– মোশারফ হোসেন মুন্না।
বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে বিশ্বের সমস্ত সঙ্গীত প্রেমীদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা সবাই জানি সঙ্গীত হলো আমাদের বেচেঁ থাকার একটি অবলম্বন। এটা আমাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা প্রেম ও অনুভূতিকে আগলে রাখে তার রঙ্গিন চাদরে। আমরা কখনো ভুলে যাই দুঃখকে যখন সুখের সুর বাজে গানে। আবার কখনো বা ভুলে যাই সুখটাকে যখন দুঃখের সুর বাজে কানে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসকে সামনে রেখে এ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশের একজন সুনামধন্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান এর সাথে। সঙ্গীতাঙ্গনকে সাদী বলেন, প্রথমেই আমি বলবো আমরা বাঙ্গালী আর আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশের মাটি, মানুষ এবং এদেশের সঙ্গীতের সুর যেন জীবনের কথা বলে। এ সুর যেন হৃদয়ের কথা বলে। তাই সঙ্গীতের সর্বস্তরের সঙ্গীত প্রেমিকদের জানাই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বিশ্ব সঙ্গীত আর দেশীয় সঙ্গীত এর তুলনামূলক কিছু কথায় তিনি প্রকাশ করেন যে, বিশ্বের সব দেশে সঙ্গীত আছে। তারা তা চর্চা করে। সঙ্গীতের প্রেম তাদের মধ্যেও আছে। তবে বাংলাদেশে সঙ্গীতপ্রেমী নেই তা বলবো না, বাংলার মানুষও সঙ্গীত পোষে তাদের হৃদয়ে কিন্তু যে সমস্ত শিল্পী সুরকার, গিতীকার কলাকুশলীরা এই সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব দরবারে। সুনাম বয়ে আনছে ,আমি বলবো তাদেরকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিল্পীদের যে ন্যায্য প্রাপ্য তা তাদেরকে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তা হচ্ছে না। আমরা সঙ্গীতাঙ্গন এর মাধ্যম দিয়ে সরকার মহদয়কে জানাতে চাই তিনি যেনো এর একটা সঠিক বিবেচনা করেন। আমাদের মেধা আইন অনুযায়ী যেন আমাদের প্রাপ্য আমাদের বুজিয়ে দেওয়া হয়। বার্ধক্যে উপনিত হলে আমরা নাকি দেশের বোঝা হয়ে যাই। আমরা অসহায় দুস্থ হয়ে পড়ি। আমি বলতে চাই শিল্পীরা কখনো দুস্থ ছিলেন না। তারা দুস্থ নয়। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে বিশ্ববাসিকে জানাতে চাই। আমরা আমাদের সঠিক মূল্যায়ন পেতে চাই। সরকার যেন এদিকটা খেয়াল করেন বিশেষ ভাবে বিনীত কন্ঠে আরজ করি। আমাদের যেন প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না করেন। আমরা শিল্পীরা আমাদের পাওনা বুজিয়ে দিলেই শান্তি। তিনি বলেন গুটিকয়েক দুস্কৃতিকারীদের জন্য আমাদের এসমস্যা আজও সমাধান হচ্ছে না। আশা করি সরকার মহদয় আমাদেরকে নিরাশ করবেন না। আসলেই সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষ গুলো যাদের অন্তরে লালিত হয় সঙ্গীত, তাদের অবহেলা করা হচ্ছে। আর তাদের অবহেলা মানেই সঙ্গীতকে অবহেলা। আসুন সবাই মিলে এই সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকারের সাথে সহযোগীতা করি। সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে সঙ্গীতের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সবাই বাংলা গানকে ভালোবাসি, বাংলা গান শুনি, বাংলা সঙ্গীতকে মনের মাঝে লালন করি। সেই কামনায়।