Canlı Maç İzle

Hacklink

Hacklink

Hacklink

kayaşehir escort

taksim escort

üsküdar escort

Hacklink

Hacklink

casino kurulum

Hacklink

Hacklink

Hacklink

slot gacor

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Eros Maç Tv

hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

SBOBET88

Marsbahis

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Hacklink

bbo303

Hacklink

Hacklink

Hacklink Panel

Hacklink

sarıyer escort

extrabet

Jojobet

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

bomonti escort

Hacklink

hacklink

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

özbek escort

algototo

Hacklink

Hacklink panel

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Buy Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

xgo88

Hacklink

Hacklink

slot gacor

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

หวยออนไลน์

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink satın al

Hacklink

download cracked software,software download,cracked software

Hacklink Panel

Hacklink

galabet giriş

betorspin

betorspin

betorspin

betorspin

betorspin

cialis fiyat

Hacklink

venüsbet

casibom giriş

tokyobet

jojobet giriş

sekabet giriş

Holiganbet giriş

venüsbet

venüsbet

betcio giriş

betist

betist

betist

betist

adapazarı escort

sakarya escort

istanbul mobilyacı

betoffice

serdivan escort

casibom giriş

piabellacasino

jojobet

steroid satın al

mavibet

perabet giriş

perabet

venüsbet

vdcasino

matbet

bahiscasino

bahiscasino giriş

bahiscasino.com

matbet

jojobet

90min

iptv satın al

holiganbet

holiganbet giriş

yakabet

pusulabet

meritking giriş

Jojobet

ultrabet

konya escort

vdcasino

matbet

marsbahis güncel giriş

betoffice giriş

nakitbahis

Betpas

Betpas

Betpas giriş

matbet

주소모음 사이트

sekabet

vdcasino

Hacklink

casibom

livebahis

pusulabet

betpark

queenbet

queenbet

norabahis

norabahis

cratosslot

hit botu

request hit botu

mecidiyeköy escort

pusulabet

Deneme Bonusu Veren Siteler 2026

perabet

perabet giriş

sweet bonanza oyna

Streameast

grandpashabet

sakarya escort bayan

casibom giriş

Marsbahis

diyetisyen

trgoals

sapanca escort bayan

onwin

meritking güncel giriş

vdcasino

truvabet

Betpas

Betpas giriş

casibom

casibom

milosbet

milosbet

casibom

milosbet

casibom

casibom

betovis

casibom güncel

enbet

tantra massage in Istanbul

bypuff

online diyetisyen

tokyobet

venüsbet

kralbet

betnano

deneme bonusu

betmarino

konya escort

Betpas

realbahis

Bästa Casino Utan Svensk Licens

pusulabet

pusulabet

pasacasino

Casbiom Giriş Güncel

Betcio

Galabet

rekorbet

truvabet türkiye

https://betpuan.net

asyabahis

norabahis

galabet

Marsbahis

marsbahis

marsbahis

pusulabet

vdcasino giriş

vdcasino giriş

grandpashabet

prizmabet

betticket

Marsbahis

holiganbet

