– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
গীতিকার, সুরকার এবং কণ্ঠশিল্পী। গান লিখছেন প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। তবে সব পরিচয় ছাপিয়ে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত প্লাবন কোরেশী। গানচাষী নামেও খ্যাত তিনি। যিনি দেশ ও দেশের বাইরের শিল্পীদের নিয়ে অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। তার সাথে কথা হলে জানা যায়, আসলে তাকে প্রচুর কাজ করতে হয়। যারা সঙ্গীত নিয়ে কাজ করেন, বলা চলে নতুন-পুরাতন সবার জন্যই তার কাজ করা।
সাম্প্রতিক কাজ সম্পর্কে বলেন- লায়লা, বেলাল খান, কামরুজ্জামান রাব্বি, বিন্দু কণা, শারমিন এছাড়াও অনেকের জন্যই কাজ করা আছে এবং কাজ চলছেও।
ইতোমধ্যে দু’টি সিনেমার গানের কাজও হয়েছে, তার মধ্যে ‘কিং’ ছবিতে শহীদুল্লা ফরায়জীর কথায় গেয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু, গানটির শিরোনাম হলো- ‘কৃতদাস’ যার সুর ও সঙ্গীত তিনিই করেছেন। এরপর কুদ্দুস বয়াতী, মুনিয়া মুন সহ আরো সামনে আসছে ‘মতিভানু’সহ আরো একটি ছবি যা রাসেল মিয়া অভিনীত। সেখানে গান গেয়েছে- এস,আই টুটুল, মনির খান, লায়লা। সব গানের কাজই তার করা বলে জানান তিনি।
আরো জানা যায়, আগামীতে হাতে আছে তার বিভিন্ন শিল্পীর অনেকগুলো কাজ।
আর দ্রুতই রিলিজ হতে যাচ্ছে তার নিজের কথা, সুর ও কণ্ঠে ‘ফালতু লাগে’। গানটি সম্পর্কে তিনি বলেন, গানটি হবে ব্যতিক্রমধর্মী। যা শ্রোতাদের এক ভিন্নমাত্রায় আনন্দ দেবে আশা করি।
এছাড়াও আমরা জানি, প্লাবন কোরেশীর লেখা ও সুরে জনপ্রিয় হয়েছে অসংখ্য গান। আবার অন্যের লেখায়ও সুরের ঝংকার তুলতে সমান পারদর্শী তিনি। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ফজলুর রহমান বাবুর ‘ইন্দুবালা’, দিলরুবা খানের ‘তোমার আমার’, মনির খানের ‘অঞ্জনা’, রিংকুর ‘বিবাগী’, রবি চৌধুরীর ‘রঙের বন্ধু’, ধ্রুব গুহের ‘একলা পাখি’ ও ‘যে পাখি ঘর বোঝে না’ অন্যতম এবং সমপ্রতি প্রকাশিত ‘বিনোদিনী রাই’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গানের কথা ও সুর তার নিজের করা এবং কণ্ঠ দিয়েছেন- বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী সাব্বির নাসির ও ভারতের সম্পা বিশ্বাস।
এভাবেই তিনি দিনরাত গানের চাষ করে যাচ্ছেন এবং বাংলা সঙ্গীত জগতকে তিনি আরো ভালো কিছু উপহার দিবেন বলে ব্যক্ত করেন।
সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা ও সঙ্গীতীয় ভালোবাসা তার ও তার গানের ভক্তদের জন্য।