– সুব্রত মণ্ডল সৃজন
সঙ্গীত প্রিয় সুধী, সঙ্গীতাঙ্গনে আজ আপনাদেরকে স্বাগত! সেইসাথে আজ আধুনিক গান নিয়ে ‘সঙ্গীতাঙ্গনে” উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মোঃ রফিকুল হাসান সেলিম। সঙ্গীত প্রিয়দের সংগীতে আনন্দ প্রদান করবেন এই কণ্ঠশিল্পী তার কন্ঠে। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তাই সঙ্গীতাঙ্গনের সঙ্গেই থাকুন আর চলুন জেনে নেই এই কণ্ঠশিল্পী সেলিম সম্পর্কে।
পিতা-মাতার তিন সন্তানের বড় মোঃ রফিকুল হাসান সেলিম। ১৯৮০ সালের ১০ এপ্রিলে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মান্না দে, সুবীর নন্দীসহ পুরনো দিনের গান শুনে আকৃষ্ট আর সেই থেকেই গান নেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। মূলত তিনি পুরনো দিনের যে গানগুলো আছে সেগুলোই তিনি করে থাকেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য ঘরানার গানও পরিবেশন করেন।
ছোটবেলাতেই তার ছিল সুরেলা কণ্ঠ! তাই প্রতিবেশীরা তাকে দিয়ে বাড়ির পাশের মসজিদে আযান দেওয়াতো, কোরান তেলাওয়াত করাতো, এরপর থেকেই শুরু হয় গানের প্রতি টান। সেই সাথে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানসহ অধিকার করে নেয় উল্লেখযোগ্য স্থান এবং পরিচিতি পেতে থাকে তার পারিপার্শ্বিকের সাথে। পরবর্তীতে তিনি গান শেখার জন্য ভর্তি হন “নবীন মেলা খেলাঘর আসরে” এবং সেখানেই প্রথমে হাতেখড়ি ওস্তাদ সুদর্শন বাবুর কাছে আর পরবর্তীতে শ্রী বিশ্বনাথ পালের কাছে। শহিদুল ইসলামের কাছে ‘সরিষাবাড়ি সাংস্কৃতিক একাডেমিতে’ তিনি সঙ্গীতে তালিম নেন ১৯৯৩ সালে। এভাবেই বেড়ে ওঠা কন্ঠশিল্পী সেলিমের।
২০০৫ সালে বাংলাদেশ বেতারে এবং ২০০৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি আধুনিক গানের কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বর্তমানে গানের পাশাপাশি কর্মরত আছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে তিনি বলেন, গান তো আত্মার আত্মীয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে তাই এটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন এবং চিন্তা আছে কারণ গানকে আমি ভালোবাসি। ভালো কিছু মৌলিক গান করার চিন্তাভাবনা আছে।
ঢাকাতে ওস্তাদ ডক্টর হারুন-অর-রশিদের কাছ থেকে প্রায় ৬ বছর ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের তালিম নেন তিনি।
দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, ভালো সংগীতের সাথে থাকুন, দেশকে ভালোবাসুন, ভালোবাসুন আপন সংস্কৃতিকে। সেইসাথে বাংলা গানে ভরে উঠুক সকলের প্রাণ।