– বাধঁন।
সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, এন্ড্রু কিশোর সহ দেশের অনেক গুণী শিল্পী তার কণ্ঠের যাদু দেখিয়েছেন ভারতীয় সিনেমায়। একাধিক ভাষায় গান করেছেন, ভারতের মাটিতে সম্মান পেয়েছেন। তবে এবার ভারত জুড়ে মাতাচ্ছে বলিউডের নতুন সিনেমার গান ‘আজ কি রাত’। ভাষা হিন্দি হলেও গানের কণ্ঠ দিয়েছেন বাঙালি শিল্পী। আর সেই গানের তালে তালে সবুজ পোশাকে চোখ ধাঁধানো অনবদ্য নৃত্যশৈলী দেখিয়ে ভক্তদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া।
‘আজ কি রাত’ গানের আলাদা এক আমেজ তৈরি হয়েছে সঙ্গীতমহলে। সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে গানটি। সবখানেই ট্রেন্ডিং-এ ‘স্ত্রী ২’ সিনেমার এই গান। কথা হলো, এত কিছুর পর গানটি গাইলো কে ?
কার কণ্ঠের যাদু এই গানের সুর মূর্ছনাকে তাল লয়ে পরিপূর্ণ করলো ?
তিনি হলেন আমাদের বাংলাদেশের বাঙালি শিল্পী মধুবন্তী।
এর আগে তিনি ‘মিতিন মাসি – শুধু তোমারই জন্য’ এর মতো ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। হিন্দি বলতে ‘হীরামান্ডি’ সিরিজে ‘নজরিয়া কি মারি’ গান এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। সেটা বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে ‘আজ কি রাত’ গান ক্যারিয়ারে বড় হিট গানের তকমা এনে দিয়েছে বলে জানালেন শিল্পী। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতির গল্প শোনালেন। গায়িকা বলেন, এখনো পুরো বিষয়টি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছি না। কীভাবে এই অনুভূতির ব্যাখ্যা করব, সেটিও জানি না। তবে এটি সঙ্গীত জীবনে প্রথমবার ঘটল। গানটা যে শুধু ট্রেন্ডিং-এ আছে, তেমনটা নয়, বরং সারা দেশ থেকে খুদে বার্তা পাঠাচ্ছেন মানুষ। এ এক দারুণ অনুভূতি। এ ধরনের ছবি অনেক বেশি দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছায়। এর আগে আমি এমন জায়গা কখনো পাইনি। যদিও ‘হীরামন্ডি’ও বাণিজ্যিক ভাবে সফল। তবু সেটাও একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর দর্শকের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু ‘স্ত্রী ২’ একেবারেই বলিউডের মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি। সেই জায়গা থেকেই এমন একটা কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার ক্যারিয়ারে প্রথম। অনেক গানই হিট। কেউ নাচ পছন্দ করে, কেউ আবার ভিডিও। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গানটা প্রাধান্য পেয়েছে। যাঁরা আসছেন ভিডিওটি দেখতে, তাঁরা কিন্তু পরে গানটা শুনতে বারবার ফিরে আসছেন। এটা যে হবে, আমরা আগে থেকে বুঝতে
পারিনি। যদিও আশা করেছিলাম ভালো হবে, তবে এতটা ভালোবাসা পাব ভাবিনি।
মধুবন্তী আরও বলেন, অনেক সময় ভিডিও থাকলে সত্যি গায়ক অথবা গায়িকার কণ্ঠটা চাপা পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। তামান্না ম্যামের প্রশংসা তো করেছেন সবাই। কিন্তু গানটা নিয়েও যে এত কথা হচ্ছে, ভালো লাগছে। পাশাপাশি আরও ভালো লাগছে, একটি গান যে একক নারী কণ্ঠের জোরেও জনপ্রিয় হতে পারে, সেই বিষয়টিই এবার পরিষ্কার হলো। আসলে আজকাল বেশিরভাগ গানেই পুরুষ কন্ঠে আধিক্য। এই গানটা যেন একটা সাম্যের বার্তা দিয়ে গেল।