– কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।
“সময় এবং স্রোত কারো জন্যে
অপেক্ষা করেনা”…
তাই এভাবেই সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টা চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় লাকী আখন্দ এর মৃত্যুদিবসের তিন বছর চলে গেল! শ্রদ্ধেয় লাকী আখন্দ ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। আজ এই প্রখ্যাত শ্রদ্ধেয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়কের জন্মদিন। তাঁর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই কারণ তাঁর ভক্ত অনুরাগীরা এরই মধ্যে অনেক কিছু জেনে গেছেন তাঁর সম্পর্কে! তবে কিছু ঘটনা বা স্মৃতি থাকে প্রিয় কিছু মানুষের মনের অগোচরে, যা কিনা অনেকেই জানেন না। সেইরকমই একজন প্রিয় মানুষ ছিলেন গীতিকার গোলাম মোরশেদ, শ্রদ্ধেয় লাকী আখন্দের। গীতিকার গোলাম মোরশেদ লাকী আখন্দের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন,-
আমি যখন ১৯৭৫ সালে ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তখন লাকী ভাইয়ের গান শুনি ‘আজ আছি কাল নেই, অভিযোগ রেখোনা’ এবং ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’। আমি গানগুলি শুনে মনে মনে ভাবলাম যেমন করেই হোক, এই লোককে খুঁজে বের করতে হবে! আমি তখন ইউনিভার্সিটির ছাত্র তবে গান এবং কবিতার প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা ছিল। একদিন বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারলাম লাকী ভাই, আজিমপুর কলোনিতে থাকেন। একদিন একজনের পরিচয়ের মাধ্যমে সেখানে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি একটি ছোট্ট চৌকিতে লাকী ভাই আর হ্যাপী আখন্দ বসা, সেখানে আরও ছিলেন শম্পা রেজা। নতুন গানের প্রাকটিস হচ্ছে। আমি গিয়ে আমার পরিচয় দিলাম। লাকী ভাই বল্লেন, আসেন বসেন। সেই থেকে তাঁর সাথে শুরু। তবে মজার ব্যাপার হল! আমি সেদিন তাঁর ওখানে গিয়েছিলাম দুপুর একটার সময় এবং বিকেল তিনটা পর্যন্ত ওখানে ছিলাম। অনেক বেলা হয়ে গিয়েছিল তো সবারই ক্ষুধা লেগেছিল। আমি দেখলাম একটি ছোট মেয়ে হয়তো কাজের মেয়ে হবে। ও একটি ছোট বাটিতে করে মুড়ি নিয়ে এসেছে। আমি তা দেখে মনে মনে ভাবলাম, এটা তো একজনেরই হবে না! কিন্তু তাতে ওনাদের কোনো বিকার নেই। ঐ মুড়িটুকু সবাই ভাগ করে খেয়ে নিলাম। দেখলাম, খাবারটা তাঁদের কাছে এমন কোনো ব্যাপার না। তাঁরা নিজেদের মত গান নিয়ে কাজ করছেন। এদিকে হ্যাপী গীটার বাজাচ্ছিল। গীটারে হ্যাপীর আঙ্গুল চালানো দেখে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম! গীটারের তাঁর যে কথা বলে, তা হ্যাপির গীটার বাজানো শুনে জানলাম। সেই পরিচয় থেকেই লাকী ভাইয়ের আমার প্রতি ভালোলাগা তৈরি হল। পরবর্তীতে সে আমাদের বন্ধুর মত হয়ে গেল। আমার অনেক বন্ধু তাঁকে তুমি করে বলত কিন্তু আমি সবসময়ই তাঁকে আপনি করে বলে এসেছি।