holiganbet giriş

norabahis

casibom giriş

casinolevant

ultrabet

bahiscasino

casibom

jojobet

wbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

suratbet

deneme bonusu veren yeni siteler

ultrabet

ultrabet

kavbet

kavbet

kavbet

betnano

holiganbet

holiganbet giriş

poliwin

meritking

bahiscasino

marsbahis

grandpashabet

imajbet

pusulabet

sekabet

vaycasino

Casibom Güncel Giriş

galabet

süratbet

yakabet

unblocked

betovis

trendbet

jojobet

marsbahis

grandpashabet

meritking

holiganbet

restbet

casibom

meritking

tlcasino

yakabet giriş

matbet

matbet giriş

tokyobet

casinolevant

teosbet

1xbet

trendbet

casibom

betoffice

meritking

madridbet

vdcasino giriş

otobet

lunabet

meritbet

pusulabet

artemisbet

lordbahis

sekabet

atlasbet

imajbet

nisanbet

galabet

sonbahis

marsbahis

betebet

betpas

holiganbet

meritking

imajbet

padişahbet

betasus

diyarbakır escort

vaycasino

suratbet

kralbet

Vdcasino

grandpashabet

enbet

casinolevant

pusulabet

orisbet

casibom

Slot Gacor

casinolevant

Judi Bola

betsmove

grandpashabet

galabet

betkolik

yakabet

rinabet

galabet

betkolik

yakabet

rinabet

holiganbet

vaycasino

vaycasino giriş

vaycasino güncel giriş

vdcasino

marsbahis

royalbet

betturkey

masterbetting

ccasinolevant

casinolevant

casinolevant

casibom

betoffice

casinoroyal

casinolevant

kralbet

betra

trgoals

galabet

casibom

galabet

beyoğlu escort, şişli escort, beşiktaş escort

marsbahis

casinolevant

dinamobet

casinolevant

Jojobet giriş

casinolevant

Thursday, December 18, 2025

বিশ্ববিখ্যাত সরোদবাদক ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান চলে গেলেন না ফেরার দেশে…

– কবি ও সাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।

বিশিষ্ট সরোদবাদক ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান চলে গেলেন না ফেরার দেশে!!! তিনি কোভিট-১৯-এ (করোনায়) আক্রান্ত হয়ে দশ/বার দিন ধরে উত্তরায় অবস্থিত ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

সঙ্গীতাঙ্গন-এ তাঁকে নিয়ে আমার প্রথম সাক্ষাৎকারের হেডিং ছিল- ‘বঙ্গবন্ধুকে দেয়া কথা রাখার জন্যই দেশে ফিরে আসি…ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান’। আমি লিখেছিলাম ‘পৃথিবীর আকাশে যেমন অজস্র তাঁরা তাদের নিজস্ব আলোয় আলোকিত করছে পৃথিবীকে তেমনই এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ সাহেবের আকাশেও অনেক তাঁরার আবির্ভাব হয়েছে, যারা সঙ্গীতাঙ্গনে তাঁদের নিজ নিজ গণ্ডিতে আলোকিত করে যাচ্ছে অনবরত। সেই আকাশের এক তারা সরোদবাদক ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান।

আজ ২৮/১১/২০২০ তারিখে সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ সাহেবের আকাশ থেকে সেই তাঁরাও ঝড়ে পড়ে গেল! দেশ বিদেশে যার সরোদের ঝংকারে মূর্ছিত হয়েছিলেন যে সঙ্গীতাঙ্গন। আজকে থেকে তাঁরা সেই সরোদের ঝংকার আর শুনতে পাবে না। আর মুখরিত করে রাখবেন না তিনি সরোদের মঞ্চ। তবে বাঁজবে তাঁর সরোদের ঝংকার সকল সঙ্গীতপিপাসুর মনে প্রাণে।

শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান রেখে গেছেন তাঁর যোগ্য উত্তরাধিকারী দুই মেয়েকে। একজন আফসানা খান সেতারবাদক আরেকজন রুখসানা খান সরোদবাদক। দু’জনেই এ্যাডভোকেট।
আমার সাথে সঙ্গীতাঙ্গনকে দেয়া শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খানের প্রথম সাক্ষাৎকারের (যা গত ৯সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ প্রকাশিত) কিছু অংশ তুলে ধরছি-
যে কোনো কিছু শিক্ষালাভ করার পেছনে পরিবার বা পরিবারের বাইরে কারো না কারো অবদান থাকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান তাঁর সরোদশিল্পী হওয়ার পেছনের গল্পটি এমনভাবে উপস্থাপন করেন তা হল, আমার সাত বছর বয়সে আমার দাদা এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ সাহেব আমার হাতে ছোট্ট একটি সরোদযন্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। কারণ আমাদের পরিবারে একটি সিস্টেম ছিল যে, আমার দাদা আমাদের চাচাতো ভাইদের মধ্যে কারো সাত বছর বয়স হলেই যে কোনো ইন্সট্রুমেন্ট ধরিয়ে দিত, সেটা সেতার, সরোদ অথবা বায়া তবলা যে কোনো কিছু হতে পারে। এমনকি কোলকাতায় আমার দু’জন চাচাতো ভাই আছে তাদের একজনকে সেতার আরেকজনকে সরোদ ধরিয়ে দিয়েছেন আমার দাদা। আমাকে সরোদ ধরিয়ে দিলেন। যার ফলে এই সরোদযন্ত্র দিয়ে আলটিমেটলি আমার সঙ্গীতযন্ত্রের হাতেখড়ি শুরু হয়ে গেল। আমরা প্রত্যেকেই গান জানি। কারণ গানটা ছিল আমাদের কম্পলসারি সাব্জেক্ট। প্রথমে গানই শেখানো হয়েছে আমাদের। পরে তার পাশাপাশি যন্ত্রশিল্পের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ফলে ফাইনালই আমরা ঠিক করলাম আমরা যন্ত্রশিল্পীই হব। সেই থেকেই শুরু যন্ত্রের সাথে আমাদের সখ্যতা।

ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। সেই সময়ের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি সবচাইতে কম বয়সে ঐ সময় একুশে পদকে ভূষিত হই। বর্তমানে আমার বয়স ষাট। এত অল্প বয়সে একুশে পদকটি পাওয়ায় আমাকে আমার কাজের প্রতি অনেক বেশী উৎসাহিত করেছিল। আমার আরও ভাল কাজ করতে হবে, সম্মানটাকে ধরে রাখতে হবে এই রকম একটি অনুভূতি আমার মনের মধ্যে কাজ করছিল। তাই আমার মনে হয় যাদেরকে এই পদকগুলি দেয়া হয়, তাদেরকে অল্প বয়সে দেয়া উচিত এবং জীবিত অবস্থায় দেয়া উচিত। কারণ তখন একটা লোক পদকটি পেয়ে তাঁর কাজের প্রতি আরও বেশী উৎসাহিত হবে। তাঁর মধ্যে তখন এই অনুভূতিটা জাগ্রত হবে, না আমাকে আরও ভাল কাজ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় মরণোত্তর পদক বা পুরস্কার দেয়া হয়। আমার মনে হয়, কোনো একজন মানুষ মারা যাবার পর তাঁকে পদক দেয়া বেকার! আমি সারাজীবন কাজ করে গেলাম কিন্তু কিছুই পেলাম না! আমি মারা যাবার পর মরণোত্তর পদক দেয়া হল আর আমার পরিবার তা নিয়ে চলে আসলো তাতে কি লাভ হল ? আমিতো কিছুই জানলাম না। তাই বলি বেঁচে থাকতে এবং অল্প বয়সে পদক দেয়া উচিত। আপনি চিন্তা করতে পারবেন না, আমার অল্প বয়সে পাওয়া পদকটি আমার কাজের ক্ষেত্রে আমাকে কতটা পুশব্যাক করেছে। প্রতিটি ভাল কাজের জন্য পুরস্কার দেয়া উচিত। তাতে করে কাজের গতি বাড়ে।

বাংলাদেশে তেমন কোনো সরোদবাদক তৈরি হয়েছে কিনা সেই প্রসঙ্গে ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন বলেন, সেই রকম তৈরি হওয়ার স্কোপ কোথায়! এখন দেখেন সরকার খেলার পেছনে প্রচুর টাকাপয়সা খরচ করছে অথচ আমাদের সঙ্গীতের পেছনে সরকার দুটি পয়সাও খরচ করছে না! সোজা কথা বলতে কি, গান বলেন নাচ বলেনে এমনকি যন্ত্রসঙ্গীত বলেন, যারাই আসছে তাঁরা নিজেদের চেষ্টাতেই আসছে। যারা নাম করছে তাঁরা নিজেদের চেষ্টাতেই নাম করছে। অথচ দেখেন, একজন গভঃডেলিগেশন দেশে আসলে তখন কিন্তু শিল্পীদের খোঁজ করে। শিল্পী ছাড়া তখন কিছু হয় না। নাচ-গান যাইহোক ওদেরকে তখন খোঁজ করে বের করে। এখন কথা হচ্ছে যে, যে ছেলেটা ভাল বাজায় এবং ইন্টারমিডিয়েট পাশ কিন্তু তাঁর রেডিও টেলিভিশনে চাকরী হবে না কারণ তাঁর রেডিও টেলিভিশনে বিমিউজ এমমিউজের সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। তার সেই সার্টিফিকেট নাই। যাদের বিমিউজ এমমিউজের সার্টিফিকেট আছে কিন্তু ভালো বাজাতে পারে না তবে ঐ সার্টিফিকেটের জন্য চাকরী হয়ে যায়। তারা কখনই শিল্পী হতে পারে না, বিমিউজ আর এমমিউজ হয়েই তাদের থাকতে হবে। রেডিও টেলিভিশনে যদি এতই ভালো শিল্পী আছে তাহলে কেন বাইরে থেকে ডাবল পয়সা দিয়ে শিল্পী এনে রেকর্ডিং করায়! যদি যোগ্যতা অনুযায়ী শিল্পীদের চাকরী দিত তাহলে ডাবল পয়সা দিয়ে শিল্পী বাইরে থেকে আনতে হতো না। এদেশে যোগ্যতার মূল্যায়ন হয় না বরং কাগজে কলমের সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন হয়। গান-বাজনা করার জন্য যোগ্যতা লাগে, শুধু সার্টিফিকেটে কিছু হয় না। অথচ দেখেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই সবার কাজ করছে। সেজন্য ছেলেমেয়েরা প্রচুর কাজ করছে। আমাদের দেশে সেইরকম যোগ্য লোকের কোনো কাজ নেই। তাই যখন ওসব দেখি দুঃখ লাগে।

এই দুঃখ নিয়েই হয়তো তাঁকে চলে যেতে হল!
প্রতিটি মানুষেরই তাঁর নিজ নিজ কাজ নিয়ে কিছু পরিকল্পনা থাকে মনে। সেইরকম পরিকল্পনা আছে সরোদবাদক ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খানের মনেও। সেই পরিকল্পনার কথা তিনি এভাবেই জানালেন, আমার পরিকল্পনা হচ্ছে আমি যদি সরকারের কাছ থেকে একটা ব্যাকআপ পেতাম তাহলে আমার ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করতাম। কারণ অনেকেই আর্থিক অনটনের জন্য শত ইচ্ছা থাকা সত্বেও শেষ করতে পারে না। স্কলারশিপের জন্য হাজার হাজার টাকা দরকার হয় না। আজকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন যা করছে তা হল ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপ দিয়ে শেখাচ্ছে। কারণ তাঁদের প্রচুর টাকা আছে। তেমনি এক একটি ছেলেকে যদি অন্তত দুই হাজার টাকা করে দিতে পারতাম তাহলে তার যাতায়াত খরচটা হয়ে যেত ফলে ছেলেটি বাধ্য হয়েই শিখতে আসতো। সরকার যদি যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের চাকরীর ব্যবস্হা করতো বিমিউজ এমমিউজের সার্টিফিকেট না খুঁজে তাহলে খুব ভাল হত। তবে আমি আমার সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছি কয়েকজন ভালো সরোদযন্ত্রশিল্পী তৈরি করে যেতে। আমার বাসায় পনের ষোল জন ছেলে শেখে। তারমধ্যে পাঁচজন ছেলের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তাই ওদের কাছ থেকে আমি কোনো টাকাপয়সা নেই না। কারণ আমার অদম্য ইচ্ছা আমি বাংলাদেশে অন্তত পাঁচজন সরোদযন্ত্রশিল্পী তৈরি করে যেতে চাই যারা পরবর্তীতে এই সরোদ যন্ত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাইতো আমি যতই অসুস্থ হই না কেন, ওরা আমার বাসায় আসলে আমি সব ভুলে গিয়ে ওদের শেখাতে বসি।

