– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
সঙ্গীতে হাতেখড়ি ১৯৬৪ সাল থেকে। আধুনিক, দেশাত্নবোধক, লোক সঙ্গীতের গানে তার পারফর্ম চোখে পরার মত। গানের সাথে সাথে তিনি ভালো তবলাও বাজান। এবং ৭১এর সংগ্রামী যুদ্ধাও তার একটি বড় পরিচয়। তিনি হলেন আমাদের সবার পরিচিত মুখ শিল্পী লীনু বিল্লাহ। আজ তার জন্মদিন। ৪ঠা সেপ্টেম্বর ঢাকায় তার জন্ম। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম স্টেজ শো’তে অভিষেক হন। তার প্রথম এ্যালবাম হিটস অব লীনু বিল্লাহ। যার দ্বারা তার পরিচিতি হয় সঙ্গীত জগতে। এই পর্যন্ত তার ৭টি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তার সাথে জন্মদিন প্রসঙ্গক্রমে তিনি সঙ্গীতাঙ্গনকে জানায়, আমি আসলে তেমন ঘটা করে অনুষ্ঠান করি না। তবে বাসায় বন্ধু-বান্ধব আসে। তাদের নিয়ে গল্প করি, গান করি। আমাকে যারা ভালোবাসে তারা আমার জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে চলে আসে অথবা কোন জায়গায় অনুষ্ঠান করে। কিন্তু করোনা’র কারনে গত পাঁচ মাস ধরে এককথায় আমরা গৃহবন্দী হয়ে আছি। জনজীবনে নেমে এসেছে ভয়ংকর পরিবর্তন। আল্লাহ্ আমাদেরকে এই মহামারী থেকে উদ্ধার করুক এইটাই একমাত্র প্রার্থনা। বন্ধুবান্ধবরা ফোনে, ফেসবুকে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে আর নিজেদের মধ্যে জন্মদিন পালন করা হবে।
জন্মদিনে বউ বাচ্চা নিয়েই বেশি সময় কাটাই। এবারের ঈদ নিয়ে তিনি বলেন যে, ঈদ করেছি পরিবারকে নিয়ে। ভবিষৎ-এ সঙ্গীতের ভিত্তি মজবুত করতে তিনি বলেন আমার একটাই কথা ভালো গান করার জন্য গানের চর্চা করে গান শিখেই করা উচিৎ। আমার একটাই মিশন ভালো গান গাওয়া। শ্রোতাদের গানে আনন্দ দেবার জন্য সব সময় ভালো কিছু করতে চেষ্টা করি, করবো। জন্মদিনের মতো এমন বিশেষ দিনে সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন।
কন্ঠশিল্পী লিনু বিল্লাহ’র কিছু জনপ্রিয় গান –
যে ভাবেই বাঁচি বেঁচে তো আছি,
আমার নাটাই সুতা,
দেখোনা আমার চোখে,
কেন দেরি করে এলে বন্ধু,
গীতি কেমন আছো,
অন্তর আমার,
পথের মাঝে,
বুকের ভিতর থাকনা কিছু,
আমি আজ হেরে গেলাম, ইত্যাদি।