– গুঞ্জন রহমান।
বছর পাঁচেক আগের কথা। এক বিকেলে আড্ডা হচ্ছিল বাবু ভাইয়ের স্টুডিও আর্ট অব নয়েজ-এ। বাবু ভাইয়ের সাথে আরো ছিলেন শ্রদ্ধেয় গীতিকার আহমেদ ইউসুফ সাবের ও স্বনামধন্য এন্ড্রু কিশোর।
কথা প্রসঙ্গে কিশোর দা’র কাছে আমরা জানতে চাইলাম,
আচ্ছা দাদা, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্লে-ব্যাক করার রেকর্ড কার ?
সাবিনা ইয়াসমীন। তিনি দ্বিধাহীন কণ্ঠে জানালেন, সংখ্যাটা তাঁর বিচারে বারো হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আচ্ছা রুনা লায়লা গেয়েছেন কতগুলি ?
তাও দশ হাজারের কম না।
এবার জানতে চাইলাম,
দাদা আপনার গাওয়া গানের সংখ্যা কত ?
তিনি একটু দ্বিধার সাথে বললেন,
ছয় সাত হাজার হবে হয়ত।
কী বলেন! ওনারা দু’জন ফিমেল মিলে এতগুলো করে গাইলেন, আর মেল ভোকাল হিসেবে আপনি তো প্রায় একচেটিয়া! তারপরও আপনার গানই কম ?
এইটার দুইটা কারণ। এক. আমি সাবিনা আপা রুনা আপার অনেক পরে শুরু করেছি।
আর দুই ?
আরে, এইটা তো খুবই সহজ হিসাব। আমাদের সিনেমায় নায়কের মুখে একটা গান থাকলে নায়িকার মুখে থাকে পাঁচটা। নায়িকা প্রেমে পড়লে গান, প্রেম ছুটলেও গান। শহরের কাহিনীতে ছাদে উঠে গান, গ্রামে হলে গাছে উঠে গান। বাপ-মা মরলে গান, বাচ্চা জন্মালে গান। হাসতে হাসতে গান, কাঁদতে কাঁদতে গান! এমনি কি আর বলে – “গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে?” স্বরলিপি লিখার টাইম কই, গান গেয়েই তো কূল পায় না! …
আর নায়ক ? বেকায়দায় পড়ে আটার বস্তা কোলে-পিঠে নিয়ে বড়জোর দু’একটা গান গাইতে গিয়েই তো দম ফেল! তাছাড়া ভিলেনের দাবড়ানিতে যেমন দৌড়ের উপরে থাকতে হয়! … ঢিসুম ঢিসুম করবে, নাকি গান গাইবে ?