asd
Thursday, November 14, 2024

ফোয়াদ নাসের বাবু’র সুর ও সঙ্গীতে এবং সুমন সাহা’র কথায় পূজোর গানে আট জন কন্ঠশিল্পী…

– প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সঙ্গীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু প্রথমবারের মতো পূজার গানে সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন এসময়ের ৮জন প্রতিভাবান কন্ঠশিল্পী। গানটি আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে বিটিভির পূজার অনুষ্ঠানে প্রচারিত হবে।

মহামারির এ সময়ে মা’কে আলো হাতে এসে পৃথিবী রক্ষার আহবান জানানো হয়েছে গানটিতে।
আঁধার নেমে আসা এ জগতে
এসোগো মা তুমি আলো হাতে
রক্ষা করো মাগো তুমি এ ত্রিভুবন
সদা জাগ্রত মা তোমার ত্রিনয়ন
জাগো মা দুর্গা, জাগো মা

এমন কথায় গানটি লিখেছেন গীতিকবি সুমন সাহা। গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন যে ৮জন শিল্পী তাঁরা হলেন অলক কুমার সেন, চম্পা বনিক, দেবলীনা সুর, সন্দীপন দাস, হৈমন্তী রক্ষিত দাস, অপুর্ব অপু, অবন্তী দেব সিঁথি ও মন্টি সিন্হা।

সঙ্গীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু গানটি সম্পর্কে বলেন- প্রথমেই সুমন সাহা ও বিটিভেকে আমি ধন্যবাদ জানাই আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় প্রায়শই কির্তন আঙ্গিকের গান সুর বা সঙ্গীতায়োজন করতে হয়েছে, তবে পুজোর গান এই প্রথম। এবং এটা একমাত্র অংশগ্রহণকারী সহশিল্পীদের সহযোগিতায় দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। গীতিকবি সুমন সাহার কথাও ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আশা করি গানটা সবার ভালো লাগবে।

গীতিকবি সুমন সাহা জানান – গানটি এই সময়টাকে ঘিরে লেখা, সারা পৃথিবী জুড়ে অতিমারি, চারপাশে অন্যায়, অত্যাচার, নারী নির্যাতন। যেন আঁধারে ছেঁয়ে গেছে ত্রিভুবন। দেবী দুর্গাকে শক্তি রূপে জাগ্রত হয়ে, আলো হাতে পৃথিবীকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গুণী সঙ্গীতপরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু গানটিকে একটি ভিন্নমাত্রা দিয়েছেন। আর শিল্পীরা কন্ঠ ছাড়াও অন্তর দিয়ে গানটি গেয়েছেন।

গানটি সম্পর্কে সঙ্গীতশিল্পী সন্দীপন দাস বলেন- এই প্রথম শ্রদ্ধেয় ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইয়ের মতো এতো বড় একজন মিউজিক কম্পোজার দুর্গাপুজোর গানে সুর করেছেন এবং সেই সাথে এতোগুলা গুণী শিল্পী একসঙ্গে এই প্রথম বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর গানে কন্ঠ দিয়েছেন, সত্যিই এই গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি । অসংখ্য ধন্যবাদ গুণী গীতিকবি সুমন সাহাকে।

সঙ্গীতশিল্পী দেবলীনা সুর গানটি সম্পর্কে বলেন- ঘনঘোর দূর্যোগের মাঝে এমন একটা গান যেনো আলোর বার্তা । বাবু ভাই এতো আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দিয়ে গানটিতে সুর এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন, তা যেনো ভক্তি ভরে মায়ের চরনে অঞ্জলি দেবার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আর সেই অঞ্জলিতে শামিল হতে পারাটা আমার এবং আমাদের কাছে অনেক বড় অর্জন। এতোগুলো মানুষের অংশগ্রহন এবং ভালোবাসায় এ যেনো শুধু একটি গানই নয় এক নতুন ইতিহাস রচনা।

সঙ্গীতশিল্পী অলক কুমার সেন বলেন- গানটিতে অংশগ্রহন করার পরে গানের পুরো আয়োজনটাকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে বারবার আমার মনে এসেছে বিশ্বব্যাপি কোভিড -১৯ মহামারীর আগ্রাসন সহ বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘটে চলা মাতৃজাতির উপর নারকীয় অত্যাচারের ক্রান্তি কালের চিত্রপট। যার জন্যই গানটি রচনা সামগ্রিক সমসাময়িকতার প্রশ্নে সার্থকতা এবং যথার্থতা পেয়েছে।

সঙ্গীতশিল্পী চম্পা বনিক জানিয়েছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সুমন সাহা দাদা, শ্রদ্ধেয় ফোয়াদ নাসের বাবু ভাই, আমার সহশিল্পীবৃন্দসহ এই গানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। কোভিড ১৯ মহামারী এই দুর্যোগের সময়ের শুরুতে নববর্ষকে নিয়ে সুমন সাহা’র লেখায় গান করেছি। এবার পুজোর গানটিও দাদার লেখায় ঠিক সময় উপযোগী গান। শ্রদ্ধেয় বাবু ভাইও অনেক ভালোবাসা দিয়ে গানটি তৈরি করেছেন। দুর্গতিনাশিনী মা অন্ধকার দূর করে নতুন আলোর মুখ দেখান এই প্রার্থনা জানাই মায়ের কাছে। সবাইকে অগ্রিম শারদীয় শুভেচ্ছা।

সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী রক্ষিত এরমতে এমন কিছু কাজ থাকে যে কাজগুলো করে একটা আত্মতৃপ্তি অনুভুত হয়। মায়ের জন্য গাওয়া গানগুলোতে ভক্তির সবটুকুই নিবেদিত। এ গানটি গাইতে একটি বিশেষ ভালো লাগা কাজ করেছে কারণ গানটি যিনি লিখেছেন তিনি খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব সুমন সাহা দাদা। তাঁর লেখা প্রথম কাজ আমার। বিশেষত্বতো আছেই। আর বরেণ্য সঙ্গীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইয়ের সাথে কাজ করতে পারাতো পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। মায়ের কৃপায় এ বন্দনার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল কলুষতা দূর হোক আবার হেসে উঠুক ধরিত্রী মাতা এই আকুল আবেদনটি ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক তাঁর লিখনিতে। ভীষণ আনন্দিত এরকম একটি আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারছি।

আরেক শিল্পী অপুর্ব অপু গানটি সম্পর্কে তাঁর মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, পুজো নিয়ে এই প্রথম একটি ভিন্ন স্বাদের গান করলাম। একজন নির্দেশকের হাতে লেখা পুজোর এই গানটি অসাধারন একটি আমেজ তৈরি করেছে। বলাই বাহুল্য গানটি লিখেছেন সুমন সাহা দাদা এবং বাংলাদেশের কিংবদন্তী সঙ্গীতজ্ঞ ফোয়াদ নাসের বাবু ভাই একজন সহৃদয় ব্যাক্তিত্বের মানুষ, তার আন্তরিক যত্ম দিয়ে তিনি এই গানটি সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন। বাকি সকল সহশিল্পীর অসাধারণ গায়কীর সঙ্গে নিজেও গাইতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। আশাকরি এবারের পুজোয় সবাই একটি অন্যরকম সুন্দর গান উপহার পাচ্ছেন।

সঙ্গীতশিল্পী অবন্তী দেব সিঁথি গানটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান- এই প্রথম বারের মত শ্রদ্ধেয় ফোয়াদ নাসের বাবু স্যার এর কম্পোজিশনে এবং প্রিয় সুমন সাহা দাদার লেখা গানে এত গুণী শিল্পীদের সাথে গাইবার সুযোগ হল। আমি ভীষণ আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। যেমনই হোক না কেন পরিস্থিতি, দুর্গা পূজা খানিক হলেও মানুষের মনে জমে থাকা কষ্টের রেশ খানিকটা কমিয়ে দিতে সক্ষম এবং এই গানটি আসন্ন দুর্গা পুজায় ভিন্ন আমেজ যোগ করবে। সবাইকে শারদীয় পূজার শুভেচ্ছা।

সঙ্গীতশিল্পী মন্টি সিন্হার মতে আসলে এই গানটির সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় গানটির রচয়িতা সুমন সাহা দাদা এবং সুর ও সঙ্গীতায়োজন যিনি করেছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইকে এত চমৎকার একটি গান আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। এই গানের একটি অংশ হতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। আসন্ন দুর্গা পূজায় এই গানটি হয়ে উঠুক সবার প্রাণের গান।

উল্লেখ্য, ফোয়াদ নাসের বাবু বাংলাদেশের একজন প্রতিথজশা সঙ্গীত পরিচালক। তার ছোঁয়ায় অসংখ্য গান ঠাই নিয়েছে শ্রোতা হৃদয়ে। কিন্তু এর আগে কখনো পুজো নিয়ে কোন গানে তাঁর কাজ করা হয়ে উঠেনি। এবার প্রথমবারের মতো তিনি তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন পুজোর গানে। তাঁর অন্যান্য সৃস্টির মতোই এই গানটিও শ্রোতা হৃদয়ে জায়গা করে নিবে বলে সবার বিশ্বাস।

গানটি তৈরী করা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের পুজোর বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শারদ আনন্দ’র জন্য। এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রচারের জন্য বর্তমানে গানটির বাকি কাজ গুলোর প্রস্তুতি চলছে। গানটির কথা, সুরের পাশাপাশি ভিডিও চিত্রায়নেও সকল সঙ্গীতশিল্পী অংশগ্রহন দর্শক দেখতে পারবেন, এছাড়া অন্তজালেও গানটি পাওয়া যাবে বলে নির্মাতা সূত্রে বলা হয়েছে।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles