Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink Panel

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

hacklink

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink panel

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Buy Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink satın al

Hacklink

Hacklink Panel

Hacklink

Hacklink

polobet

casibom giriş

wbahis

jojobet giriş

bets10 giriş

Holiganbet

polobet

polobet

casibom güncel giriş

betist

betist

betist

betist

adapazarı escort

istanbul mobilyacı

x

serdivan escort

casibom giriş

ultrabet

jojobet

steroid satın al

matbet

perabet

hititbet

polobet

betpas

matbet

bahiscasino

bahiscasino giriş

bahiscasino.com

betsmove giriş

jojobet

https://altyazili.porn/

iptv satın al

vaycasino

vaycasino giriş

hiltonbet

pusulabet

betcio giriş

Galabet

galabet

betpas

matbet

deneme bonusu veren siteler 2025

betcio giriş

jojobet giriş

Betpas

Betpas

Betpas giriş

matbet

주소모음 사이트

marsbahis

betpas

Hacklink

casibom

livebahis

matbet

betpark

meritking güncel giriş

meritking

meritking güncel

meritking giriş

meritking

betpas

request hit botu

betpas giriş

matbet

veren siteler

perabet giriş

hititbet

film izle

Streameast

grandpashabet

sakarya escort bayan

casibom

Ultrabet

diyetisyen

kingroyal

sapanca escort bayan

onwin

betcio güncel giriş

betpas

Restbet

Restbet giriş

piabellacasino

milosbet

milosbet

betovis

parmabet

mislibet

artemisbet

artemisbet

yakabet

casibom

casivera

tantra massage in Istanbul

https://vozolturkiyedistributoru.com/

online diyetisyen

wbahis

polobet

oslobet

jojobet

casibom

betmarino

sakarya escort

Betpas

atlasbet

Bästa Casino Utan Svensk Licens

zirvebet

mavibet

milanobet

Meritking Giriş

Kavbet

Grandpashabet

jojobet

1xbet casino giriş

https://betpuan.net

asyabahis

meritking giriş

galabet

Marsbahis

matbet

holiganbet

holiganbet

grandpashabet

grandpashabet

bahsegel

oslobet

süratbet

Marsbahis

betturkey giriş

betturkey

meritking güncel

piabellacasino

casinolevant

ultrabet

jojobet giriş

marsbahis

marsbahis giriş

betcio

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

betasus

deneme bonusu veren yeni siteler

kavbet

pusulabet

pusulabet

holiganbet

holiganbet

holiganbet

betsmove

betsmove giriş

Meritking

retro bowl

yakabet giriş

wbahis

Casibom

wbahis

wbahis

bbo303

Agb99

holiganbet

artemisbet

galabet

ultrabet

beyoğlu escort

betpuan

izle.sex

sekabet

pusulabet

matbet

marsbahis

imajbet

wbahis

matbet güncel giriş

imajbet

jojobet

grandpashabet

casibom

meritking

jojobet giriş

jojobet

betsmove