ইউনিভার্সিটিতে ‘সৃজন’ নামে একটি কালচারাল গ্রুপ ছিল। সৃজনের প্রেসিডেন্টের নাম এখন মনে করতে পারছি না। সৃজনের সভাপতি আসাদ চৌধুরী আর আমি ছিলাম সহসভাপতি। কবি মোহন রায়হান ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। আমরা প্রায়ই অনুষ্ঠান করতাম আর ঐ অনুষ্ঠানে গান করতেন লাকী আখন্দ আর হ্যাপী আখন্দ। তাছাড়া ঢাকার আলিয়াস ফ্রঁসেসে আমি ফরাসি শিখতাম তখন ওখানে অনেক অনুষ্ঠানে লাকী ভাই আর হ্যাপী গান করেছে। একটা সময় ওখানে অনুষ্ঠান হবে, আমরা সবাই মিলে পনের দিন ধরে রিহার্সেল করেছি। লাকী ভাই আর হ্যাপী মুল শিল্পী। সমস্যা হল! হ্যাপী আমাকে বল্লো মোরশেদ ভাই, আমার ভাল্লাগছেনা আমি যশোর চলে যাব। আমি বল্লাম, আজকেতো অনুষ্ঠান আছে! ও বল্ল, না আমার ভাল্লাগছে না। এখানেই দু’ভাইয়ের মধ্যে পার্থক্য। লাকী ভাই ছিলেন ধীর স্থির আর হ্যাপি ছিলেন অস্থির প্রকৃতির। এভাবেই চলছিল আমাদের সম্পর্ক।
মাঝখানে জীবিকার তাগিদে এবং আমার কাজের ব্যস্ততার কারণে তাঁর সাথে ৮/১০ বছর দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। বাস্তবতার কারণে লাকী ভাই হারিয়ে গেলেন! তারপর ১৯৮৯ সালের দিকে আমি পুরান ঢাকার অগ্রণী ব্যাংক থেকে রিক্সা করে আসছি আর অপর দিক থেকে লাকী ভাই রিক্সা করে আসছেন। আমার ডাক নাম ‘মাসু’। সে আমাকে মাসু বলেই ডাকতেন। সে আমাকে দেখে এই মাসু, মাসু দাঁড়াও। বল্লেন, তুমি এতদিন কোথায় ছিলে ? আমি বল্লাম লাকী ভাই, জীবন যুদ্ধে ছিলাম। বল্লেন, এটা তো ঠিক হয় নাই! আমি তোমার ওখানে আসব। তুমি কি জানো হ্যাপী মারা গেছে ? আমি বল্লাম, জানি। সে বল্লেন, আমি তোমার কাছে আসব, ঠিকানা দেও। দু’জন দু’জনের ঠিকানা দিলাম। দু’এক বছরের মধ্যে সে আমার কাছে আসেন নাই। খেয়ালি মানুষ। অবশ্য মাঝে মাঝে আমাদের দেখা হত। ‘৯৮ সালে হঠাৎ করে বল্লেন, আমি কথা দিচ্ছি এবার আমি নিজের প্রয়োজনেই তোমার কাছে আসব। আমি যাকে খুঁজে বের করেছিলাম একসময়, এখন সে নিজের থেকে আসতে চাইছেন! এটা তো আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি বল্লাম, আমি ধানমন্ডি একুশ নম্বরে অফিস নিয়েছি আপনি ওখানে রাত আটটার পর আসবেন। প্রথম দিন উনি আসলেন সাতটার সময়। আমি বল্লাম, লাকী ভাই বসেন। সে বসল। আমি বল্লাম, কি করছেন এখন ? সে বল্লো, কিছুনা। আমাকে বল্লো, এখন থেকে রেগুলার তোমার এখানে আসব। আমি বল্লাম, এটাতো আমার ভাগ্য! আমি আপনার গান শুনি সারাক্ষণ আর এখন থেকে আপনি আমার সামনে বসে থাকবেন। তারপর একদিন সে আসেন নি। তারপরের দিন আসলেন। আমি ভাবলাম শিল্পী মানুষ, খেয়ালি মানুষ হয়তো ভুলে গেছেন সব। উনি আসার পর আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসল! যেহেতু লোকটিকে আমি খুব ভালোবাসি, তাকে জানি, বুঝি। আমি এতটুকু বুঝি যে, তখন দেশের বাংলাগানে আধুনিক গান যদি একটি শরীর হয়, তবে এই শরীরে আধুনিকতা কিন্তু নিয়ে এসেছেন লাকী আখন্দ। এটা সবাই জানে। সেই মানুষটাকে আমি বল্লাম, আপনি আসেন আমি আপনার সাথে আড্ডা মারব তবে আড্ডার পরে আমার একটা শর্ত মানতে হবে! তা হল, আমি আপনাকে একটা ছোট রুম দিব, সেই সাথে কাগজ কলম আর ফাইল দিব, আপনি একটা কাজ করবেন আপনার জীবনের যতগুলো গান আপনি তৈরি করেছেন সবগুলো লিস্ট করবেন। তাছাড়া রেডিও টিভি এবং বিভিন্ন যায়গায় যে গানগুলো জমা দিয়েছেন, সেগুলোও লিস্ট করবেন। আপনি যদি আমার কথা শুনেন, প্রত্যেকদিন আপনি আধাঘন্টা এই কাজটি করবেন তারপর আমরা আড্ডা দিব। উনি আর কিছু বল্লেননা, শুধু বল্লেন, হ্যাঁ আমি করব। তারপর উনি ঠিকই আমার কথা রেখেছেন। উনি সময় মত চলে এসেছেন। প্রথমে আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম তবে ভয় পেলেও ভালও লাগল ভেবে, এই মানুষটাকে আমি আমার শাসনে নিয়ে এসেছি। আমি সব রেডি করে রেখেছিলাম। তাকে রুমে দিয়ে আমি কাজ শেষ করে আধা ঘন্টা পর গিয়ে দেখি সে দেড় পৃষ্ঠা লিস্ট করে ফেলেছে নিজের মন থেকে কিছু না দেখে। কে গায়ক গায়িকা, কে গীতিকার, বেতার টিভি সবকিছু। এভাবে আমাদের আড্ডা আর তাঁর কাজ একসাথে চলছিল।
একদিন তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে একটা কথা বলব। আমি বল্লাম, বলেন আমি আপনার সব কথা শুনব। সে বল্লো, আমি তোমাকে যে কথা বলব তা আমার মাথায় অনেকদিন থেকে আছে। আমি বল্লাম, আমি তো বলছি! আপনি যা বলবেন, আমি তাই করব। তিনি বল্লেন, এখন থেকে আমি গানে সুর করবো। অনেকদিন সুর করি না। তুমি লিখবে আর আমি সুর করব। আমার তখন মাথা চক্কর খেল! আমি ব্যবসা করি, সারাদিন ব্যস্ত থাকি। আমি বল্লাম, লাকী ভাই আমার অফিসের সামনের রাস্তায় মাটি কাটা হচ্ছে আমার অফিসে কোদাল নাই, আপনি বরং আমাকে একটি কোদাল এনে দেন, আমি মাটি কাটতে পারব কিন্তু গান লিখতে পারব না। সে ঠাণ্ডা মাথায় বল্লেন, আমি জানি তুমি পারবে এবং এটা তোমাকে করতেই হবে। আমি ভাবলাম দেখি পারি কিনা! কারণ আমি প্রচুর কবিতা পড়তাম এবং কিছু কবিতাও লিখেছি। তারপর লিখলাম, তাঁকে দিলাম। গানের কথা ‘ভালোবেসে ভুল ছিল যত’। উনি আধা ঘন্টার মধ্যে গানটির সুর করলেন। সামিনা চৌধুরী গানটি গেয়েছিলেন। এই গানটি করার পর তিনি বল্লেন, আর থামা যাবেনা। তুমি আর আমি একটা অ্যালবাম বের করবো। আমার অফিসে আমাদের আড্ডা আর গান চলত। অনেকেই আসতেন এই আড্ডায়। তবে বারী সিদ্দিকী, লাকী ভাই আর আমি এই তিনজন সবসময় একসাথে থাকতাম। বারী সিদ্দিকী গান গাইতো, লাকী ভাই হারমোনিয়াম বাজাতো আর আমি ছিলাম শ্রোতা। এটা ছিল আমাদের পাঁচ বছরের সংসার।
লাকী ভাইয়ের ভালোবাসা এবং স্বজনপ্রীতির কারণেই আমার এই গানের জগতে আসা। তিনি প্রায় এক যুগ পরে গানের ভুবনে ফিরে আসেন। লাকী ভাইয়ের সুর করা এবং আমার লেখা প্রথম অ্যালবাম এর নাম ‘বিতৃষ্ণা জীবন আমার’। অ্যালবামটি ছিল ব্যান্ড ও আধুনিক গানের মিশ্র অ্যালবাম। এই অ্যালবামে জনপ্রিয় গায়ক জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, হাসান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী ও সামিনা চৌধুরী কণ্ঠ দেন। জেমস আমার দুটি গান গেয়েছেন, লিখতে পারিনা তুমি ছাড়া এবং কখনো ভালোবেসে যেও না। আইয়ুব বাচ্চু গেয়েছেন, কি করে ভুল্লে তুমি। এরপর একই বছরে তিনি সামিনা চৌধুরীকে নিয়ে ‘আনন্দ চোখ’ নামে দ্বৈত গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১২টি গান ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান ছিল- ‘কাল কি যে দিন ছিল’, ‘বলো কে পারে’ ও ‘এই বর্ষা রাতে’। তারপর আরেকটি মিশ্র অ্যালবাম ‘তোমার অরণ্যে’ তিনি সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেন। সেখানে আমার লেখা লাকী আখন্দের কন্ঠে গাওয়া তিনটি গানসহ বাপ্পা মজুমদার, ফাহমিদা নবী ও নিপুর কন্ঠে ১০টি গান ছিল। উনি কিন্তু গানের ব্যাপারে মহা সাবধানী ছিলেন। আমি বলবো, মহা কিপ্টে লোক ছিলেন। মানে হুট করে কাউকে গান দেয়া বা কারো গানে সুর করা, এসব ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। যদি আমার আন্দাজ ঠিক থাকে তবে উনি অন্য কারো সুরে গান গায় নি তবে নিপো’র সুর করা একটি গান তিনি গেয়েছেন। গানটি হল, ‘আমি তো আছি, তোমার পথ চেয়ে’।
আরেকটি ঘটনা বলি, সেতারবাদক ওস্তাদ কিরীটি খান এসেছেন কোলকাতা থেকে। যে কোনো কারণে হোক আমার বাসায় এসেছেন একদিন। সারারাত সেতার বাজাবেন। আমার মাথায় তখন ছিল না যে, লাকী ভাইকে দাওয়াত দিব। হঠাৎ করে লাকী ভাই পিলু মমতাজের বড় বোন দীপু মমতাজকে নিয়ে আমার বাসায় হাজির হলেন। আমি বল্লাম, লাকী ভাই আপনি ? উনি বল্লেন, গানবাজনা হচ্ছে ? আমি বল্লাম, আপনাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম! উনি কিছু মনে করলেন না। উনার সমস্ত ইন্সট্রুমেন্ট আমার বাসায় ছিল। উনি বললেন, কীবোর্ড কি বের করতে পারবে ? আমি বললাম পারব। তারপর উনি বল্লেন, তাঁকে বল আমি তাঁর সাথে বাজাব। আমি ওস্তাদ কিরীটী খানকে বল্লাম, উনি আমাদের দেশের নামকরা সুরকার, উনি আপনার সাথে কীবোর্ড বাজাতে চান। উনি বল্লেন, ঠিক আছে। তো লাকী ভাই বাজাতে বসে গেলেন, কিরীটি খান কি সেতার বাজাবেন, কোন্ রাগ বাজাবেন লাকী ভাইয়ের মাথায় কিছু নাই। ওস্তাদ কিরীটী খান বাজাচ্ছেন, উনিও তাঁর সাথে বাজিয়ে যাচ্ছেন। যখন চা ব্রেক হল তখন ওস্তাদ কিরীটী খান আমাকে ডেকে বল্লেন, উনি যে আমার সাথে বাজালেন, উনার কি নাম ? আমি বল্লাম, লাকী আখন্দ। উনি বল্লেন, বাবারে! আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি বললাম, কেন ? সে বল্লো, আমি কি বাজাচ্ছি, সে তো কিছুই জানেনা! কিন্তু সে যে কাউন্টারগুলো দিচ্ছিল, আমার তো ভয়ই লাগছিল। সে এমন দামী একজন মানুষ। এই হল, আমাদের লাকী আখন্দ। এই পরিচয় কেউ জানে না! আমি লাকী ভাইকে যতটুকু কাছ থেকে দেখেছি, উনি আসলে শুধু বাংলাদেশের সিঙ্গার ছিলেন না। সারা পৃথিবীর সিঙ্গার ছিলান। আমি কখনো দেখিনি, উনি কাউকে রিকোয়েস্ট করেছেন প্রোগ্রামের জন্য। উনি কখনো এসবের মধ্যে ছিলেন না। উনি যেটা করতেন, অবসর সময় সারা পৃথিবীর গান শুনতেন। পিয়ানো শুনতেন। কিভাবে গান হবে, কোথায় কি হবে, এইগুলো নিয়ে ভাবতেন না। তাঁর নিজস্ব জগৎ ছিল এবং সে বিশ্বের জন্য কিছু একটা করবেন, এমন চিন্তাভাবনা ছিল তাঁর।উনাকে অনেক মুডি মনে হলেও, উনি ছিলেন খুব আন্তরিক। আজকে আমি যতটুকু পেয়েছি, তাঁর জন্যেই পেয়েছি। উনিই আমাকে এই সঙ্গীত ভুবনে হাত ধরে নিয়ে এসেছেন। লাকী ভাই যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন এই কামনা করি।
আমরাও সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে এই দোয়া করি, শ্রদ্ধেয় লাকী আখন্দকে যেন আল্লাহ্ জান্নাতবাসী করেন,আমীন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে।