– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
উপমহাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ, একুশে ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত পন্ডিত বারীণ মজুমদার প্রতিষ্ঠিত ‘সরকারি সংগীত কলেজ’ বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার আঁগারগাও এলাকায় অবস্থিত একটি ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি বাংলাদেশে সঙ্গীত বিষয়ে একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ‘ইন্টারমেডিয়েট অব মিউজিক’ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সঙ্গীতের ৫টি বিষয়ে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। এবছর যারা পূর্বে নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে আবেদন করেছিল তাদের প্রথম ধাপের তালিকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে আমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রকাশ করাও হয়েছে। সেই সূত্র ধরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কার্যক্রম চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ভর্তির সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে ভর্তি হতে হবে বলে জানান অধ্যক্ষ প্রফেসর কৃষ্টি হেফাজ।
তিনি আরো জানান, এই প্রক্রিয়াটা শেষ হবার পর হয়তো আরেকটা তালিকা আমাদের কাছে দেবে তখন তার ওপর নির্ভর করে আবারো ভর্তি কার্যক্রম হবে।
বলেন, এবার করোনাকালীন সময়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে সবই ছাত্র-ছাত্রীবান্ধব সিদ্ধান্ত। যেমন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, সাধারণত ভর্তির সময় আমরা মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদির মূল কপি জমা নিয়ে থাকি কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি তারা তা নাও দিতে পারে তবুও তাদেরকে ভর্তি নেয়া হবে। এরপর কেউ যদি ভর্তির টাকা একবারে দিতে না পারে তাহলে দুইবার কিংবা তিনবারেও তা পরিশোধ করার সুযোগ করে দিয়েছে যা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যায়। এরকম সিদ্ধান্ত আসলে সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে কখনো নেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন কলেজের অধ্যক্ষ।
ভর্তি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, অন্যান্য কলেজে যেমন তিনটি বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম হয়ে থাকে আমাদের সরকারি সংগীত কলেজে দুটি বিভাগ চালু রয়েছে একটি হলো ‘সংগীত’ বিভাগ অপরটি ‘মানবিক’।
সঙ্গীত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা, ইংরেজি এবং বাধ্যতামূলক বিষয় ছাড়াও আরো দুটি বিষয়ে তাদেরকে পড়তে হয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও লঘুসঙ্গীত। আর যারা মানবিকে পড়বে তাদেরকে মেইন সাবজেক্ট এর পাশাপাশি সঙ্গীতের আরেকটি বিষয় নিয়ে তাদেরকে পড়তে হয় তাহলো ‘লঘুসঙ্গীত’।
আসন সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে সংখ্যক সিট (২০০) আছে তা হতে মানবিকের আসন প্রায় পূর্ণ হয় তবে সংগীতের আসন পূর্ণ হয় না। আর সংগীতে খুব কম ছাত্র-ছাত্রীই পড়তে আসে কারণ সংগীতের বিষয়টা আসলেই বড় একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় যে চ্যালেঞ্জ সকলে নিতে পারে না এবং নিতেও চায় না তাই সংখ্যাটা খুবই সামান্য ২০ থেকে ৩০ এর ভিতরেই থাকে।
সকল ছাত্র-ছাত্রীর শুভ কামনা ও কল্যাণ প্রার্থনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ।
সেইসাথে সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ, সংশ্লিষ্ট সকলের ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রইলো শুভ কামনা।
মন যদি রয় সঙ্গীতে
এগিয়ে যাবো আলোর পথে…