Slot Mahjong

betcio

jojobet giriş

Betpas

matbet

matbet giriş

sekabet

Kartal Escort

1xbet

çağlayan escort

bahis siteleri

deneme bonusu veren yeni siteler

deneme bonusu veren yeni siteler

jojobet

Online Hack Tool

Meritking

piabellacasino

betvole

piabellacasino

mislibet

nitrobahis

nitrobahis

piabellacasino

parmabet

parmabet

artemisbet

artemisbet

artemisbet

artemisbet

artemisbet

artemisbet giriş

galabet giriş

ultrabet

galabet

padişahbet

casibom

casibom

bahiscasino

sekabet güncel giriş

jojobet giriş

jojobet

mislibet

betturkey giriş

piabellacasino

casibom

casibom giriş

casibom güncel giriş

casinolevant

casinolevant

casinolevant

Hacklink panel

Hacklink satın al

marsbahis

kağıthane escort

bomonti escort

esenyurt escort

beşiktaş escort

fatih escort

büyükçekmece escort

şişli escort

maslak escort

sarıyer escort

türk escort

özbek escort

osmanbey escort

güneşli escort

istanbul escort

sultangazi escort

kumburgaz escort

üsküdar escort

hilarionbet

vdcasino

vdcasino

kralbet

kralbet

All Smo Tools

matadorbet

wbahis

betoffice

anadoluslot

orisbet

royalbet

marsbahis giriş

vdcasino

oslobet

setrabet

matbet

marsbahis

marsbahis giriş

vdcasino

deneme bonusu veren siteler

marsbahis

vaycasino

vaycasino

kralbet

jojobet

jojobet

holiganbet

ultrabet

betpas

betebet

artemisbet

enbet

casibom giriş

vdcasino

dinamobet

galabet

betturkey

asyabahis

bahiscasino

superbet

holiganbet

meybet

betplay

matbet

vdcasino

sekabet

sonbahis

holiganbet

pusulabet

meritking

grandpashabet

suratbet

süratbet

nitrobahis

Casibom giriş

queenbet

madridbet

madridbet

madridbet

madridbet

madridbet

madridbet

padişahbet

betoffice

pusulabet

pusulabet giriş

padişahbet

spinco

bahsine

sahabet

Blackjack Oyna

Blackjack Siteleri

casibom giriş

wbahis

Holiganbet giriş

meritking

meritking giriş

meritking

meritking güncel giriş

meritking güncel

polobet

betnano

betnano

tempobet

meritking

imajbet

meritking

jojobet

marsbahis

bahiscasino

kingroyal giriş

ultrabet

galabet

jojobet

matbet

kingroyal

pusulabet

İnstagram takipçi, Tiktok takipçi

vegabet

zbahis

sahabet

casinoroyal

galabet

galabet

bağcılar escort

betbigo

meritking

meritking

lunabet

madridbet

madridbet giriş

lunabet

lunabet

lunabet

ultrabet

padişahbet giriş

galabet

holiganbet 1182

jojobet

padişahbet

padişahbet

meritking

meritking

meritking

pusulabet

izmir escort

tempobet

kingroyal

Sunday, December 28, 2025

সঙ্গীত চর্চা হয় তবে সব শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চা নয়!- সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল…

