আজ ২৬ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার, রাত ৯টায়…সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকা আয়োজিত একক সঙ্গীত সন্ধ্যা’য়…আপনাদের আধুনিক ও লোকসঙ্গীত দিয়ে মন ভরিয়ে রাখবেন দরদিয়া কণ্ঠশিল্পী দিপা মন্ডল…
আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রন। সংস্কৃতি ও সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকুন…
– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
আজ আমরা জানবো মানিকগঞ্জে জন্ম নেয়া এবং বিক্রমপুরে স্বামীর ঘরে কণ্ঠশিল্পী হয়ে ওঠা দিপা মন্ডল সম্পর্কে, কথা হবে তার সাথে তার জীবন সম্পর্কে সংগীত ভুবন নিয়ে…
সঙ্গীত জীবনটা কিভাবে শুরু হয়েছিল ? এই সম্পর্কে জানতে চাইলে জানা যায়, তার সঙ্গীত জীবনটা অন্যদের থেকে একটু আলাদা, তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়েছিল ছোটবেলা থেকে নয় বড় হবার পরেই। ২০০৩ সালে তার বিয়ে হবার পরেই মূলত তার সঙ্গীত জীবনে প্রবেশ। তিনি বলেন, আমার স্বামী (রিপন মন্ডল) সঙ্গীত খুব ভালোবাসেন। তার অনুপ্রেরণাতে এবং আমার আগ্রহ ও গানের প্রতি ভালোবাসায় মূলত সঙ্গীতাঙ্গনে আগমন। বলা চলে ছোটবেলা থেকে এমন সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাই ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতকে ধরতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর আমার স্বামী আমাকে কলকাতায় নিয়ে যায় এবং সেখানে গান শেখাতে ভর্তি করেন। তার নাম শ্রী স্বপন চক্রবর্তী তার কাছেই সংগীতের হাতে খড়ি। তার কাছে আমি যেতাম দুই/তিন মাস পর পর একবার করে, তিনি আমাকে রেকর্ডিং করে দিতো আমি এখান (বাংলাদেশ) থেকে সেগুলো আয়ত্ত করতাম। সেখানে গিয়ে পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিতাম।
এদিকে তিনি ভর্তি হন এবং ক্লাস করতে থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে মল্লিকা একাডেমিতে বিপুল ভট্টাচার্যের কাছে। ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল একাডেমীসহ সংগীতে ২০১০ সালে শিল্পী শফি মন্ডলের কাছেও তিনি লালন সঙ্গীতকে আয়ত্ত করেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্নভাবে সঙ্গীত আয়ত্ত করেছেন।
কথা প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, গান শুরু করার পর আমাকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। বিশেষ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কাছে অনেক খারাপ কথা শুনতে হয়েছে। সেজন্য অনেক সময় গান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আমি গানকে এতোটাই ভালোবাসি যে তা কখনো হয়ে উঠেনি। তবে অনেক অপমান, গঞ্জনা সহ্য করে এবং স্বামীর উৎসাহের কারনে এবং আমার আগ্রহের কারনে আজ আমি এইখানে।
আপনি মূলত কোন ধরনের সঙ্গীত শিল্পী ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত লোকসংগীতকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনেও লোকসংগীত শিল্পী হিসেবে সংযুক্ত থাকা।
দিপা মন্ডলের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে,
পারে লয়ে যাও আমায়
সাগরকন্যা (এ্যালবাম)
এমন মানব জনম আর কি হবে,
বেদে নাই যার রূপরেখা,
হাওয়া দমে দেখ তারে প্রভৃতি।
তিনি আরো জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বেশ কিছু মৌলিক গান উপহার দিবেন।
কখনো মনে করেছেন যে আপনার গান গাওয়া সার্থক হয়েছে ? এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, গান গাওয়ার পর যখন কোনো গুরুজন কিংবা কোন ভক্তজন মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, দিপা! তোমার গান এত সুন্দর হয়েছে!…
তখন আর আমার বলার কিছুই থাকে না। তখন শুধু মনে হয় এই বুঝি আমার গান গাওয়া সার্থক হল! আরও মনে হয়, যখন আমার গান শুনে গানের ভক্তরা আনন্দ পায়। তাই ভক্ত, সুধী, গুরুজনসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি জানাই আমার ভালোবাসা ও শুভকামনা। শুভকামনা জানাই সঙ্গীতাঙ্গন এর প্রতি।