আজ…
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, রাত ৯টায়…
সুরের মূর্ছনায় সারগীট নিয়ে থাকছেন
যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী ও উদ্ভাবক মোঃ নাসির উদ্দীন…
(সেতার, সরোদ ও গিটারের সমন্বয়ে তৈরী – সারগীট)
আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রন
সংস্কৃতি ও সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকুন
সারগীট এর উদ্ভাবক ও যন্ত্রসংগীতশিল্পী নাসির উদ্দিন…
– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
সঙ্গীতাঙ্গনের ভুবনে আজ আমরা জানবো সংগীত জগতের নতুন আরেক নাম ‘সারগীট’ ও এর উদ্ভাবক যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী নাসির উদ্দিন সম্পর্কে। কথা হবে তার সাথে…
মূলত গিটারবাদক হলেও শাস্ত্রীয় সংগীত তার পছন্দের ক্ষেত্র। সংগীতের প্রতি নাসিরের ভালোবাসা ও একাগ্রতা সীমাহীন। পাশাপাশি একজন উদ্ভাবক হিসেবে তার পরিচয় রয়েছে। গিটার ও সরোদের সমন্বয়ে তিনি উদ্ভাবন করেছেন নতুন এক বাদ্যযন্ত্র যার নাম দিয়েছেন তিনি ‘সারগীট’। তার এই উদ্ভাবনী প্রতিভার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, সৃজনশীলতা ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে যন্ত্র সঙ্গীতের জগতে বিপ্লব নিয়ে আসা সম্ভব।
জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব ২০১৮-তে তিনি পরিবেশন করেছেন তার নিজস্ব বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত।
যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী নাসির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সঙ্গীত কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই তিনি গণমাধ্যমে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ‘পঞ্চকবির গান’ নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিয়মিত তিনি শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করতেন। আরো জানা যায়, সংগীতচর্চায় এক পর্যায়ে তিনি অনুভব করেন, এই অভিনব যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা।
এই সারগীট সম্পর্কে জানতে চাইলে আরো জানা যায়, সরদের ‘চিকারি’ নামক দুটি তার নিয়ে গিটারে যোগ করে দেন। প্রথমে নিজে নিজে বাজানোর পর বাইরের শিল্পীদের সাথেও বাজান এই সারগীট। তাতে বেশ ইতিবাচক সাড়া পান তিনি। প্রাথমিকভাবে নিজের আনন্দই ছিল মুখ্য বিষয়। পরবর্তীতে এই যন্ত্রটিকে নিয়ে তিনি আরো নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন।
যেহেতু তিনি মূলত গিটারবাদক তাই সরোদ নিয়ে কিছু করতে হলে অবশ্যই তাকে সরোদ সম্পর্কে জানতে হবে। এ পর্যায়ে তিনি ওস্তাদ ইউসুফ খান এর কাছে সরোদের তালিম নেয়া শুরু করেন। সরোদ আয়ত্ত করতে তার লেগে যায় দুই বছর।
সরোদ শেখার পর বিভিন্ন শিল্পীদের সাথে বাদনে অংশগ্রহণ করেন এবং আশাব্যঞ্জক সারা পান।
সারগীট নামক এই নতুন বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি যে কথা বলেন, বাদ্যযন্ত্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কারখানার মানুষের সাথে তিনি কথা বলেছেন। যন্ত্রটির তৈরীর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ তিনি ভিডিও করে রেখেছেন, যাতে বানানোর সময় কোন সমস্যা না হয়।
সঙ্গীতের ভুবনে প্রথম গুরু হিসেবে বলা যেতে পারে তার বাবাই প্রথম গুরু। বয়স যখন মাত্র চার বছর। তখন থেকেই সংগীতের শুরু তার জীবনে। ছোটবেলায় সংগীত ছাড়াও দোতারা, তবলা, মন্দিরা, হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের হাতেখড়ি হয় তার বাবা লিয়াকত আলী শেখ এর কাছেই। তাই তিনি বলেন এই ভুবনে বাবাই আমার মূল আদর্শ।
সবার প্রতি শুভকামনা জানিয়ে তিনি তার জন্য এবং সারগীট এর উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগীতাঙ্গন’কে। ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ও ধন্যবাদ জানান উদ্ভাবক নাসির উদ্দিনকে। স্বাগত সকল সঙ্গীত প্রিয়দেরকে।