তাঁর আক্ষেপটি হয়তো রয়েই গেল তার সাথে।
ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান তাঁর কিছু ব্যক্তিগত অভিমানের কথা শেয়ার করেন এভাবে যা কখনোই তিনি কারো সাথে শেয়ার করেন নি। তিনি বলেন, শোনেন! আমি কিন্তু ‘৮৫ সালে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম আমেরিকাতে কিছুটা অভিমান করেই। সেখানে মোটামুটি সেটলড্ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাবা চাননি আমি ওখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করি। এক ছেলে হিসেবে যা হয় আর কি! বাবা আমাকে লাস্টে টেলিফোনে কল করে বললেন, ‘তোর কি মনে আছে একটা লোককে কথা দিয়েছিলি যে, তুই দেশ ছেড়ে কখনই যাবি না ? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, মনে আছে। বাবা বললেন, ‘যদি তা মনে থাকে তবে দেশে ফিরে আয়’। তারপর আমি দেশে ফিরে আসি তা না হলে আর দেশে ফিরে আসতাম না! কার কথায় এবং কেন ফিরে আসি সেই সত্যি কথাটাই আজ আমি আপনাকে বলছি। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। ১৯৭৪ সালে আমি বঙ্গভবনে যাই একটি অনুষ্ঠানে। তখন বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন। সেখানে আমার বাবাকে আর আমাকে স্পেশালভাবে ডাকা হয়েছিল সরোদ বাজানোর জন্য। সেদিন যখন আমি বাবার সাথে বাজাই, আমার বাজনা শুনে বঙ্গবন্ধু আমাকে এ্যাওয়ার্ড দিয়েছিলেন। এ্যাওয়ার্ডটি হল উনি নিজের একাউন্ট থেকে আমাকে পাঁচ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন। সেই ছবিটি আমার কাছে আজো আছে। তখন বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে আমার ডায়রিতে কিছু কথা লিখে দিয়েছিলেন, সেই ছবিটাও আছে এবং তাঁর সাথে আমার দুই তিনটা ছবিও আছে আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে। উনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। ঐ দিন রাত্রে আমি জানলাম এবং আশ্চর্য হলাম জেনে যে, অল ইন্ডিয়া রেডিও কনফারেন্স কখন হয় তা তিনি জানতেন। ঐ সব অনুষ্ঠানে উনি গিয়েছিলেনও।
তখন তাহের উদ্দিন ঠাকুর ছিলেন বাংলাদেশের ইনফরমেশন মিনিস্টার। বঙ্গবন্ধু তখন তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে ডেকে বললেন, তাহের দেখ তো অক্টোবর নভেম্বর মাসে অল ইন্ডিয়া রেডিও কনফারেন্স হয়। তুমি এখনই ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন মিনিস্টারকে ফোন লাগাও এবং ফোন লাগিয়ে জানাও ওদের অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স কবে ? এবার আমার এখান থেকে দুজন শিল্পী যাবে। সেই দুজন শিল্পী হলাম,আমি আর আমার বাবা। আমি তো শুনে অবাক হয়ে গেলাম! ঐ রাত্রেই কিন্তু আমাদের অল ইন্ডিয়া রেডিও কনফারেন্সে যাওয়ার জন্য ঠিক হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুই প্রথম আমাকে দেশের বাইরে মানে বিদেশে পাঠান। তখন অল ইন্ডিয়া রেডিওটি এভাবে সেট করা ছিল-কোলকাতা, মাদ্রাজ, দিল্লি, বোম্বে, হায়দারাবাদ, কাশ্মির এইভাবে একটা চেইনের মত যেমন, একটা শেষ হলে আরেকটা এইভাবে। সেই রাত্রেই বঙ্গবন্ধু আমার হাত ধরে বলেছিলেন, ‘তুই আমারে কথা দে, তুই কখনোই দেশ ছেড়ে যাবি না!’ আমিও কথা দিয়েছিলাম তাঁকে যে, ‘কথা দিলাম,আমি কখনোই দেশ ছেড়ে যাব না’। বিশ্বাস করেন, উপরে আল্লাহ্‌ আর নিচে মাটি! আমি যদি মিথ্যে কথা বলি তাহলে আল্লাহ্‌ আমাকে শাস্তি দিবেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকে দেয়া কথা রাখার জন্যই আমি আবার দেশে ফিরে আসি। এখন মাঝে মাঝে কষ্ট হয় এইভেবে যে, একজন লোকের প্রতি এতটা শ্রদ্ধা নিয়ে আসলাম কিন্তু কিছুই তো পেলাম না এ জীবনে! হ্যাঁ, পেয়েছি একটা একুশে পদক পেয়েছি।
তাছাড়া যন্ত্রসঙ্গীতের জন্য কোনোরকম সাহায্য সহযোগিতা আজও পেলাম না সরকারের কাছ থেকে। আগে তো সরকারীভাবে বিদেশে ট্যুরে কারা কারা যাচ্ছে তাঁদের নাম জানা যেত, এখন তো সেটাও জানা যায় না! তাই এখনো নিজের উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছি, নিজের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। নিজের চেষ্টায় ও যোগাযোগের কারণে দেশের বাইরে গিয়েও কাজ করছি এই সরোদযন্ত্র নিয়ে। বলতে পারেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, এই সরোদ যন্ত্রশিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