– রহমান ফাহমিদা, সহকারী-সম্পাদক।

এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন যারা তাল, লয়, সুর এবং সংগীতকে অনুধাবন করে অন্তরের অন্তঃস্থলে ভরে রেখেছেন এবং তারা বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিলেও সংগীতকেই আকড়ে ধরে আছেন। তাঁদের সকল ধ্যান-জ্ঞান নিয়োজিত থাকে সংগীতকে ঘিরেই। তেমনি একজন মানুষ খাইরুল আনাম শাকিল।
খাইরুল আনাম শাকিল, বাংলাদেশের নজরুলসংগীতের একজন জনপ্রিয় ও প্রতিভাবান শিল্পী। নজরুলের অনবদ্য সৃষ্ট সংগীতই এই শিল্পীকে এনে দিয়েছে সেই সুনাম। নজরুলসংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল ১৯৫৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাঁর মা-বাবা দু’জনই ফরিদপুর সদরের মানুষ। জনপ্রিয় এই শিল্পী লন্ডন থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে দেশের বাইরে পড়াশুনা করলেও বিদেশে থাকার কথা কখনোই ভাবেন নি। সেই কারণেই তরুন বয়সেই দেশে ফিরে এসেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে সে অল্প কিছুদিন কাজ করে সঙ্গীতটাকেই বেছে নিয়েছেন নিজের জীবনের সাথে। শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের বাড়িতে পারিবারিকভাবেই সংগীত চর্চাটা সব সময়ই ছিল। তাঁর বাবা একজন সংস্কৃতিকর্মী ছিলেন। বর্তমানে যা শিল্পকলা একাডেমি, আগে এটি ছিল আর্ট কাউন্সিল নামে। তখন তিনি এই আর্ট কাউন্সিলের অনারারি সেক্রেটারি ছিলেন। তাছাড়া তাঁর বাবা চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত ছিলেন। ‘জয় বাংলা’, ‘সুতরাং’, ‘কাগজের নৌকা’ -এই ছবিগুলোর উনি প্রযোজক ছিলেন। শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের মা বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও ছায়নটে গান শিখেছিলেন। তাছাড়া তাঁর মা বিখ্যাত ওস্তাদ মুন্সী রইস উদ্দিন খান সাহেবের কাছেও গান শিখেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মা, খালা আর মামার কাছে গান শিখেছেন এই শিল্পী। বিশেষ করে মামা মাহমুদুর রহমান বেণু’ই হল, ছোটবেলা থেকেই তাঁর গুরু। মামার কাছেই গানের ভালো-মন্দের সব বিষয় শিখেছেন তিনি। তাঁর মামা যখন ১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশ চলে গেলেন তার দুবছর পর (১৯৭৫) শিল্পী ও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ চলে গেলেন মামার কাছেই। সেই কারণে গান শেখা চালিয়ে যেতে পেরেছেন লেখাপড়ার পাশপাশি। পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসে কিছুদিন নারায়ণ চন্দ্রের কাছে গান শেখেন। নারায়ণ চন্দ্র হঠাৎ করে মারা গেলে, শিল্পী কিছুদিন গান শেখা বন্ধ রাখেন। তারপর তিনি ভারতের সারিঙ্গী নেওয়াজ ও ওস্তাদ মোহাম্মদ সগীর উদ্দীন খান সাহেবের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন, প্রায় সাত-আট বছর। নজরুল সংগীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন তাঁর মামার কাছে ও ছায়ানট থেকে। ছায়ানটে তাঁর সঙ্গীত গুরু ছিলেন- সোহরাব হোসেন, শেখ লুৎফর রহমান, অঞ্জলি রায়। যতটুকু জানা যায়, নজরুলসঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল অনেক ধরনের গান গাইলেও যখন সে বুঝেছে যে, কাজী নজরুলের গানে অনেক দিকের বিচরণ
রয়েছে, তখনি সে সেগুলো শেখার চেষ্টা করেছেন এবং নজরুলের রাগ প্রধান গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়েই তিনি সব ধরনের গান গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। নজরুলের গান চর্চা এবং তা প্রসারে রয়েছে শিল্পীর অপরিসীম সাধনা, মমতা ও ভালোবাসা।
নজরুলসংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের এ্যালবামের তালিকায় রয়েছে- গভীর নিশীথে ঘুম, সোনার কাঠি রুপোর কাঠি, ছিল চাঁদ মেঘের পারে, বেনুকা(২০১৩), একটুকু ছোঁয়া লাগে (২০১৭)। তাঁর পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক (২০১৯), নজরুল ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত ‘নজরুল পুরস্কার-২০১৭’ (২০১৮), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত নজরুল পুরস্কার (২০১৬), সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস।

কথা হল শিল্পীর সাথে জানা/অজানা নানান বিষয়ে। যারা নজরুলের গান ভালোবাসেন, ভালোবাসেন নজরুলসঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের গান! অবশ্যই তাদের জন্য এবং অন্য সকলের জন্য রইল সঙ্গীতাঙ্গন-এর পক্ষ থেকে এই আয়োজন। এখন জেনে নেই তাঁর কিছু জানা/অজানা কথা-

প্রথমে জানতে চাই, এখন আপনাদের নতুন কি কোনো কাজ হচ্ছে নজরুলসংগীত নিয়ে-
নতুন বলতে আমাদের একটি সংস্থা আছে ‘বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা’। এইটা নিয়ে আমরা একটি প্রজেক্ট করেছিলাম এবং প্রজেক্টের অনেকখানি কাজ হয়ে গেছে শুধুমাত্র রেকর্ডিং-এর কাজটা আপাতত বন্ধ আছে। এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হল, নজরুলের ১০০টি গানের একটি এ্যালবাম বের করা। এই এ্যালবামে আমাদের ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের কিছু নির্বাচিত শিল্পী প্লাস কলকাতার কিছু নির্বাচিত শিল্পী নিয়ে আমরা শুদ্ধ সুরে নজরুলের কিছু গান রেকর্ডিং করছি। আর নজরুলের গান নিয়ে আমাদের যে আন্দোলনটা! সেটা হল, নজরুলের গান শুদ্ধভাবে গাইতে হবে। তাই এর একটা বিষয় হল, আদি রেকর্ডের সুরে নজরুলের গানগুলো বের করা। তাই এই প্রজেক্টের সাথে কলকাতার কিছু শিল্পীকে যুক্ত করেছি। কারণ কলকাতার একটি দিকনির্দেশনার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। যদিও কাজী নজরুল ইসলাম মূল কাজটি ওখানে করেছিলেন কিন্ত একটা পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ফলে যত্ন নিয়ে গান করাটা হয়নি তাঁর। যার কারণে ওখানে হয়নি বলে এখানেও হয়নি। কারণ আমাদের এখানে তো অনেকেই ইন্ডিয়ান শিল্পীদের ফলো করে।
আমাদের বাংলাদেশে তো এখন নজরুলের চর্চা অনেক হচ্ছে। শুদ্ধ চর্চা বিশেষ করে। নজরুল ইন্সটিটিউট এর দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এবং তারা আমাদের যে সংস্থা সেটাকে এন্ড্রোসও করছেন। আর ওনাদের যে কাজকারবার তা আমরা আমাদের সংস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই একটা কাজই এই মুহূর্তে নতুন হচ্ছে কিন্ত অ্যাট দ্যা মোমেন্ট এটা বন্ধ হয়ে আছে কারণ রেকর্ডিং করতে পারছি না আমরা। এই করোনার প্রকোপ কমে গেলে আমরা হয়তো এর কাজ আবার শুরু করবো। এই এ্যালবামকে কেন্দ্র করে ডিসেম্বরের দিকে একটি বড় অনুষ্ঠান করার কথা আছে। এই ‘বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা’র সাধারণ সম্পাদক আমি।

ভাইয়া, আপনি সহ আর কে কে যুক্ত আছেন এই ‘বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থায়’-
আসলে,আমাদের এই সংস্থার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন খালেদ হোসেন সাহেব। উনি তো মারা গেলেন! উনি মারা যাওয়ার পর আমাদের সিনিয়র একজন শিল্পী জোসেফ কমল রড্রিস, উনি ছিলেন সভাপতি দু’বছরের জন্য, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে উনিও মারা গেলেন। আমাদের রি-ইলেকশন হয় নাই। আপাতত ইয়াকুব আলী খান এক্টিং সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। এরপর আমাদের ইলেকশন হলে, এজিএম হলে তখন আমরা এটা পার্মানেন্ট করবো।

ভাইয়া, আপনি তো প্রায় পাঁচদশক ধরে এই সঙ্গীত জগতে আছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তির সাথে সাথে সংগীত জগতেরও ৫০বছর পূর্তি হল, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে। এই সময়ে সংগীতের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়! দেখা গেছে নজরুল সংগীতকে অনেকসময় নিজস্ব সুর যোগ করেও গান করা হয়েছে। এমনকি তাঁর কবিতা থেকে বাণী নিয়ে এবং তাঁরই অন্য গানের সুর দিয়ে গান করে, তাঁর গানের ধারাকে পাল্টিয়ে দিয়েছে কিন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এবং আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের গানের একটি আলাদা ধারা বা থিম আছে। সেটাকে মর্ডান করতে যেয়ে গুলিয়ে ফেলছে অনেকেই। শুধু নজরুলের গানের পরিবর্তন হয়েছে তাই-ই নয় সংগীত জগতের অন্য সবক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনকে আপনি কিভাবে দেখছেন-
আমার প্রথম কথা হল যে, হ্যাঁ আমার সংগীত জীবন শুরু হয়েছে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান আমলে। তখন ‘নতুন কুঁড়ি’ নামে প্রতিযোগিতামূলক একটি অনুষ্ঠান হত। আমি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেইসময় পুরস্কৃতও হয়েছি। তারপর পরবর্তী কালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর ১৯৭৪ সালে আমি প্রথম বাংলাদেশ টেলিভিশনে এনলিস্টেড আর্টিস্ট হিসেবে গান করি। ১৯৭৪ সাল থেকে যদি ধরেন, ৪৬/৪৭ বছর ধরে আছি সঙ্গীতাঙ্গনে! আমি প্রথম থেকেই ছায়ানটে যুক্ত ছিলাম। প্রথমে ছাত্র, তারপর শিক্ষক, পরে ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলাম প্রায় ২২/২৩ বছর। বর্তমানে আমি ছায়ানট- এর সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত আছি। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও গান শেখাই এখন। সব মিলিয়ে আমি যেটা দেখেছি যে, গানের পরিবর্তন তো হয়েছেই সেইসাথে আমি যদি বলি ইয়ং জেনারেশনেরও পরিবর্তন হয়েছে। আমি যা রিয়েলাইজ করি তা হল, ওদের ভাবনা চিন্তা সবকিছু মিলে এবং সামাজিক মাধ্যম যেমন, ইন্টারনেট, অনলাইনে যে সমস্ত কাজ হচ্ছে তাছাড়া নেটে গেলে আপনি অনেক তথ্যাদি পাচ্ছেন, এর সবকিছু মিলিয়ে একটা পরিবর্তন এসেছে কিন্ত সেখান থেকে কিছু কিছু ভালও হয়েছে আবার খারাপও হয়েছে। ভালো দিক হল যে, একদিকে ইয়ং জেনারেশনের আন্তর্জাতিকভাবে একটা সুযোগ হয়েছে। অন্যদিকে কিন্ত ওরা বাইরের যে সংস্কৃতি সেটার সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি কিছুটা মেশাতে যেয়ে, ওরা সেটাকে বলছে ফিউশন! কিন্ত আমি মনে করি এটা ফিউশন না বরং এটা একটি অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এবং গুলিয়ে ফেলছে সব। ওরা নিজ পরিচয়কে ভুলে গিয়ে অন্যেরটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি মনে করি যে, এই সংস্কৃতিক আদান প্রদান আমরা দীর্ঘকাল ধরে করে এসেছি। আসলে বিষয় হল এক্সপেরিমেন্ট করা। নানাভাবে, নানা সময় বড় বড় গুণীজন করেছেন। রবীন্দ্রনাথও করেছেন, নজরুলও করেছেন। যেমন ধরেন, রবীন্দ্রনাথের গানে আমরা পাই উনি বিদেশী সুর নিয়ে বাংলা গানে ঢুকিয়েছেন। আবার নজরুলকেও দেখেছি এরকম বিদেশী কিছু সুর নিয়ে উনি উনার গানে সুরগুলি ঢুকিয়েছেন কিন্ত কোনো গান নেই এরকম নজরুলেরও নাই, রবীন্দ্রনাথেও নাই! যে গানটা চট শুনলে আমাদের মনে হবে ওটা বিদেশী গান। শব্দের সঙ্গে তাঁরা সেই সুরগুলো এমনভাবে মিশিয়েছে যে বুঝা যায় না। এটা কিন্ত এক ধরণের এক্সপেরিমেন্ট বা ফিউশন। আসলে ফিউশন কথাটির অর্থটা আমাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। ফিউশন হলো মেশানো। এমনভাবে মেশানো, যাতে আমি আমার সংস্কৃতিটাকে প্রধান রেখে বাইরের যা কিছু ভাল সেটাকে মিশিয়ে সুন্দর কিছু একটা তৈরি করতে পারি। ফিউশনে বাংলা গানে বিদেশী সুরের ব্লেন্ডিংটা এমনভাবে হবে যেন তা বাংলা বলেই মনে হয়। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এই ব্লেন্ডিংটা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে একটি ইংরেজি গানের সুর হুবুহু রেখে সেখানে জাস্ট বাংলা শব্দ বসিয়ে দিল। ভাবছে যে এটা ফিউশন। যেহেতু যে যন্ত্রগুলো ব্যবহার হচ্ছে সবগুলোই ওয়েস্টার্ন। এই জন্য বাংলা গান মনে হয় না। খালি বাংলা শব্দ দিয়ে তো বাংলা গান হয় না! বাংলা গানের তো একটা ঐতিহ্য আছে। যার জন্য আমরা যখন সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম তখন আমাদের ধাপে ধাপে উন্নতিটা হয়েছে এবং সেটার স্বীকৃতিও পেয়েছি। আমাদের সময় মনে করেন,পাঁচ বছরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একবার অডিশন হয়েছে। নানান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি।
এই জিনিসটা এখন আর সেরকম হয় না। এখন এত প্রাইভেট চ্যানেল যে, কারো আর সরকারী চ্যানেল নিয়ে মাথা ব্যথা নাই। আমাদের সময় তো একটাই ছিল বিটিভি। তখন কম্পিটিশন ছিল প্রচন্ড। ভালো সঙ্গীতশিল্পী তৈরি হয়েছে তার কারণ উনারা নিজেদেরকে একটা তৈরি করার মধ্য দিয়ে সময়টা পার করেছে এবং নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করেছেন। আর এখন একটি গান ইউটিউবে দিয়ে নানান ভাবে পাবলিসিটি করে হিট হয়ে গেল, বাস! তারপর ভাবল তার আর শেখার কিছু নেই, ওখানেই শেষ। গানের চেয়ে দেখাটাই এখন বেশি যার কারণে এরা সব দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আবার দ্রুতই ঝরে যাচ্ছে।
আরেকটা দিকে আপনি মনে করেন, এই সংগীত চর্চার সার্কেলটা কিন্ত অনেক বড় হয়েছে দু’টি কারণে, একটা হলো জনসংখ্যা বেড়েছে আমাদের দেশে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে শিল্পী হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। ইন্টারনেটের কারণে ভারতের যে রিয়্যালিটি শো গুলো হচ্ছে তা দেখে দেখে অনেক ছেলেমেয়ে সংগীত চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে এবং আগের তুলনায় আমাদের বাংলাদেশে অনেক ঘরেই সংগীত চর্চা হয় তবে সবটাই যে শুদ্ধ সংগীত চর্চা তা নয়। আমি যেহেতু শিক্ষকতা করি সেহেতু আমি লক্ষ্য করছি যে আমরা ভালো ছেলেমেয়ে পাচ্ছি। তারা নিজেরা তৈরি হচ্ছে এবং ভারতে গিয়ে শেখার সুযোগ বেড়েছে। আর ওস্তাদ যারা আছেন তারা বাইরে থেকে শিক্ষা নিয়ে ফিরছেন এবং এখানে তারা শিল্পী তৈরি করছেন। আমরা যারা নজরুলের শাস্ত্রীয় গান করছি, আমরা নিজেরাও নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করেছি এবং আরও উন্নত রেকর্ডিং-এর মধ্য দিয়ে নজরুলের গানকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে পেরেছি বলে আমি মনে করি, এটা হল পজিটিভ দিক। পজিটিভ সাইড আমি বলছি কিন্ত আরেকটি দল আছে সেটার সংখ্যা খুব বেশি না। আমরা যেরকম নজরুলের গানের শুদ্ধতা রেখে মানে সুন্দর আয়োজনে ট্র্যাডিশনাল যন্ত্র ব্যবহার করে গানটিকে উপস্থাপন করছি এবং রবীন্দ্রনাথের গানেও তাই-ই হচ্ছে এবং এই রেকর্ডিং-এর কারণেই ইন্টারনেট ইউটিউবে নানান কিছু প্রচার হওয়াতে এগুলোর কিন্ত আগের চেয়ে দর্শক শ্রোতা বেড়েছে বলে আমি মনে করি। তবে স্বাভাবিকভাবে আমাদের গান তো চটুল গান না বা একদিন ভালো লাগলে আরেকদিন ভুলে গেলাম, এরকম কোনও বিষয় না। নজরুল, রবীন্দ্রনাথের এবং আমাদের পঞ্চকবির গান থেকে নতুন সুরকার ও গীতিকারদের অনেক কিছু শেখার বিষয় আছে। তখন যেভাবে গান লেখা হত, যে শব্দ ব্যবহার হত, তাতে কবিতা আর গানের পার্থক্য থাকতো। আমি বলতে চাই যারা ভালো গান লিখতে চান তাদের নজরুল, রবীন্দ্র পড়া না থাকলে ঐ স্ট্যান্ডার্ড হবে না। যার জন্য এই ছেলেমেয়েদের অনেকেই এখন গান লিখে, সুর করে কিন্ত এই ট্রেনিংটা নেই বলে আগেরকার মত দীর্ঘস্থায়ী বা গানটি স্থায়ী হচ্ছে না। বাণী এবং সুর এই দুটোরই দুর্বলতা রয়ে গেছে। সব না! হয়তো ধরেন আপনি ১০০/২০০টা গান পাবেন তার মধ্যে ২টি গান ভালো পাবেন। আগে এর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এই পরিবর্তন হয়ে আসছে গত ৫০বছর ধরে, ধীরে ধীরে। এখান থেকে আমরা দু’টো জিনিস পেয়েছি, একদিকে আমরা বলছি যে, সংগীত চর্চার ক্ষেত্রে চর্চা অনেক বেড়েছে। কিছু নতুন নতুন ভাবনাও আসছে সংগীতে। কিছু ভালো কিছু খারাপ ফিউশনের কথাও বল্লাম, এখানে কনফিউশন রয়েছে। আরেকটি দিক হল, এদের শেখার সুযোগ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। সমৃদ্ধ করার বিষয়টায় অনেক সুযোগ পাচ্ছে। কেউ কেউ সুযোগ নিচ্ছে আবার কেউ কেউ সস্তা জনপ্রিয়তার কারণে ঝরেও যাচ্ছে। কিছুদিন গান করছে তারপর আর থাকছে না কারণ সে প্রোপারলি নিজে ট্রেইন হচ্ছে না, এই হল ব্যাপার। আমি মনে করি যে, স্বাধীনতার জন্য নানান অর্জন হয়েছে, আমরা একটি দেশ পেয়েছি, একটি পাসপোর্ট পেয়েছি, আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্বে মানচিত্র নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার একটা পরিচয় হয়েছে। পাশাপাশি সংগীতের ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে যেমন, আবার অবনতিও হয়েছে। আবার সামাজিকভাবে আমাদের কিছু কিছু ভাল জিনিস হয়েছে যেমন, আবার অবক্ষয়ও হয়েছে। তা আমরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও মিডিয়া থেকে জানতে পারি।

