– মোশারফ হোসেন মুন্না।
বিশ্বের বুকে তাকালে দেখি কত অভিনয়, হাত ছানি সবিনয়। কোন সময় নিবেদন, নয়তোবা আবেদন। কত রীতিনিতি, কত বা আড়ালে, শুনি সব হলে গত, সব কিছু হারালে। বলছিলাম বিশ্ব সেরা শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের কথা। যার সকল আবেদন নিবেদন রীতিনীতি তার মরার প্রকাশ হলো। হয়তো বা তার স্ব-দেশ জানতো কিন্তু বিশ্বের কাছে অজানা ছিলো তার অনেক কিছুই। তারমধ্যে একটি হলো মুখোশ পড়ার কাহিনী। তার সন্তান বাহিরে বের হলে মুখোশ পড়ে বের হতো। কিন্তু কেন ? এই অদ্ভুদ কাজটা ? এই বিষয়ে তার মেয়ে জ্যাকসনের কিশোরী কন্যা প্যারিস বলেন, এখন যার বয়স ২২ বছর, সে ছেলেবেলাতে ব্যাপারটা বুঝতে পারত না। ভাবত, কেন বাবা এমন জোর করে তাদের মুখোশ পরাচ্ছে ? জ্যাকসন সন্তানদের বলতেন, নিজের ছেলেবেলাটা বড় কষ্টে কেটেছিল তাঁর। সঙ্গীতের জগত চুরি করে নিয়েছিল তাঁর শৈশব। অন্য বাচ্চারা যখন খেলছে, ছোট্ট জ্যাকসন তখন স্টুডিওতে গান রেকর্ড করতে ব্যস্ত। তাই নিজের সন্তানদের জন্য একটা স্বাভাবিক, আনন্দময় শৈশব দিতে চেয়েছিলেন পপস্টার। চেয়েছিলেন, তাঁর খ্যাতির প্রভাবে তাঁর সন্তানরা যাতে বিপর্যস্ত না হয়। সে কারণেই মুখে মুখোশ পরার নির্দেশ ছিল। আর তেমনভাবে বাইরে বেরিয়ে জ্যাকসনের সন্তানরা কখনোই কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়নি।
ওপরা উইনফ্রির টিভি শো-তে এসব কথাই জানিয়েছে কিশোরী প্যারিস। বলেছে, ছেলেবেলায় বুঝতাম না কেন আমাদের মুখে মুখোশটা পরতে হবে বাইরে যাওয়ার সময়। এখন বেশ বুঝতে পারি যে বাবা আমাদের শৈশবটাকে বাঁচাতে চাইতেন। শিল্পীর বোধ তো! তা নিঃসন্দেহে উদার হওয়াই স্বাভাবিক। আর জ্যাকসন তো একজন সত্যিকারের শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি ভালো বাবাও ছিলেন। সেটাই আরও একবার প্রমাণ হল। পৃথিবীর বুকে নিজের সন্তানের জন্য বাবা কি করে তার একটু আন্দাজ করা যায় জ্যাকসনের মত বড় মাপের শিল্পীর দিকে তাকালে। সন্তানের নিরাপত্তা দিতে এমন অভিনব একটা কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। যেন তার নিজের মত সন্তানের ভবিষৎও যেন হুমরি খেয়ে না পড়ে। ওরা যেন স্বাধীনভাবে তাদের নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে শিখে। বাবার মনে সন্তানের সর্তকতা কতটা ভালোবাসার প্রকাশ করলো। জ্যাকসনের ভালোবাসায় সন্তান আজ বুঁজতে পারলো কেন সে এমনটা করতো। আর বোঝার পরে বাবার প্রতি ভালোবাসা অনেকটা বেড়ে গেছে। এই হলো বাবা আর সন্তান। আজকের এই দিনে মনে পরে গেলো তার কথা। ভালো থাকো জ্যাকসন ঐ পাড়ে।