– মোশারফ হোসেন মুন্না।
গীটারের শব্দে, হার্ট বিট বেড়ে যায়,
দিওয়ানা মন আমার সুরে হারায়।
অশান্ত মনকে শান্ত করি,
গীটারের সুরে, মাতাল সাজি।
এতোটা ভালো লাগে…
কতটা ভালো লাগে…..
বুজাতে পারবো না……..
ভালোবাসি গান,
ভা লোবাসি সুর
গীটারের ঝংকারে
এনেছে আমায় এতদূর।
অ…..আ…..আ…..হো হো হো…..অ অ।
গীটার বাদ্যযন্ত্রটি বাজানোর ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। লেখক মরিস জে, সামারফিল্ড এর মতে স্পেনে ৪০০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ‘সিথারা’ নামক একটি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসেন, যা থেকেই গীটার বাদ্যযন্ত্রটির উদ্ভব। আরবরা ‘উদ’ নামে একটি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করত। তবে আবার অনেকে ধারণা করেন, চার তার সম্বলিত ‘তানবুর’ নামক বাদ্যযন্ত্র থেকে গীটার বাদ্যযন্ত্রটির উদ্ভব। খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ শতকে বর্তমান সিরিয়ায় ‘হিটরাহিট’ নামক এক জাতি বাস করত, তারা এই ‘তানবুর’ বাজাত। গ্রিকরাও এমন একটি বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা থেকে পরবর্তীতে রোমানরা ‘সিথারা’ নামক বাদ্যযন্ত্রটি তৈরি করেন। তানবুর, উদ ও সিথারা এর থেকেই মূলত গীটারের উদ্ভব । ১২০০ সালে চার তার বিশিষ্ট গীটারের দুটি রুপ বের হয়, যার একটি হচ্ছে – ‘মূরিশ গীটার’। যার পিছনের দিক গোলাকার, একটু কম প্রশস্ত ফ্রেটবোর্ড এবং বেশ কয়েকটি সাউন্ড হোল ছিল। অপরটি হচ্ছে – ‘ল্যাটিন গীটার’।
যার ছিল একটি সাউন্ড হোল ও প্রশস্ত ফ্রেটবোর্ড । ১৭৮৮ সালের দিকে এসে জেকব অটো নামে একজন জার্মান বাদ্যযন্ত্র নির্মাতা পাঁচ তার বিশিষ্ট গীটারে ৬ষ্ঠ তার সংযোজিত করেন যা পরবর্তীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এরপর ১৯ শতকে শুরুতে স্পেনের অগাস্টিন কারো, ম্যানুয়াল গীটারেজ এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান গীটার প্রস্তুতকারক গীটারকে বর্তমান রুপ দেন, যা বর্তমানে সকলে ব্যবহার করছেন। গিটারের সুরের মুর্ছনায় গান হয় সুন্দর। মানুষের মনের অনূভুতি জেগে ওঠে। সবাই গান শুনুন। বাংলা গানের সাথে থাকুন। সঙ্গীতাঙ্গন এর পাশে থাকুন।