– কবি কথাসাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।
যখন অনেক চেষ্টা করেও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল-এর সাথে কথা বলা গেল না! তখন তাঁর ছোটভাই এস আই সোহেল ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম। তবে টুটুল ভাই যে মানুষকে সম্মান দিতে জানেন, তা বুঝতে পারলাম তাঁর ম্যাসেজ পেয়ে। আমি তাকে সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ হতে কল করেছি এই ম্যাসেজটি দেয়ার পর সে আমাকে রিপ্লাই দিয়েছেন ধন্যবাদ জানিয়ে এবং তাঁর জন্য দোয়া করতে বলেছেন। এখন আসা যাক মুল কথায়। এস আই সোহেল ভাই, টুটুল ভাইয়ের ছোট ভাই এবং তিনি একজন বার্ড ওয়াচার এন্ড নেচার ফটোগ্রাফার (Bird-watcher & Nature-photographer)। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। তাঁর সাথে অনেকদিন থেকেই আমার পরিচয়। সেই কারণে তার সাথে আমার ভাই বোনের মত সম্পর্ক। তাই, যেহেতু টুটুল ভাই অসুস্থ! ফোনে কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে তাঁর, সেইজন্য ভাবলাম! সোহেল ভাইকে কল করি এবং তাঁর কাছ থেকেই টুটুল ভাইয়ের বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জেনে নেই। সোহেল ভাইকে কল করলাম এবং সব কিছু জানালাম। সে তখন বললেন, ভাইয়াকে আমি নিজেও কল করছিনা কারণ এখন তাঁর গলায় ব্যথা আছে। তাই কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। সে আরও জানালেন, আজকে আটদিন পার হয়েছে টুটুল ভাইয়ের অসুস্থতার হওয়ার পর। এই অবস্থায় প্রথম সাতদিন সিরিয়াস হয়। প্রথম তিনদিন মোটামুটি সিমটম থাকে তারপর বাকী চারদিন গলায় থাকে এবং দশদিনের মধ্যে বাকী তিনদিন পার হলে কিউরের দিকে আসবে।
– ভাইয়া, টুটুল ভাই তো হাসপাতালে যান নি!
– না, না, উনি বাসায়ই ছিলেন। ওনাকে ডাক্তারাই বলেছেন বাসায় থাকার জন্য কারণ তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি ডাক্তাররা সবাই তাঁকে খুবই হেল্প করছেন। আসলে, ভাইয়ার তো এই মাসের ২২ তারিখে আমেরিকার ফ্লাইট ছিল! তাই সে কোভিট-১৯ টেস্ট করিয়েছিলেন কারণ এখনতো যে কোনো দেশে যেতে হলে কোভিট-১৯ এর রিপোর্ট দেখাতে হয়। যখন ঐ টেস্ট করিয়েছেন তখনই রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
– টেস্ট করানোর আগে কি তাঁর জ্বর বা অন্য কোনো সিমটম ছিল ?
– নাহ! ওনার জ্বর ছিলনা এমনকি সর্দিও হয়নি! যখন সে রিপোর্ট পজেটিভ পেয়েছে তার দু’তিনদিন পর থেকে সে কোনো গন্ধ পাচ্ছিল না। তার আগে হয়তো শরীরে এন্টিবডি বজায় ছিল। আর কয়েকদিন গেলে বুঝা যাবে।
– এখন কেমন আছেন ?
– এখন আগের চেয়ে ভালোর দিকে।
– বর্তমানে টুটুল ভাইয়ের সাথে কে কে আছেন তাঁর বাসায় ?
– ভাইয়ার বাসায় যারা আছেন সবাই ভাইয়ার বাসায় কাজ করে। তারাই টেককেয়ার করছে তবে আমাদের এক ভাই ওখানে গিয়েছেন। ভাইয়া, অবশ্য বলেছেন তার (সেই ভাইয়ের) ওখানে না থাকাই বেটার!
– তানিয়া আপুরা তো এখন দেশের বাইরে আছেন, তাই না!
– হ্যাঁ, উনি তো লকডাউনের অনেক আগের থেকেই আমেরিকাতে আছেন তাঁদের পিচ্চিদের নিয়ে।
ভাইয়া,আপনার কাছ থেকে জানতে পেরেছি টুটুল ভাইয়ের জনসেবামূলক অনেক কাজের কথা! কিন্তু টুটুল ভাই যেহেতু এসব বিষয় কাউকে জানাতে চান না! তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেই সম্বন্ধে কিছু লিখলাম না। তবে যে কিনা চুপিসারে মানুষের সেবাদান করেন, ইনশা আল্লাহ! আল্লাহ্ তাঁর সহায় হবেন এবং সকলের দোয়ায় সে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে সহযোগিতা করার জন্য এবং সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে আপনাদের পরিবারের সবার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভকামনা।