মৃতা চিকিৎসক পড়ুয়া ও তাঁর প্রেমিকের জীবন জুড়ে ছিল। সম্প্রতি বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল তাঁদের। সেই কথা আরও এক বার শিল্পীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি। লগ্নজিতার কথায়, দশ বছর ধরে গান গাইছি ইন্ডাস্ট্রিতে। ভাবিনি এত দুঃখজনক ঘটনার সঙ্গে আমার গান জুড়ে যাবে। আমার অসহায় লাগছে তাঁর কথা ভেবে। কী প্রতিক্রিয়া দেবেন বুঝতে পারছেন না, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তিনি। কত অনুরাগী দেখা করেন, মেসেজ করেন। যদি একবার ওঁর সঙ্গে দেখা হত। যদি একবার ওকে সামনে বসে গানটি শোনাতে পারতাম’ কথা শেষ করতে পারলেন না, কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিল্পী।

তাঁকে নিয়ে কি নতুন গান বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে ?
প্রশ্নের জবাবে কান্না জড়ানো গলায় তিনি বললেন, আমার ব্যান্ডের সঙ্গে কথা বলব এই বিষয়ে। ওঁকে নিয়ে যদি একটা গান তৈরি করতে পারি…’ তবে একটি বিষয় ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন শিল্পী। সব সময় দেড় ঘণ্টার গানের অনুষ্ঠানে ১৫টি গান গেয়ে থাকেন তিনি। সাধারণত ১১তম গান ‘বেহায়া’। গান গাওয়ার আগে গান তৈরির নেপথ্য গল্প বলেন লগ্নজিতা। কে লিখেছেন, কী ভাবে তৈরি ইত্যাদি কথা ভাগ করে নেন শ্রোতাদের সঙ্গে। কিন্তু আগামী এক বছর যখনই এই গান গাইব, ওঁর কথা বলব। দেশে-বিদেশে যেখানেই অনুষ্ঠান হোক। আমার কাছে এটাই হবে বিপ্লবের ভাষা।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles