প্রিয় পাঠক,
অভিনন্দন এবং ভালোবাসা নিবেদন করছি আপনাদের প্রতি। সঙ্গীতাঙ্গন এর উদ্দেশ্য সবসময়ই দেশের সকল সুরকার, গীতিকার, শিল্পী এবং সব ধরনের মিউজিসিয়ানদের পাশে থেকে আমাদের দেশীয় সঙ্গীতকে অনেক দুর এগিয়ে দুর নিয়ে যেতে। আমরা চাই সঙ্গীতাঙ্গন এর মাধ্যমে যেকোনো গানের আসল স্রষ্টা সম্পর্কে জানুক। এ জন্য আমরা সব সময় আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি।
কারণ দেশের একাধিক চ্যানেলে এ প্রজন্মের শিল্পীরা গানটির স্রষ্টাদের নাম না বলতে পেরে সংগ্রহ বলে থাকেন। এতে গানের মূল স্রষ্টা ব্যথিত হোন, এমন অনেক অভিযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই একটি গানের মূল স্রষ্টাকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে আমরা বহুদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছি, শুধুমাত্র সঙ্গীতকে ভালোবেসে। এবারের বিষয় ‘একটি গানের পিছনের গল্প’ আমাদের অনেক প্রিয় একজন সঙ্গীতপ্রেমী ভাই জনাব মীর শাহ্নেওয়াজ সঙ্গীতাঙ্গন এর মাধ্যমে জানাবেন আমাদের প্রিয় গানের পিছনের গল্প। এবং দেশের বরেণ্য সকল শ্রদ্ধাভাজন শিল্পীগন আপনারাও নিজ দায়িত্বে সঙ্গীতাঙ্গনের মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনার নিজ সৃষ্টি অথবা আপনার প্রিয় গানের গল্প। এতে আর এ প্রজন্মের শিল্পীরা ভুল করবেন না গানের স্রষ্টাকে চিনতে।
আসুন সবাই গানের সঠিক ইতিহাস জানতে একতা গড়ি। – সম্পাদক
– তথ্য সংগ্রহে মীর শাহ্নেওয়াজ…
আজ শ্রদ্ধেয় সঙ্গীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত-এর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁরই সুরারোপিত গান দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
“আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়”
শিল্পীঃ জগন্ময় মিত্র
সুরকারঃ কমল দাশগুপ্ত
গীতিকারঃ মোহিনী চৌধুরী
জগন্ময় মিত্রের গাওয়া ‘সাতটি বছর আগে’র গানটি নিয়ে অনেক গল্প চালু আছে। কিন্তু অন্য একটি গান নিয়েও একটি ঘটনা আছে। ঘটনাটা স্বাধীনোত্তর সময়ে। সঙ্গীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত একটি গান বাঁধলেন এবং জগন্ময় মিত্রকে গাইতে বললেন, সাধারণ প্রেম ও বিরহের গানই বেশি গান জগন্ময় মিত্র। কারণ, এই ধরনের গানই তাঁর কণ্ঠে বেশি খুলতো। কিন্তু গানটি শুনে তিনি কিছুতেই গাইতে রাজি হলেন না। কমল দাশগুপ্তও ছাড়ার মানুষ নন। অবশেষে জগন্ময় মিত্র গাইলেন, ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়…।’ গানটি সে সময়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
১) জগন্ময় মিত্র
https://www.youtube.com/watch?v=BiUHNRk4VZo
২) শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=KLWw_VGqOUM