– প্রতিবেদক।
নাচের ইতিহাস বেশ পুরনো। গবেষকরা গুহাচিত্র দেখে ধারণা করেন যে নাচের আবির্ভাব হয়েছিল প্রায় নয় হাজার বছর পূর্বে এবং তা ছিল কেবল ঈশ্বরের উদ্দেশে। এরপর আস্তে আস্তে নাচের ইতিহাস যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে তেমনি দেশে বিদেশে উঠে এসেছে বহু গুণী নৃত্যশিল্পীও। আমাদের দেশেও রয়েছেন তেমন অনেক বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী। রয়েছেন শিশু থেকে শুরু করে অনেক তরুণ প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পীও। তেমনি একজন প্রতিভাবান শিশু নৃত্যশিল্পী বাংলাদেশের পিউষা চৌধুরী গুনগুন। যার নাচের ছন্দে ইতিমধ্যে মুগ্ধ এখন গোটা বাংলাদেশ এবং ভারত। রীতিমতো ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও।
সম্প্রতি দেখা যায় যে ‘চিত্রায়ণ’ নামক পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজ থেকে এই শিশুশিল্পীর সাদা শাড়ি পড়া একটি নাচের ভিডিও শেয়ার করতে। আর এই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যেই মিলিয়ন ভিউজ পার হয়ে এখন প্রায় দেড় মিলিয়ন ভিউজ। শেয়ার হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৩ শ, লাইক পড়েছে ১৩৪ হাজার এবং কমেন্ট পড়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪’শ মতো। তারই ধারাবাহিকতায় চিত্রায়ণ পিউষা চৌধুরী গুনগুনের বাবার অনুমতিক্রমে পরপর আরো দু’টি নাচের ভিডিও শেয়ার করেন। যার মধ্যেও একটি মিলিয়ন পার হয়ে গেছে অন্যটিও প্রায় মিলিনিয়ন ছুঁই ছুঁই।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে শিশুশিল্পীর পিতা সঙ্গীত জগতের পংকজ চৌধুরী জয়ের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি জানান মূলত মায়ের উৎসাহে মেয়েকে নাচ শিখানো। তার মায়ের অনেক ইচ্ছা মেয়েকে ভালো একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে গড়ে তোলা। মূলত সেকারণেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা ও শিবলী মাহমুদের স্বনামধন্য নাচের স্কুল ‘নৃত্যাঞ্চলে’ মেয়েকে ভর্তি করানো। কারণ আমি মনে করি শুরু থেকে যদি বাচ্চারা ভালো একটা গাইডলাইন পায় তাহলে হয়তো ওদের ভিত্তিটা অনেক মজবুত হবে।
করোনার কারণে তো সব ধরণের স্কুল কলেজ এখনো বন্ধ। তাই ওর আগ্রহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে যতটুকু পারছে নিজে নিজেই নাচ শেখার চেষ্টা করছে। আর মায়ের গাইডতো আছেই।
পরিশেষে সবার উদ্দেশ্যে বলবো আমার মেয়ের নাচকে লাইক কমেন্ট ভিউ দিয়ে বিবেচনা না করে উৎসাহমূলক ভালোবাসা দিয়ে মেয়ের জন্য সবাই একটু আশীর্বাদ করবেন। যাতে ওর আগ্রহটা হারিয়ে না যায়। মায়ের চেষ্টা আর মেয়ের আগ্রহ এবং আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসা থাকলে হয়তো মেয়ে একদিন পরিপূর্ণ শিল্পী হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।