ভাইয়া, সংগীত জগতে আপনার এই দীর্ঘ পথচলায় আপনার প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তি কী ছিল-
আমার ব্যক্তিগত অর্জনের কথা যদি বলেন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে, জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। সরকার কর্তৃক পদত্ত একুশে পদকে ভূষিত হয়েছি। সরকার আমাকে দিয়েছেন আমার সংগীতে অবদানের জন্য, সেটা তো না বললেও আপনি বুঝতে পারছেন! তবে আমি এগুলো এভাবে দেখিনি যে, আমি বিরাট কিছু হয়ে গেছি। আমি মনে করি যে, এটা এক ধরণের স্বীকৃতি। স্বীকৃতি পেলে ভালো লাগে এবং সত্যিকার অর্থে কাজ করার শক্তিটা আরও বেড়ে যায়। এটা আমার পার্সোনাল প্রাপ্তি আর বাকী যে অর্জন আমার হয়েছে, আমি বলবো যে আমি অনেক ছাত্রছাত্রী তৈরি করেছি। আমি মনে করি ওরাই আগামী দিনগুলিতে নজরুলের গানকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে। এটি একটি পজিটিভ দিক। আমি মনে করি যারা গান শিখছে, আমাদের প্রজন্মের যারা নজরুলের গান গাইছে, রবীন্দ্রনাথের গান গাইছে, তাঁরা উপস্থাপনের ব্যাপারে আরও পজিটিভ হয়েছে। আরও সুন্দর করে উপস্থাপনা করা, গানটিকে আরও মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া, নানান পথ আছে তো এখন! সেইগুলিকে ব্যবহার করে আমি মনে করি এই প্রজন্মের যারা নজরুল রবীন্দ্র নিয়ে সিরিয়াস গান-বাজনা করতে চায় তাদের একটা ইম্প্রেশন করতে পেরেছি আমরা।
আর সেই ইম্প্রেশন থেকেই তারা গানটি করছে এবং শিখছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে এখন হাজার হাজার শিল্পী তবে সবাই এ ক্লাস তা না। তারপরেও আমি বলবো, তাদের আগ্রহটা অনেক বেশী। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ময়মনসিংহ ত্রিশালে, তারপর রাজশাহী, বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে সংগীতের ডিপার্টমেন্ট হয়েছে। আমি মনে করি যে, আমাদের স্কুলগুলোতে এখনও একটি কাজ বাকী রয়ে গেছে। যদিও আমাদের শিক্ষাবোর্ডের কারিকুলামে সংগীত শিক্ষাটি রয়েছে কিন্ত তা দীর্ঘদিন ধরে কার্যকারিতা হচ্ছে না। অথচ আগে স্কুলগুলোতে কালচারাল এক্টিভিটিসগুলো ছিল। বর্তমানে ইংরেজি স্কুলগুলোতে এইসব কালচারাল অনুষ্ঠানগুলো হলেও বাংলা মিডিয়ামগুলোতে একেবারেই নেই বলা চলে। এইসব কালচারাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করার একটি ব্যাপার নিহিত আছে। স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তিতে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি গর্ব করার মত আবার কষ্ট পাবার মতও অনেক কিছুই হয়েছে, সেটা ঠিক! এখন এই দুটোর মধ্য থেকে পজিটিভ যে জিনিসগুলো আমাদের, তা তুলে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আর অপ্রাপ্তির কথা যদি বলেন, আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই! সেই অর্থে আমি মনে করি আমি জীবদ্দশায় যতটুকু পেয়েছি, অনেক পেয়েছি। সেই সবের জন্য আমি যোগ্যতা রাখি কিনা তা আমি জানি না! কিন্ত আমি অনেক পেয়েছি। এই যে মানুষ আমার গান শুনে ভালো বলে। আমার রেকর্ড বিক্রি হয়, ইউটিউবে অনেক মানুষ আমার গান দেখে, শুনে তা আমি দেখি। তাই এটা থেকেই আমি ধারণা করি, আমি হয়তো তাঁদের মনের ভেতর এক ধরণের একটা ভালোবাসার জায়গা করে নিতে পেরেছি! মানুষের এই ভালোবাসাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। তাই অপ্রাপ্তি বলে কিছু নেই আমার।

ভাইয়া, সঙ্গীতাঙ্গন-এর পক্ষ থেকে আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সাবধানে থাকুন। শুভকামনা রইল।
সঙ্গীতাঙ্গন এবং আপনার জন্যেও রইল শুভকামনা।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles

betwinner melbet megapari megapari giriş betandyou giriş melbet giriş melbet fenomenbet 1win giriş 1win 1win