– রবিউল আউয়াল…
আজকের এই দিনে পৃথিবীর বুকে সকল স্বজনের মুখে হাসি ফুটিয়ে জন্মগ্রহন করেন শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী শেখ জসিম। শুভ জন্মদিন। ১৯৬৮ সালের ১২ই জুলাই তাঁর জন্ম। আমরা তাঁর জন্মদিনে, জন্মদিনের শুভেচ্ছা সহ তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সঙ্গীতাঙ্গনের প্রতিবেদকের সাথে একান্ত ফোনালাপে কিছু সময়-
সঙ্গীতাঙ্গন : সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শেখ জসিম : সঙ্গীতাঙ্গন পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
সঙ্গীতাঙ্গন : কেমন আছেন ?
শেখ জসিম : উপর ওয়ালার অশেষ রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
সঙ্গীতাঙ্গন : আজ আপনার জন্মদিন। দিনটি নিয়ে আপনার ভাবনা বা অনুভুতি সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
শেখ জসিম : এই দিনটি সত্যিই আমার জন্য একটি বিশেষ দিন। আজকের এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিলাম। তাই পৃথিবীর মানুষ তথা আমার দেশের মানুষের প্রতিও রয়েছে আমার দায়বদ্ধতা। আমি সঙ্গীতের মানুষ মানুষকে আনন্দ দিতে পারাই আমার মূল লক্ষ্য। যদি কষ্টও হয়, সারা জীবন মানুষকে আনন্দ দিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
সঙ্গীতাঙ্গন : ছেলেবেলা আজকের দিনটি কিভাবে কাটাতেন ?
শেখ জসিম : ছেলেবেলাই ভালো ছিলো। মনের মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতো। বাবা-মার সাথে সময় কাটানো, বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা আর আড্ডায় মেতে থাকা এবং দিন শেষে সন্ধ্যার সময় পারিবারিকভাবে কিছু আয়োজন করা। যদিও তেমন কোন রমরমা আয়োজন নয়, একটু আলাদা খাবারের আয়োজন করা। অনেক মিস করি ছেলেবেলা।
সঙ্গীতাঙ্গন : আজকের এই দিনটিতে কার কথা বেশী মনে পড়ে ?
শেখ জসিম : অবশ্যই বাবা-মাকে। তাদের জন্যই আমি এই পৃথিবীর আলো দেখতে পেরেছি। তাদের কথাই বেশী মনে পড়ে।
সঙ্গীতাঙ্গন : সঙ্গীতাঙ্গন ম্যাগাজিন সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
শেখ জসিম : আমি সঙ্গীতের মানুষ, সঙ্গীত ভালবাসি। আর দেশের একমাত্র সঙ্গীত বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘সঙ্গীতাঙ্গন’, সঙ্গীতাঙ্গনের উন্নয়নের লক্ষ্যে সঙ্গীতাঙ্গনের নানান দিক নিয়ে কাজ করে। দেশের কোটি মানুষের কাছে যুগের পর যুগ তুলে ধরবে সঙ্গীতের অজানা কথা। আমি ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ ম্যাগাজিনের সফলতা কামনা করি।
সঙ্গীতাঙ্গন : শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে ?
শেখ জসিম : শ্রোতাদের বলবো ভাল গান শুনুন। বছরে অন্তত একটি করে সিডি কিনে গান শুনুন। আপনার ক্রয়কৃত সিডির টাকায় উপকৃত হবে গানের শিল্পী ছাড়াও গানের পিছনে কাজ করা অনেক মানুষ। শ্রোতারা গান শুনে কিন্তু এই গান সৃষ্টিতে রয়েছে গানের শিল্পী ছাড়াও অনেক মানুষ। যারা গানের পিছনে থেকে যায়। এখন সবাই ভিউয়র্স বাড়ায়। ভিউয়র্স বাড়িয়ে কেউই তেমন সফলতা বয়ে আনতে পারছে কিনা আমার জানা নাই। বছরে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা সমস্ত মোবাইল কোম্পানি গুলো এক রকম লুটে নিচ্ছে। রয়েলেটি থেকে বঞ্চিত করছে গানের সাথে জড়িত শিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও যন্ত্রকৌশলীদের।
শিল্পীদের সাহায্য করার দরকার নাই। সরকারের কাছে অনুরোধ তাদের প্রাপ্য সন্মানটুকু অন্তত পাওয়ার ব্যাবস্থা করুন। দেশের গুণী শিল্পীরা অন্তত দুঃস্থ হয়ে মৃত্যুবরন করবে না।
সঙ্গীতাঙ্গন : সঙ্গীতাঙ্গনকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আমরা দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা।
শেখ জসিম : সঙ্গীতাঙ্গনকেও অশেষ ধন্যবাদ। আমি সঙ্গীতাঙ্গনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেন দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌছে সেই কামনাই করি।