– সুব্রত মণ্ডল সৃজন।
আইয়ুব বাচ্চু শুধু একটি নামই নয়,
জড়িয়ে আছে অসংখ্য ভক্তের হৃদয়।
ছিলেন বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক-গীতিকার এবং গীটারবাদক। রক ব্যান্ড ‘এল আর বি’ এর গায়ক ও গীটারবাদক হিসেবে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি। তাকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং গীটারবাদক বলা হয়।
আইয়ুব বাচ্চু। যার পুরো নাম-আইয়ুব বাচ্চু রবিন। জন্মগ্রহণ করেন ১৬ আগস্ট ১৯৬২। চট্টগ্রাম, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)।
আইয়ুব বাচ্চুর অত্যন্ত কাছের ও ভালোবাসার মানুষ সাইদুল হাসান অত্যন্ত কাছের ও ভালোবাসার মানুষ সাইদুল হাসান স্বপন। তার সাথে গুরুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কথা হয় এবং এই জন্মদিনে তাঁকে তিনি তথা এল আর বি ব্যান্ড কিভাবে গুরুকে স্মরণ করছে ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই চলমান মহামারি করোনার কারণে যে যার অবস্থানে থাকাতে কারো সাথে তেমন দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি তাঁরই একটা গান নতুন ট্র্যাক করে কণ্ঠ দিয়ে আমাদের পেজ থেকে প্রকাশ করার। গানটির শিরোনাম হলো – ‘কষ্ট কাকে বলে ?’ কণ্ঠ দিয়েছেন বর্তমান এল আর বি’র হেড ভোকালিস্ট মিজান। তাঁর প্রতি এই গানটি উৎসর্গ করে আমাদের অন্তরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেই তাঁকে তাঁকে স্মরণ করছি।
এল আর বি’ নিয়ে স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এল আর বি (লাভ রানস্ ব্লাইন্ড) ব্যান্ড এর ফাউন্ডার ও কর্ণধার ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু এবং আমি হলাম এর কো-ফাউন্ডার। তাঁর একটাই চাওয়া ছিলো যে, এল আর বি যেন একটা ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তাঁর অবর্তমানে ওনার ভালোবাসার এই ব্যান্ডকে টিকিয়ে রাখাই আমার প্রচেষ্টা এবং চাওয়া এবং স্বপ্ন।
তিনি বলেন, এল আর বি’টাও বাচ্চু ভাইয়ের, পরিবারটাও বাচ্চু ভাইয়ের। কিছু বাইরের লোক পরিবার ও ব্যান্ডকে উস্কানি দিয়ে অনেক সময় মজা নেয়, যা খুবই হাস্যকর ও দুঃখজনক! বাচ্চু ভাই তাঁর গানগুলো বাংলাদেশ কপিরাইট আইন অনুযায়ী তিনি তাঁর নামেই কপিরাইট করে গেছেন। সেই সূত্রে তিনি চলে যাবার পরে সম্পূর্ণভাবে উত্তরাধিকারী হলো তাঁর ছেলে-মেয়ে। এখানে অন্যকারো হাত নেই…। এর সাথে আমারও কোনো সম্পর্ক নেই, আমি শুধু বাচ্চু ভাইয়ের ভালোবাসাটাকে তাঁর ভালোবাসার ব্যান্ডকে নিয়মিত করে চালিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।
পারিবার ও ব্যান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, বাচ্চু ভাই, আমার ভাই, আমার ওস্তাদ। তাঁর ছেলেমেয়ে মানে আমার ছেলেমেয়ে, তাঁর পরিবার মানে আমার পরিবার। ছেলেমেয়েদের জন্ম থেকে কোলে পিঠে করে আমি মানুষ করেছি বলা চলে। এমন সম্পর্ক তাঁর পরিবারের সাথে আমার। আরেকটি কথা হলো, পরিবার ও ব্যান্ড এই দুইয়ের মধ্যে কোনোদিনই বিভেদ ছিলো না, এখনো নেই, আশা করি থাকবেও না। কিছু দুষ্টু লোক তাদের স্বার্থের কারণে বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকেন যা নিকৃষ্ট মনমানসিকতার পরিচয় ছাড়া কিছুই না।
তিনি কপিরাইট ও বামবা সম্পর্কে বলেন, গত ১৫ জুলাই, ২০২০। বামবা (বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন) এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবার পরে অনেকেই ভ্রান্ত ধারণা করেন যে, বামবা’র অন্তর্ভুক্ত ব্যান্ডের গান কেউ গাইতে পারবেন না ইত্যাদি। আসলে বিষয়টা হলো এই যে, ‘বামবা’ তার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন যে, ‘…বানিজ্যিক পরিবেশন ও সম্প্রচারের পূর্বে লিখিত সম্মতি গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক হবে…।’ এছাড়া যে কেউ যেকোনো স্টেজ প্রোগামে, টিভি শো’তে … পরিবেশন করতে পারবেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই। যা বাচ্চু ভাইয়ের চিরদিনের একটা চাওয়া ছিলো।
অবশেষে তিনি বলেন, তিনিই আমাকে ঢাকায় এনেছিলেন, তিনিই আমার হাতেখড়ি দিয়েছিলেন। এত বড় মাপের মানুষের সাথে যে জীবনটা কাটাতে পারবো এটা আমার জন্য সত্যিই এক বড় পাওয়া।
আর,
বাংলা ব্যান্ড গানের জগতে তিনি যা দিয়ে গেছেন তার ঋণ কোনোদিনই শোধ হবার নয়। বিশ্বজুড়ে ভক্তহৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি চিরদিন। সবার কাছে আমি ও আমরা এই কামনাই করবো যে, তিনি যেখানেই থাকেন না কেন স্রষ্টা যেন তাকে তাঁর করেই রাখেন সবাই এই প্রার্থনা করবেন।
সঙ্গীতাঙ্গন’ এর পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শ্রদ্ধার্ঘ্য করছি নিবেদন, তাঁরই গানের কথায় কথায়-
“একদিন ঘুম ভাঙা শহরে
মায়াবী সন্ধ্যায়
চাঁদ জাগা এক রাতে
একটি কিশোর ছেলে
একাকী স্বপ্ন দেখে
হাসি আর গানে
সুখের ছবি আঁকে
আহা কী যে সুখ।…”
Howdy! Would you mind if I share your blog with my twitter group?
There’s a lot of people that I think would really appreciate your content.
Please let me know. Thank you