– আফরোজ মিম।
শুভজন এর ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব পালন করা হয় এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ধানমন্ডির বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে। এ বছর দেশের ৮ বিশিষ্ট নাগরিককে দেয়া হয়েছে শুভজন গুণীজন সম্মাননা।
শুভজন দেশীয় শিল্প সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে শক্তিশালী বাহক হিসেবে কর্মময় ৮ বছর অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠার ৯ম বছরে পদার্পণ করেছে। শুভজন ‘মানবিক মানুষ চাই’ স্লোগান নিয়ে শুদ্ধ ধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশের শিল্প-সংস্কৃতি তথা সঙ্গীতাঙ্গনে অসামান্য অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সৈয়দ আব্দুল হাদীকে এ পদক প্রদানের পাশাপাশি ‘শুভজন’ উপাধিতেও ভূষিত করা হয়।
এছাড়াও দেশের আরও সাত বিশিষ্ট নাগরিককে দেওয়া হয়েছে শুভজন গুণীজন সম্মানন। তাঁরা হচ্ছেন- হাসান মতিউর রহমান (গীতিকবি), এনামুল কবীর (গীটারিষ্ট), একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএ (চার্টার একাউন্টেন্ট), এম আর মনজু (শিশুসাহিত্যিক), অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের (আইনসেবা) ও নাজমুন নাহার (জনসেবা)।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা বা সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন শাখায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকগণকে প্রতি বছর দেওয়া হয় ‘শুভজন পদক’। বিগত ৭ বছর যাবত এ পদকগুলো দেওয়া হচ্ছে।
পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য পুরস্কার হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকার প্রাইজ বন্ড, শুভজনের নিজস্ব নকশার একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র এ পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত থাকে। কোন ব্যক্তি একবার ‘শুভজন পদক’ পেলে তাকে পরবর্তীতে পদকের জন্য বিবেচনা করা হয় না। প্রাথমিকভাবে শুভজন মরণোত্তর পদক দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন শুভজনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ রাসেল। এপর্যন্ত শুভজন পদক পেয়েছেন- কবি আসাদ চৌধুরী (২০১৪), কামাল লোহানী (২০১৫), কবি কাজী রোজী (২০১৬), ড আতিউর রহমান (২০১৭), শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার (২০১৮) ও সৈয়দ হাসান ইমাম (২০১৯)।