শ্রদ্ধেয় সরোদবাদক ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রমই করে গেছেন যতটুকু জানি এবং আমার ইচ্ছে ছিল তাঁর সরোদ নিয়ে এই পথচলার দীর্ঘ ভ্রমণ কাহিনী তুলে ধরব আমার লেখার মাধ্যমে! তাঁর সাথে কথাও হয়েছিল সেভাবে এবং তিনি বলেছিলেন করোনার সংক্রামক স্বাভাবিক হলে সে আমার সাথে দেখা করবেন। বিশ্বাসই হচ্ছে না, তিনি আর আমাদের মাঝে নেই!
সেদিন সাক্ষাৎকারের শেষে তাকে শুভকামনা জানিয়ে ছিলাম এভাবে-
সঙ্গীতাঙ্গন- আপনার নিজের কিছু করার ইচ্ছে আছে পরবর্তী সরোদযন্ত্রশিল্পীদের জন্য বা সরোদবাদকদের জন্য এবং আপনি পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করে দিতে চাচ্ছেন। আমার মনে হয় এটা আপনার একটি ভালো উদ্যোগ। হয়তো আপনার এই কাজের মাধ্যমেই সরোদযন্ত্রশিল্প বেঁচে থাকবে বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে। দোয়া করি, সরোদযন্ত্রশিল্প সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠবে। আপনিও আপনার পরিকল্পনা সফল করে দেশবিদেশে আপনার ভক্ত শ্রোতাদেরকে আরও মুখরিত করে রাখবেন আপনার বাজানো সরোদের সুরের ঝংকারে।এই কামনা করছি সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে। শুভকামনা রইল।

আর তিনি সঙ্গীতাঙ্গনের জন্য শুভকামনা রেখেছিলেন এভাবে- ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান- আপনার জন্য এবং সঙ্গীতাঙ্গন এর জন্যও রইল আমার অনেক অনেক শুভকামনা।
আজকে সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান এবং আমাদের সকলের প্রিয় মানুষটির জন্যে রইল অনেক অনেক দোয়া। আল্লাহ্‌ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন, আমীন।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles

betwinner melbet megapari megapari giriş betandyou giriş melbet giriş melbet fenomenbet 1win giriş 1win 1win